প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং রিপাবলিকান হাউস স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি সোমবার বিপর্যয়মূলক মার্কিন ডিফল্ট বা দেউলিয়াত্ব প্রতিরোধের লক্ষ্যে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য বৈঠকে বসতে চলেছেন।
সাম্প্রতিক দিনগুলিতে, পরস্পরবিরোধী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে যে ঋণ সীমা সংক্রান্ত আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে, তারপরও অচলাবস্থা বহাল রয়েছে। তবে যা স্পষ্ট তা হল উভয় পক্ষই এখনও রাজনৈতিক সুবিধার জন্য লড়াই করছে এবং নিজেদের জন্য আরও সুবিধাজনক চুক্তির আশা করছে। প্রকৃতপক্ষে, কর্মকর্তারা রবিবার সন্ধ্যায় মার্কিন রাজধানীতে ম্যাকার্থির অফিসে দুই ঘণ্টারও বেশি সময় কাটিয়েছেন, তবে বৈঠকের বিবরণ প্রকাশ করা হয়নি।
এ কারণে অনেক ট্রেডার মুল্যের আরও অস্থিরতার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। গত শুক্রবার, ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল থেকে তুলনামূলকভাবে ডোভিশ বিবৃতি সত্ত্বেও, রিপাবলিকানরা সাময়িকভাবে আলোচনা বন্ধ করার পরে স্টক মার্কেটে দরপতন হয়েছে।
বাইডেন রবিবার ম্যাকার্থির সাথে কথা বলেছিলেন, যা পরবর্তীতে কার্যকর আলোচনা হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন, যা বাজারে পূর্ববর্তী হতাশাজনক পরিস্থিতি থেকে আশাবাদী পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু একই দিনে, ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যানেট ইয়েলেন বলেছিলেন যে জুনের মাঝামাঝি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমস্ত বিল পরিশোধ করতে সক্ষম হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম ছিল। ইয়েলেন পরিস্থিতির গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছিলেন, সেই সময়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অর্থপ্রদানের কথা উল্লেখ করে এবং জুন 1 এর মধ্যে সমস্ত সমস্যা সমাধানের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেছিলেন। তিনি পূর্বে সতর্ক করেছিলেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমস্ত ঋণের বাধ্যবাধকতা পূরণের জন্য অর্থ শেষ হয়ে যেতে পারে। গোল্ডম্যান স্যাকসের অর্থনীতিবিদরাও অনুমান করেছেন যে জুন মাসে মার্কিন ট্রেজারির অবশিষ্ট নগদ অর্থ ঋণ পরিশোধ মেটাতে প্রয়োজনের তুলনায় কম হবে।
খরচ কমানো এবং ঋণের সীমাবদ্ধতা এই আলোচনায় মতবিরোধের মূল বিষয়। জাপান ছাড়ার আগে, বাইডেন সাংবাদিকদের বলেছিলেন যে তিনি ব্যয় হ্রাসের প্রস্তাব করেছিলেন এবং এখন রিপাবলিকানদের দাবিগুলো পুনর্বিবেচনার বিষয়। দেশটির প্রেসিডেন্ট জোর দিয়ে বলেছিলেন যে তিনি এমন একটি চুক্তিতে সম্মত হবেন না যা একই সাথে স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষার জন্য তহবিল কমানোর সাথে সাথে ধনী এবং জীবাশ্ম জ্বালানী এবং ওষুধ কোম্পানিগুলির জন্য কর মওকুফ সুরক্ষিত করে।
যাই হোক না কেন, বাজারের ট্রেডারদের এবং বিনিয়োগকারীদের আশাবাদ আলোচনার ফলাফলের উপর নির্ভর করবে। এই আলোচনার অগ্রগতি হলে সেটি ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের মূল্য বৃদ্ধির সুযোগ দেবে, ইউরো এবং পাউন্ড উভয়ের অবস্থানকে শক্তিশালী করবে।
ফরেক্স মার্কেটের পরিপ্রেক্ষিতে, ইউরোর মূল্যে এখনও বিয়ারিশ প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, কিন্তু প্রবৃদ্ধি দেখার সম্ভাবনাও রয়েছে। এর জন্য, এই পেয়ারের কোঁতকে 1.0790 এর উপরে থাকতে হবে বা 1.0835-এ পৌঁছাতে হবে। তাহলে মূল্য 1.0870 ছাড়িয়ে 1.0905 এর দিকে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাবে। 1.0790 এর কাছাকাছি মূল্য হ্রাসের ক্ষেত্রে, ইউরোর মূল্য 1.0760 এবং 1.0720 এ নেমে যাবে।
পাউন্ডের উপর চাপও রয়ে গেছে, তাই বৃদ্ধির জন্য, এই পেয়ারের কোটকে 1.2470 এর উপরে কনসলিডেট করতে হবে। শুধুমাত্র এটিই 1.2510 এবং 1.2540-এ মূল্যের অনেক বড় বৃদ্ধি ঘটাবে। যদি দরপতন হয়, বিক্রেতারা মূল্যকে 1.2420 নেওয়ার চেষ্টা করবে, যা 1.2390 এবং 1.2350-এ দরপতন ঘটাতে পারে।
