অনেক ব্যবসায়ী আসন্ন সুদের হারের প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি পুনর্বিবেচনা করছেন কারণ আগে যেমনটি ভাবা হয়েছিল ইউরোপীয়ান সেন্ট্রাল ব্যংক -এর হার তার চেয়েচড়া হবার সম্ভাবনা রয়েছে।। তারা বিশ্বাস করেন যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক চলতি বছরের শেষের দিকে সুদের হার বাড়াবে।
বর্তমানে, বেশিরভাগ ব্যবসায়ীর অনুমান এই যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া ওমিক্রনের উদ্বেগ কমার পরে আগামি সেপ্টেম্বরে সুদের হার ১০ বেসিস পয়েন্ট বেড়ে যেতে পারে। আরও বাস্তবসম্মত ওনুমানের হসাবে এই বৃদ্ধি অক্টোবরে হতে পারে এবং পরবর্তীতে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি এবং মার্চ মাসে একই পরিমাণে আরও দুটি বৃদ্ধি দেখা যেতে পারে।
এই পূর্বাভাসগুলো মার্কিন ফেডের মার্চ মাসে রেট বাড়ানোর ইঙ্গিত, এবং জেপিমর্গ্যানের সিইও জেমি ডিমনের বক্তব্যের পরে সামনে আসা শুরু করে যেখানে তিনি এই বছর সুদের হার প্রায় সাত গুণ বাড়তে পারে বলে উল্লেখ করেন। এদিকে, মরগান স্ট্যানলির কৌশলবিদরা বলেছেন যে এই বছরসুদের হার ২৫ বেসিস পয়েন্ট করে চারবার বাড়তে পারে।
কিন্তু সবাই একথা বিশ্বাস করে না যে ইউরোপীয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংকও এই বছর সুদের হার বাড়াবে, বিশেষ করে যেহেতু ইউনিয়ন ব্যাংক অফ সুইজারল্যান্ড (UBS) নিশ্চিত যে এই বছর মুদ্রাস্ফীতি ধীরে ধীরে কমবে৷ তাদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ইসিবি বন্ড ক্রয় কার্যক্রম বন্ধ করার পর, ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে তার আমানতের হার বাড়াবে।
এটি ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের পরিকল্পনার সাথে খুব বিপরীত কারন ব্যাংকটি ইতোমধ্যেই পরের মাসে সুদের হার ০.৫% বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। অনেকে বলছেন যে এই ধরনের পরিস্থিতিতে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক অকার্যকর বন্ডে পুনর্বিনিয়োগ বন্ধ করে তার খরচের খাত কমাতে শুরু করবে।
যাইহোক, এটি অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানটিকে উলটো বিপদে ফেলতে পারে, কারণ এটি লোনের খরচ দ্রুত বৃদ্ধির ঝুঁকি তৈরি করবে, যা ব্রিটেনের ট্রেজারি সেক্রেটারি ঋষি সুনাকের সরকারি অর্থায়ন কে বিপদ মুক্ত করার পরিকল্পনাকে ব্যর্থ করবে।
ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড ডিসেম্বরে সুদের হার বাড়ানোর কারনে বর্তমানে, ১০ বছর মেয়াদী প্রবৃদ্ধি ৪০ বেসিস পয়েন্টের বেশি বেড়েছে। পরিস্থিতির এমন পরিবর্তনে, প্রবৃদ্ধি ১.২০% এর উপরে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে।
ব্যাংকটি এমন আক্রমনাত্মক পদক্ষেপ নিচ্ছে কারণ ব্রিটেনের মুদ্রাস্ফীতি ইতোমধ্যেই ৬% এর কাছাকাছি পৌঁছেছে যা গত ৩০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এতে করে ব্যবসায়ীরা ফেব্রুয়ারির ৩ তারিখে অগ্রীম সুদের হার বৃদ্ধির ধারণা করছে।
সম্ভবত, আজ ইংল্যান্ডের কর্মসংস্থান প্রতিবেদন প্রকাশের পরে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হবে। সামগ্রিক বেকারত্বের হার এবং চাকুরিচ্যুত জনসংখ্যা এই বছর আরও আক্রমনাত্মক হার বৃদ্ধির ধারণাকে শক্তিশালী করবে।
EUR/USD সম্পর্কে বললে, ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ১.১৩৯০ এর সমর্থন স্তরকে অতিক্রম করে বেশ সক্রিয় অবস্থান নিয়েছে। এই কারণেই তাদের এখনই প্রয়োজন ১.১৪২০ প্রতিরোধ স্তরের উপর নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করা যাতে করে ১.১৪৫০ এবং ১.১৪৯০ এর উচ্চ স্তরের দিকে লাফ দিতে পারে। কিন্তু যদি নিম্নমুখী প্রবণতা ১.১৩৯০ সমর্থন স্তরের নিয়ন্ত্রণ নেয়, তাহলে এই মুদ্রা-জোড়াটি ১.১৩৫০ এবং তারপর ১.১৩২০ নিম্নস্তরে নেমে যাবে।
GBP/USD জোড়াটিতে, ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাটি ১.৩৬৫৫ এর প্রতিরোধ স্তরকে ছাড়িয়ে যাওয়ার জন্য আরও প্রচেষ্টা করতে হবে। শুধুমাত্র এই স্তরটি ভেদ করতে পারলেই প্রবণতাটি ১.৩৭০০ এবং ১.৩৭৪০ স্তরে উত্থান কে ত্বরান্বিত করবে। অন্যথায়, মুদ্রা-জোড়াটি১.৩৬১০ সমর্থন স্তরে ভেদ করে যাবে এবং তারপর ১.৩৫৬০ এবং ১.৩৫৩০ আরো নিম্নস্তরে নেমে যাবে।