আর্থসামষ্টিক প্রতিবেদনের পর্যালোচনা
বুধবার কয়েকটি অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার কথা রয়েছে। মূলত, আমরা শুধুমাত্র জার্মানি, যুক্তরাজ্য এবং ইইউ-এর পরিষেবার প্রতিবেদনের দিকে নজর দিতে পারি। তিনটি ক্ষেত্রেই, ট্রেডাররা সূচকগুলোর চূড়ান্ত, দ্বিতীয় পূর্বাভাস পাবেন, যা দুই সপ্তাহ আগে প্রকাশিত প্রথম পূর্বাভাস থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে আলাদা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। অতএব, আমরা বাজারে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া আশা করি না। যাইহোক, ব্যবসায়িক ক্রিয়াকলাপ সূচকের সাধারণ প্রবণতা নিম্নগামী, তাই এমন একটি সম্ভাবনা রয়েছে যে সূচকসমূহের প্রকৃত মান পূর্বাভাসের চেয়ে নিম্নমুখী হবে, যা ইউরো এবং পাউন্ডের উপর সামান্য চাপ সৃষ্টি করতে পারে। যাইহোক, ইউরোর মূল্য এই মুহূর্তে স্থির রয়েছে এবং পাউন্ডের মূল্য যে কোনও পরিস্থিতিতে বাড়তে পারে।
মৌলিক ঘটনাবলীর পর্যালোচনা
বুধবার দুটি মৌলিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। দুটিই সন্ধ্যার পর অনুষ্ঠিত হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, ফেডারেল রিজার্ভের সর্বশেষ সভার কার্যবিবরণী প্রকাশিত হবে, যেখানে আর্থিক নীতি কঠোর করার জন্য সুদের হার বৃদ্ধিতে বিরতি নেওয়া হয়েছিল। সাধারণত, ফেডের বৈঠকের কার্যবিবরণী বাজারে তেমন কোনও প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে না, কারণ সেগুলোতে খুব কমই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকে যা ইতোমধ্যে বাজারের ট্রেডাররা পায়নি। যাইহোক, প্রতিটি নিয়মের ব্যতিক্রম আছে। যে কোনও ক্ষেত্রে, নতুন ট্রেডাররা এই ইভেন্টের আগে বাজার থেকে প্রস্থান করতে পারেন।
এছাড়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, FOMC সদস্য জন উইলিয়ামস একটি বক্তৃতা দেবেন। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে, আমরা তার সহকর্মীদের কাছ থেকে বেশ কয়েকটি বক্তৃতা শুনেছি, তাই আমরা কমবেশি বুঝতে পারি আসন্ন সভায় ফেডের কাছ থেকে কী আশা করা যায়। এবং, যেমনটি আমরা দেখছি, এই তথ্য ডলারকে খুব বেশি সমর্থন দেয় না। অতএব, উইলিয়ামসের বক্তৃতা থেকে আমরা খুব বেশি আশা করছি না।
উপসংহার
বুধবার, দিনের সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমি খুব দুর্বল হবে, তাই আমরা বিশ্বাস করি যে আগামীকালও মূল্যের দুর্বল অস্থিরতা বজায় থাকবে। সন্ধ্যার অনুষ্ঠানগুলো তাত্ত্বিকভাবে বাজারে অস্থিরতার ঢেউ উস্কে দিতে পারে। খুব সম্ভবত, আমরা অস্থির বৃহস্পতি এবং শুক্রবারের আগে টানা তৃতীয় বিরক্তিকর দিন পার করছি।
ট্রেডিং সিস্টেমের সাধারণ নীতিমালা:
- 1) সংকেত গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সংকেতের শক্তি নির্ধারণ করা হয় ( রিবাউন্ড বা স্তরের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সংকেত তত শক্তিশালী হয়।
- 2) যদি কৃত্রিম সংকেতের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট স্তরের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্য স্তরে পৌছায়নি), তাহলে এই স্তরে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সংকেত উপেক্ষা করা উচিত।
- 3) ফ্ল্যাট ট্রেডিংয়ের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক কৃত্রিম সংকেত তৈরি হতে পারে বা কোন সংকেতের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।
- 4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং ঘন্টার মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি বন্ধ করতে হবে।
- 5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সংকেত ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।
- 6) যদি দুটি স্তর একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপ পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স স্তর হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স স্তরগুলো হল সেই স্তর যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই স্তরগুলোর কাছাকাছি লাভ করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল।
MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সংকেত লাইন নিয়ে গঠিত। যখন এগুলো অতিক্রম করা হয়, সেটি বাজারে এন্ট্রির একটি সংকেত। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।
ফরেক্সে নতুনদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।
