চীনে কোভিড-১৯ সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় তেলের দাম কমছে। আইইএ (IEA) সতর্ক করেছে যে জ্বালানি সংকটের সবচেয়ে খারাপ সময় সামনে হতে পারে।
ডব্লিউটিআই প্রায় ২% হারিয়ে, ব্যারেল প্রতি ১০২ ডলারের কাছাকাছি ট্রেড করেছে। চীনে করোনভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধি এবং ক্রমবর্ধমান মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি চাহিদার উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলছে বলে পণ্যবাজারে স্পষ্টতই বিয়ারিশ অনুভূতি প্রবেশ করেছে। ডলারের ক্রমাগত বৃদ্ধি চাপ আরও বাড়ীয়ে দিচ্ছে, যা বিনিয়োগকারীদের কাছে তেলকে কম আকর্ষণীয় করে তুলছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আক্রমনাত্মকভাবে হার বাড়ানোতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মন্দার দিকে যেতে পারে এমন ক্রমবর্ধমান আশংকার মধ্যেও জুনের শুরু থেকে অপরিশোধিত তেলের দাম কমেছে। আইইএর (IEA) নির্বাহী পরিচালক ফাতিহ বিরল বলেছেন, দেশগুলো প্রথম বৈশ্বিক জ্বালানি সংকটের সম্মুখীন হচ্ছে এবং সম্ভবত, সবচেয়ে খারাপ সময় এখনও আসতে বাকি।
ভান্দা ইনসাইটসের প্রতিষ্ঠাতা বন্দনা হরি বলেছেন, "তেল নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার মধ্যে মন্দার ভয় একটি প্রভাবশালী চালিকা হিসেবে রয়েছে।" তিনি উল্লেখ করেছেন যে, বাজার পরিবর্তনশীল চাহিদা প্রত্যাশা এবং সরবরাহের সম্ভাবনার ভারসাম্য বজায় রাখার চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে যা একটি অস্থিতিশীল প্রক্রিয়া হতে পারে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন উচ্চ জ্বালানি মূল্য যা বিশ্ব অর্থনীতিকে বড় ধাক্কা দিয়েছে তা রোধ করার প্রয়াসে, এই সপ্তাহে সৌদি আরব সফরের পরিকল্পনা করেছেন । মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে যে ওপেকের কাছে উৎপাদন বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে এবং বাইডেনের সফর এই বিষয়ে কোনো চুক্তির দিকে নিয়ে যেতে পারে।
চীনে ফিরে য়াসা যাক, প্রায় ৩০ মিলিয়ন মানুষ কিছু ধরণের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার অধীনে রয়েছে কারণ আরও শহর এবং কাউন্টিগুলো পুনরুত্থিত কোভিড -১৯ প্রাদুর্ভাবকে দমন করতে চায়। চীন সোমবার ৩৪৭ টি নতুন সংক্রমণ রিপোর্ট করেছে।