রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, "রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ মঙ্গলবার সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদের সাথে দেখা করেছেন এবং উভয়েই " ওপেকপ্লাসের (OPEC+) কাঠামোয় সহযোগিতার স্তরের প্রশংসা করেছেন"।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে যে কয়েকটি ওপেক সদস্য দেশ উৎপাদন চুক্তিতে রাশিয়ার অংশগ্রহণ স্থগিত করার কথা বিবেচনা করছে, কারণ পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার ফলে দেশটির আরও উৎপাদন সক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
ডব্লিউএসজে-এর প্রতিবেধন অনুসারে, চুক্তি থেকে রাশিয়াকে অব্যাহতি দেয়া হলে সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো অন্যান্য দেশ উৎপাদন বাড়াতে পারবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ এবং আন্তর্জাতিক শক্তি সংস্থা এইরূপ পদক্ষেপের জন্য চাপ প্রয়োগ করছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত উভয়েই বারবার নিশ্চিত করেছে যে তারা ওপেকপ্লাস (OPEC+) চুক্তির নির্ধারিত কোটার বাইরে তেল উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে না। তবে, চুক্তি থেকে রাশিয়াকে অব্যাহতি দেয়া হলে এই পরিকল্পনায় পরিবর্তন আসতে পারে। ওপেকপ্লাস সদস্যভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত সর্বাধিক উৎপাদন সক্ষমতা সম্পন্ন দেশ।
আজ, অপেকপ্লাস উৎপাদন সংক্রান্ত আলোচনায় বসবে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের নিবন্ধটি প্রকাশিত হওয়ার আগ পর্যন্ত বিশ্লেষকরা এই জোটের কাছ থেকে কোনো আশ্চর্যজনক পদক্ষেপের আশা করেননি। অজ্ঞাত ওপেক প্রতিনিধিদের উদ্ধৃত করে ডব্লিউএসজে-এর প্রকাশিত প্রতিবেদনে ওপেকের বৈঠকে অংশগ্রহণকারীদের জন্য আগ্রহের কারণ হতে পারে।
তেলের দাম স্থিতিশীলভাবে $100 ডলারের মনস্তাত্ত্বিক স্তরের কাছাকাছি অবস্থান করছে এবং বর্তমানে $113 ডলারের উপরে ট্রেড করছে:
তেলের বাজারকে সমর্থন করার জন্য 2016 সালে ওপেকপ্লাস প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে, এই জোটের লক্ষ্য ছিল মূল্য হ্রাসের আগেই উৎপাদন হ্রাস করা। লকডাউনের সময় এই জোটভুক্ত সদস্য দেশগুলো উৎপাদনের পরিমাণ প্রতিদিন 8 মিলিয়ন ব্যারেল নির্ধারণ করেছিল। গত বছর, জ্বালানির চাহিদা বাড়ায় প্রাক-মহামারী স্তরে উৎপাদন নেয়ার পরিকল্পনায় আগের চুক্তি বাতিল করা হয়েছিল।