পরিসংখ্যান বলছে যে 2020 সালে শীর্ষ 20 টি স্বর্ণের খনির কোম্পানির উৎপাদন 5% হ্রাস পেয়েছে, এর মূল কারণ কোয়ারেন্টিন এর সাথে সম্পর্কিত কাজে বাধা। ভাগ্যক্রমে, 2021 সালে উত্পাদন সম্ভবত পুনরুদ্ধার হবে, এবং মধ্য-মেয়াদী অনুমানের উপর ভিত্তি করে বলা যায়, তা 2020 সালের কোয়ারেন্টিন পরবর্তী সংশোধিত অনুমানের তুলনায় 6% বেশি হবে।
এই বছর, সারা বিশ্ব স্বর্ণের খনির শিল্প উত্পাদনে ব্যাপক বাধার সম্মুখীন হয়েছে, যা বেশ কয়েকটি অঞ্চলে রেকর্ড পরিমাণ উত্পাদন হ্রাসের মূল কারণ ছিল। উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা এবং আফ্রিকাতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে।
কানাডা ২০২০ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে 1,160 কিলো আউন্স সোনা উত্পাদন করেছে, যা ২০১৯ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে উৎপাদন করা 1,482 কিলো আউন্সের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম (-২২%)। এরই মধ্যে কিউবেক এর উৎপাদন ২০২০ এর দ্বিতীয় প্রান্তিকে 32% কম ছিলো ২০১৯ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকের তুলনায়। অন্যদিকে অন্টারিওতে সোনার উত্পাদন কমেছে 17%।
এই তীক্ষ্ণ হ্রাসের পিছনে মূল কারণ ছিলো সরকারি নিষেধাজ্ঞা এবং স্বেচ্ছায় উৎপাদন কম করা।
প্রাথমিকভাবে, শীর্ষ ২০ সোনার খনিবিদরা কোভিড-১৯ এর আগে, ২০২০ সালে প্রায় 39,118 কিলো আউন্স সোনা উৎপাদনের পরিকল্পনা করেছিল।
স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের পর, অনেক প্রভাবিত কোম্পানি ২০২০ সালের জন্য তাদের উত্পাদন পূর্বাভাসকে সংশোধন করেছিল এবং ফলস্বরূপ, এই সংখ্যাটি 337,291 কিলো আউন্সে নেমে আসে।
সবচেয়ে ভালো দিক হলো, ২০২০ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে অনেক সোনার খনিতে উৎপাদনের পরিমাণ রেকর্ড বৃদ্ধি পেয়েছিল, কারণ তারা স্থগিতাদেশের সময় যে উৎপাদন যে পরিমাণ হ্রাস পেয়েছিলো তা পুষিয়ে নিতে চেয়েছিলো।
এর ফলে, ২০২১ সালে সের ২০টি সোনার উতপাদক 39,381 কিলো আউন্স সোনার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে, এই সংখ্যা হিসাব করা হয়েছে তাদের আলাদা আলাদা উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার গড়কে যোগ করে, যা 2020 সালের কোয়ারেন্টিন পরবর্তী সংশোধিত পূর্বাভাসের তুলনায় 6% বেশি।