যেসব কোম্পানি এক্সচেঞ্জ চালায় তাদের স্টকের হ্রাস বৃদ্ধি ঘটে সাধারণত যা তাদের উপর ট্রেড করা হয় তার জনপ্রিয়তার উপর ভিত্তি করে। কিন্তু কয়েনবেইস গ্লোবাল এই পারস্পরিক সম্পর্কটিকে সম্পূর্ণ ভিন্ন মাত্রায় নিয়ে যায়।
এই বৃহত্তম মার্কিন ক্রিপ্টো বিনিময়ের ক্ষেত্রে বিটকয়েন সম্পর্কে জানা থাকলে, বিশেষকরে সপ্তাহান্তে বিটকয়েনের গতিবিধি সম্পর্কে জানা থাকলে বিনিয়োগকারীদের ধারনা করতে পারে কোম্পানির নাসডাক সূচকে সোমবারে কি হবে।
উদাহরণস্বরূপ, এই সপ্তাহান্তে যখন বিটকয়েন প্রায় ৭.৫%বেড়েছে। কয়েনবেইসের শেয়ারগুলি প্রায় পুরোপুরি এই পরিস্থিতির সাথে মিলেছে, সোমবারের সেশনে তা ৮% বৃদ্ধি লাভ করেছে।
এটি প্রায়শই সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে ঘটে, এমনকি জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহান্তে, যখন বিটিসি 2%হ্রাস পেয়েছিল। পরের সোমবার, কয়েনবেইস ২.৪% হারায়। এবং যখন বিটকয়েন সপ্তাহান্তে ৩% পিছিয়ে যায়, তখন কয়েনবেইস ২% পিয়েছে গিয়েছিলো।
এই ধরনের দৃশ্যকল্প প্রতিদিন বা প্রতি সপ্তাহান্তে ঘটে না, কিন্তু যথেষ্ট যে বিটকয়েনের সাথে কয়েনবেইসের পারস্পরিক সম্পর্ক একটি ইঙ্গিত দেয় যে এই দুইটি কোম্পানি কতটা এগিয়ে যাচ্ছে।
বিটিআইজি বিশ্লেষক মার্ক পালমার বলেন, "এটি একটি খুব রুক্ষ প্রক্সি, কিন্তু আমি বুঝতে পারি কেন এটি একটি প্রক্সি হবে।" পরিস্থিতি বোধগম্য কারণ বিটকয়েন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সাধারন সম্পদের বিপরীতে ২৪/৭ ট্রেড করা হয়।
ফার্স্ট আমেরিকান ট্রাস্টের সিআইও জেরি ব্রেকম্যান আরও বলেন, কয়েনবেইস বিটকয়েন এবং ইথেরিয়ামের সাথে সম্পর্কযুক্ত কারণ এখানেই বেশিরভাগ ক্রিপ্টো সম্পদ বাণিজ্য হয়।
কিন্তু পালমার বলেছেন যে বিটকয়েনের উপর কয়েনবেইসের নির্ভরতা হ্রাস পাচ্ছে, কারণ কোম্পানি অন্যান্য ক্রিপ্টো সম্পদ যোগ করে তার প্ল্যাটফর্মকে বৈচিত্র্যময় করে চলেছে। বিটকয়েন এখন গত বছর এক্সচেঞ্জের লেনদেনের আয়ের প্রায় ৪৪%, যা ২০১৯ সালে প্রায় ৬০% ছিলো।