সামষ্টিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:
বুধবার, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোনও সামষ্টিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না তদুপরি, সমস্ত মৌলিক ঘটনা যা তাত্ত্বিকভাবে এই পেয়ারের মুভমেন্টক প্রভাবিত করতে পারে সেগুলো সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হবে, যখন নতুন ট্রেডাররা বাজার ছেড়ে চলে যাবে বলে আশা করা হয়। একমাত্র উল্লেখযোগ্য ঘটনাটি সম্ভবত সর্বশেষ ফেডারেল রিজার্ভের মিটিংয়ের মিনিট বা কার্যবিবরণীর প্রকাশ, কিন্তু এই ধরনের প্রতিবেদনে খুব কমই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকে। আমরা কেবল জানতে পারব যে কতজন সদস্য আর্থিক কমিটির মে বৈঠকে সুদের হার বৃদ্ধিকে সমর্থন করেছিলেন। তবে মার্কিন ডলারের ওপর এই তথ্যের উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা নেই। সামগ্রিকভাবে, সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমি নির্বিশেষে এই পেয়ারের দরপতন অব্যাহত রাখা উচিত।
মৌলিক ঘটনা:
তবে বুধবার বেশ কিছু মৌলিক ঘটনা ঘটবে। প্রথম এবং সর্বাগ্রে রয়েছে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ডের বক্তৃতা। আমরা তার কাছ থেকে কোন সাহসী বিবৃতি আশা করি না, এবং বাজার স্পষ্টভাবে জানে যে আগামী মাসগুলিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের থেকে কী আশা করা উচিত, তবে মাঝে মাঝে এখনও অপ্রত্যাশিত মন্তব্য করা হয়। যুক্তরাজ্যে, ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলি একটি বক্তৃতা দেবেন। তিনি ইতোমধ্যে সংসদে তার ব্যাংকিং সহকর্মীদের সাথে কথা বলেছেন। সম্ভবত, বুধবারের বক্তৃতা একই রকম হবে তবে ভিন্ন একটি কমিটির সামনে। অতএব, নতুন মন্তব্য এবং বিবৃতি অনুমান করার প্রয়োজন নেই। যাইহোক, বেইলির বক্তৃতাটি সন্ধ্যার পরিবর্তে দিনের যেকোন সময়ে দেয়া হবে, তাই বাজারের ট্রেডাররা এখনও এটিতে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে।
এছাড়াও সন্ধ্যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, ফেডারেল রিজার্ভের আর্থিক কমিটির অন্যতম সদস্য ক্রিস্টোফার ওয়ালার একটি বক্তৃতা দেবেন। গত দুই সপ্তাহে, আমরা ফেড কর্মকর্তাদের বেশ কয়েকটি অনুরূপ বক্তৃতা দেখেছি, কিন্তু কেউই এমন কিছু বলেননি যা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। একই সময়ে, ফেডের বেশ কয়েকজন প্রতিনিধি আরও উল্লেখযোগ্যভাবে সুদের হার বৃদ্ধির পরামর্শ দিয়েছেন, যার পটভূমি মার্কিন ডলারকে সমর্থন করতে পারে।
সাধারণ উপসংহার:
বুধবারের ক্যালেন্ডারে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা রয়েছে। আমরা বেইলি এবং লাগার্ডের বক্তৃতার উপর নজর রাখব। যেহেতু এই মুহূর্তে মূল্যের অস্থিরতা তুলনামূলকভাবে দুর্বল, বক্তৃতার প্রতিক্রিয়াও হালকা হতে পারে। যাইহোক, একটি ছোট সম্ভাবনা আছে যে তাদের বক্তব্যে নতুন তথ্য প্রকাশ করতে পারে যা মূল্যের আরও উল্লেখযোগ্য মুভমেন্ট শুরু করতে পারে।
ট্রেডিং সিস্টেমের সাধারণ নীতিমালা:
1) সংকেত গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সংকেতের শক্তি নির্ধারণ করা হয় ( রিবাউন্ড বা স্তরের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সংকেত তত শক্তিশালী হয়।
2) যদি কৃত্রিম সংকেতের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট স্তরের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক ট্রেড খোলা হয় যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্য স্তরে পৌছায়নি, তাহলে এই স্তরের কাছাকাছি প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সংকেত উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট প্রবণতার সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক কৃত্রিম সংকেত তৈরি হতে পারে বা কোন সংকেতের গঠন নাও হতে পারে। যেকোন ক্ষেত্রে, ফ্ল্যাট প্রবণতা ট্রেডিং করার সেরা পরিস্থিতি নয়।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং ঘন্টার মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত ডিল ম্যানুয়ালি বন্ধ করতে হবে।
5) আমরা 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সংকেত ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারি, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।
6) যদি দুটি গুরুত্বপূর্ণ স্তর একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপ পর্যন্ত), তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স স্তর হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
চার্টে কীভাবে বুঝতে হয়:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স স্তরগুলো হল সেই স্তর যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই স্তরগুলোর কাছাকাছি লাভ করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল।
MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সংকেত লাইন নিয়ে গঠিত। যখন এগুলো অতিক্রম করা হয়, সেটি বাজারে এন্ট্রির একটি সংকেত। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।
ফরেক্সে নতুনদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।
