গত সপ্তাহে বাজারের মন্থর অবস্থার বিপরীতে, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সংক্ষিপ্ত ট্রেডিং সময়ের মধ্যে সীমিত কার্যকলাপের কারণে হয়েছিল, এই সপ্তাহটি মূল অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের কারণে শক্তিশালী মুভমেন্ট হতে বাধ্য। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল জার্মানি এবং সামগ্রিকভাবে ইউরোপীয় অঞ্চলের ভোক্তা মূল্যস্ফীতির পরিসংখ্যান৷ তবে সূচকে সামান্য সংশোধন দেখা গেলেও ইউরোর পারফরম্যান্সে এর বড় প্রভাব পড়বে না।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, মূল PCE-এর প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে, যেটিকে সামান্য সংশোধনও দেখাতে হবে। এটি 13 এবং 14 ডিসেম্বর ফেডের বৈঠকের পরে সুদের হারের বিষয়ে ফেডের সিদ্ধান্তের উপর একটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। সংশোধিত মার্কিন জিডিপি পরিসংখ্যানগুলোও নজরে রাখা উচিৎ কারণ এটি ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে বৃদ্ধি দেখাতে পারে। আরেকটি হল ম্যানুফ্যাকচারিং বা উৎপাদন প্রতিবেদন, যা উন্নত ইউরোপীয় অর্থনীতিতে কিছুটা স্থবিরতা দেখাতে পারে কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সামান্য পতন দেখাতে পারে। অবশ্যই, নভেম্বরের মার্কিন কর্মসংস্থানের তথ্যও গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে যেহেতু সেখানে সামান্য সংশোধন আশা করা হচ্ছে। তারপরও এই পরিসংখ্যান ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ইসিবি এবং ফেড কর্মকর্তাদের নির্ধারিত বক্তৃতাগুলো বাজারের ট্রেডারদেরকে ডিসেম্বরের বৈঠক শেষে কী আশা করতে হবে তা বুঝতে সহায়তা করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, জেরোম পাওয়েলের বক্তৃতা একটি ধারণা দেবে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মন্দা থেকে দূরে রাখতে সক্ষম কিনা। এটি নির্ধারণ করবে যে সুদের হার আরও 0.75% বা মাত্র 0.50% বৃদ্ধি পাবে কিনা।
অর্থনৈতিক তথ্য যদি নিম্নমুখী না হয়, মুদ্রাস্ফীতির চাপ, শক্তিশালী শ্রমবাজার, দমিত ব্যবসায়িক কার্যকলাপ এবং সম্ভাব্য আক্রমনাত্মক সুদের হার বৃদ্ধির ইঙ্গিত না করে, তাহলে ইকুইটি বাজারে র্যালি দেখা যেতে পারে, যা ট্রেজারি ইয়েল্ড এবং মার্কিন ডলারকে নিম্নমুখী করে দেবে।
আজকের পূর্বাভাস:
GBP/USD
এই পেয়ার 1.2020 এ সাপোর্ট খুঁজে পেয়েছে। এর উপরে একটি কনসলিডেশন ও বাজারের ইতিবাচক সেন্টিমেন্ট এই পেয়ারের কোটকে 1.2185-এ ঠেলে দিতে পারে।
USD/JPY
যদিও এই পেয়ার বর্তমানে 138.00 এর উপরে ট্রেড করছে, এটির নিচে একটি পতন 136.60 এর দিকে পতন ঘটাতে পারে।