আজ ফেডের দুই দিনব্যাপী মুদ্রা নীতিমালা সংক্রান্ত বৈঠক শুরু হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অব্যাহত মুদ্রাস্ফীতি এবং ইউক্রেনের ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
অনেকেই আশা করছে যে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক আগামীকাল সুদের হার 0.25% বৃদ্ধি করবে, বৃদ্ধির পরিমাণের ব্যপ্তি 0.0% -0.25% থেকে 0.25% -0.50% হতে যাচ্ছে। এরূপ ধারণা বাস্তবায়িত হলে স্টকের চাহিদা বাড়বে, ডলারের চাহিদা কমবে। কিন্তু যদি এরকম কোন সংকেত দেওয়া হয় যে ব্যাংকটি বর্তমান পরিস্থিতির অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে, তাহলে বাজারের পরিস্থিতি নাটকীয়ভাবে পরিবর্তিত হতে পারে।
মার্কিন মুদ্রাস্ফীতির অব্যাহত বৃদ্ধি কি সুদের হার বৃদ্ধির শক্তিশালী সংকেত? হ্যাঁ, এটা হতে পারে, কিন্তু এক্ষেত্রে, ভূ-রাজনৈতিক সংঘাতের কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি পূর্ণ মন্দায় পড়বে।
ধারণা করা হচ্ছে যে ফেড সুদের হার শুধুমাত্র 0.25% থেকে 0.50% পর্যন্ত বাড়িয়ে বাজারে প্রত্যাশিত নেতিবাচক পরিণতিগুলোকে প্রশমিত করার চেষ্টা করবে৷ মার্কিন ফেড কর্তৃক সুদের হার, মুদ্রাস্ফীতি এবং কর্মসংস্থানের পূর্বাভাসও একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। কারণ এই পূর্বাভাসগুলো যদি নেতিবাচক হয় এবং মন্দার সম্ভাবনাকে প্রতিফলিত করে, তবে বাজারে ব্যাপকভাবে সেল-অফ বা লেনদেনের পরিমাণে উল্লেখযোগ্য হ্রাসের নতুন প্রবণতা বা ওয়েভ দেখা যাবে। পাওয়েলের বক্তব্যও এক্ষেত্রে নির্ণায়ক হবে কারণ ফেডের ডোভিশ বা রক্ষণাত্নক অবস্থান বাজারে বুলিশ প্রবণতা নিয়ে আসতে পারে।
সংক্ষেপে বলা যায়, এই বৈঠকের ফলাফল ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের স্থানীয় চাহিদা বৃদ্ধি এবং ডলারের দুর্বলতার দিকে নিয়ে যেতে পারে। সেজন্য বাজারে প্রবেশের ট্রেডারদের আগে এই বৈঠকের ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করা উচিত।
আজকের জন্য পূর্বাভাস:
EUR/USD পেয়ার 1.1000 -এর স্তরের নিচে একত্রিত হচ্ছে। আগামীকাল ফেডের বৈঠকের ফলাফলের পর এই পেয়ারের মূল্য 1.1100-এর স্তরে উন্নীত হতে পারে।
স্পট গোল্ড এখনও 1918.55 এর উপরে ট্রেড করছে। কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের চাহিদা বৃদ্ধি পেলে স্বর্ণের মূল্য 1884.80-এ নেমে আসবে।