একক ইউরোপীয় মুদ্রা আবার তার অবস্থান হারাচ্ছে। যদিও বুধবারের পতনের স্কেল এখনো পর্যন্ত সহনীয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে এবং এটি টেকসই পদ্ধতি । মঙ্গলবাবরের বাণিজ্যিক তথ্য থেকে লক্ষ্য করা গিয়েছে যে পাউন্ড পুনুরায় তার অবস্থানে ফিরে এসেছে। কিন্তু তারপরও আজকের বাণিজ্যিক তথ্য অনুসারে একক ইউরোপিয়ান মুদ্রার পতনের সূচন দেখা গিয়েছে। আর এটির কারণ শুধুমাত্র প্লেন অফ এনার্জি ক্যরিয়ার এর মধ্যেই নিহিত রয়েছে।
প্রথমত, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউরোপ সফরের সময় বলেছিলেন যে রাশিয়া থেকে তেল ও গ্যাস সরবরাহের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার জন্য তিনি ইউরোজোনকে অনুরোধ করবেন । অন্যদিকে ইউরোপ রাশিয়ান এনার্জি সরবরাহের উপর অত্যন্ত নির্ভরশীল এবং তাদের এই রিপ্লেসমেন্ট এর বদলে কি করা হবে তাদের কাছে এখন পর্যন্ত সম্পূর্ণরূপে অস্পষ্ট অবস্থায় রয়েছে । মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শুধুমাত্র স্বল্প পরিমানে রপ্তানি করতে পারে যাকিনা রাশিয়ান রিপ্লেসমেন্ট এর বিপরীতে যথেষ্ট সরবরাহ নয়। এবং এখন পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানীর দাম রাশিয়ার তুলনায় অনেক বেশি ব্যয়বহুল এই বিষয়ে কারো ভ্রুক্ষেপ নেই । সুতরাং যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপকে পরিচালনা করার পরিকল্পনা করে সেক্ষত্রে এনার্জি এর এই ঘাটতি পূরণ করতে জ্বালানির দাম আরো বৃদ্ধি করতে হবে যা কিনা ইউরোপীয় অর্থনীতির জন্য ধ্বংসের কারণ হতে পারে।
দ্বিতীয়ত, রাশিয়ান ফেডারেশন বুধবার ruble এর জন্য গ্যাস বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শুধুমাত্র বন্ধুত্বহীন দেশগুলির জন্য, যেখানে সমগ্র পশ্চিম ইউরোপ রয়েছে। অবশ্যই, এটি তাদের জন্য একটি ধাক্কার মতো ,কারণ যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে , বিশ্বে কাঁচামালের দাম একচেটিয়াভাবে ডলারে নির্ধারণ করা হয়েছিল। মোটামুটিভাবে বলতে গেলে, একটি সমন্বিত মূল্য নির্ধারণ এবং নিষ্পত্তি ব্যবস্থা ছিল। এটি অত্যন্ত সুবিধাজনক এবং দামগুলিকে একটি নির্দিষ্ট অভিন্ন মানদণ্ডে আনতে সাহায্য করে , যা খরচ কমাটাও সাহায্য করে ।
বিভিন্ন মুদ্রায় দাম নির্ধারণ করা হলে তা বাজারে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করবে। সমগ্র পৃথিবীতে একক মূল্য পদ্ধতি প্রচলিত রয়েছে। এবং অনিবার্যভাবে এটি কাঁচামালের দাম বৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করবে। এই প্যারাডাইম পরিবর্তনের কোনো কারো আমি দেখিনা। এটাত সম্পূর্ণই দেশগুলো মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে সাহায্য করে। ক্রেতাগণ শুধুমাত্র ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশ থেকেই হবে এমন টি নয় , ক্রেতাগন যে কোনো দেশের হতে পারে, যেমন উত্তর আফ্রিকা বা মধ্যপ্রাচ্য থেকেও হতে পারে। শুধুমাত্র গ্যাস সামান্য বেশি দামে ইউরোপে সরবরাহ করা হবে।
ফলস্বরূপ, ইউরোপের ক্ষেত্রে তাদের এনার্জি সাপ্লাই এর দাম বাড়তে থাকবে, যা ইউরোপীয় অর্থনীতির উপর খুব নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। সুতরাং এক্ষেত্রে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নয় যে ইউরোপীয় মুদ্রা তাদের অবস্থান হারাচ্ছে। এবং আশ্চর্যজনকভাবে, রাশিয়ান ফেডারেশনের সিদ্ধান্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নকে আরও এগিয়ে নিয়ে যায় কারণ তারা এখনো মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে গ্যাস কিনছে , সরাসরি নয়। এবং ইউরোপকে এখনও এটির মূল্য দিতে হচ্ছে যার ফলে পাউন্ড এবং একক ইউরোপীয় মুদ্রা উভয়েরই দুর্বলহয়ে পড়ছে ।
EURUSD মুদ্রা জোড়া 1.1000 এর একটি নিম্নগামী বিচ্যুতির মধ্যে দিয়ে চলমান রয়েছে এবং যা তারা তাদের অনুমানমূলক কার্যকলাপ দ্বারা তারা প্রদর্শন করছে। যদি মার্কেট মূল্য 1.0960 এর নিচে রাখা হয় তবে এই সাংকেতিক মূল্য কে বেবহার করে ডলার এর শক্ত অবস্থান সুনিশ্চিত করা সম্ভব কারণ বাজারের দামের গতিবিধির উপর লক্ষ্য করলেই দেখা যায় এটি এখনো নিম্নমুখী অবস্থানের রয়েছে।
GBPUSD এর এই কারেন্সি পেয়ার, 1.3300 এর রেজিস্ট্যান্স লেভেল থেকে প্রাইস রিবাউন্ডের সময়, 1.3180 এ ফিরে গিয়েছে , এবং এটি চলাকালীন সময় সামান্য অচল অবস্থায় ছিল । 1.3170 এর নিচে দাম রাখার পর, ভলিউম আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে, যা ভবিষ্যতে ডলারকে 1.3120-1.3100-তে উর্ধমুখী অবস্থানে নেবে বলেই ধানরা করা হচ্ছে । অন্যথায়, নিম্নগামী অবস্থান আবারো ফিরে আসতে পারে।