ইউক্রেনের ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা নিয়ে পশ্চিমা গণমাধ্যমের উম্মাদনা চরমে পৌঁছেছে। নেতৃস্থানীয় সব ব্যবসায়িক গণমাধ্যম যেমন ব্লুমবার্গ, রয়টার্স এবং সিএনবিসিও এই ঘটনার সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত।
ভূ-রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের সূচনা সক্রিয়ভাবে এই সংস্থাগুলোর ওয়েবসাইটে প্রচার করা হয়েছে, যা বৈশ্বিক স্টক সূচকগুলোর পতনের কারণ বলে মনে করা হয়। যাইহোক, বাজার স্পষ্টতই এই দিকে মনোযোগ দিচ্ছে না, বরং তাদের পুরোপুরি মনোযোগ মার্চের ফেড বৈঠকে সুদের হারের প্রত্যাশিত বৃদ্ধির উপর নিবদ্ধ। ঘতনার বিবেচনায়, আমরা বলতে পারি যে ভূ-রাজনৈতিক সমস্যা হল এক ধরণের সাজানো পর্দা যার পিছনে ফেড আশ্রয় নিয়েছে এবং, যেমনটি বিশ্বাস করা হয়, ১৬ মার্চের বৈঠকের পরপরই ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে খরচের হার বর্তমান শূন্য থেকে ০.৫০% বৃদ্ধি করা হবে। ।
সোমবার, বিনিয়োগকারীরা ফেডের জরুরী বৈঠকের জন্য উদ্বিগ্নভাবে অপেক্ষা করছিলেন, যা আদৌ অনুষ্ঠিত হয়েছে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়, কারণ এই বিষয়ে কোনও প্রকৃত তথ্য নেই।
এদিকে, পশ্চিমা গণমাধ্যমের উন্মাদনার মধ্যে আজ এশিয়ান স্টক সূচকগুলো কিছুটা মূল্য ফিরে পেয়েছে - একদিকে, ভূ-রাজনৈতিক আক্রমণ সম্পর্কে গণমাধ্যমের পূর্বাভাস বাস্তবায়ন না হওয়ার কারণে, এবং অন্যদিকে, বাজার মনে হচ্ছে পরের মাসে ফেডের হার ০.৫০% বৃদ্ধি গ্রহণ করতে তারা প্রস্তুত। এর প্রেক্ষিতে, মার্কিন স্টক সূচকগুলির ফিউচারস দিক পরিবর্তিত হয়ে লেনদেন করে, যেখানে ইউরোপীয় স্টক সূচকগুলোর ফিউচারস এখনও "লাল" অঞ্চলে রয়েছে৷
বিনিয়োগকারীরা সম্ভবত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ০.৫০% হার বৃদ্ধির নতুন বাস্তবতার সাথে খাপ খাইয়ে নিতে শুরু করেছে, যা ইউক্রেন থেকে কোনো ধরনের উস্কানি না হলে নেতিবাচক বাজারের মনোভাবের ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটাতে পারে।
মুদ্রা বাজারের ক্ষেত্রে, মার্কিন ডলার সোমবার সমর্থন পেয়েছে, তবে সাধারণভাবে, এটি 95.50-96.50 পয়েন্টের মধ্যে রয়েছে। মার্কিন সরকারের বন্ডের আয় স্থিতিশীল হচ্ছে। ২ বছরের আয় 1.6% স্তরের নিচে বন্ধ হয়ে গেছে এবং ১০ বছরের ট্রেজারির বেঞ্চমার্ক 2.0% লেভেলের ঠিক নিচে স্থিতিশীল। কিছু বিনিয়োগকারী সম্ভবত ইউক্রেনে একটি সংঘাতের সম্ভাব্য প্রাদুর্ভাবের জন্য অপেক্ষা করছে, যা এই আর্থিক সম্পদগুলোর স্পষ্ট গতিশীলতার অভাবের কারণে ঘটছে।
আমরা বিশ্বাস করি যে আগামী দিনে ইউক্রেনের পূর্বে কিছুই ঘটবে না। বিনিয়োগকারীরা শান্ত হতে পারে এবং কোম্পানির শেয়ারের চাহিদার পুনরুদ্ধার এবং অপরিশোধিত তেলের দামের পতন পর্যবেক্ষণ করা যেতে পারে, যা সম্প্রতি পশ্চিমা গণমাধ্যমে ভূ-রাজনৈতিক সংঘাতের বিষয়টিকে প্রচারণার মধ্যেই বৃদ্ধি পেয়েছে।
দিনের পূর্বাভাস:
EUR/USD পেয়ার 1.1300 স্তরে সমর্থন খুঁজে পেয়েছে। ইউরোজোনের ৪র্থ ত্রৈমাসিকের জিডিপি পরিসংখ্যান প্রকাশের মধ্যে যদি বাজারের মনোভাব একটি ইতিবাচক দিকে পরিবর্তিত হয়, তাহলে এই পেয়ার 1.1380 স্তর পর্যন্ত পুনরুদ্ধার সম্ভব হতে পারে।