সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:
মঙ্গলবার, 18 জুলাই, ইইউ এবং যুক্তরাজ্যে কোন গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। শুধুমাত্র মার্কিন খুচরা বিক্রয় এবং শিল্প উতপাদনের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। প্রকৃতপক্ষে, এইগুলো এমন কোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নয় যা বাজারে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে। যদি এই প্রতিবেদনগুলোর প্রকৃত এবং পূর্বাভাসিত মানগুলো ব্যাপকভাবে বিচ্যুত হয়, তাহলে বাজারে প্রতিক্রিয়া দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, কিন্তু কোন ধরনের প্রতিক্রিয়া আশা করা যেতে পারে? যদি এই প্রতিবেদনগুলোর পরিসংখ্যান পূর্বাভাস অতিক্রম করে, আমরা কী মার্কিন মুদ্রার দর বৃদ্ধি পাওয়ার প্রত্যাশা করব? সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে, আমরা অনেকগুলো প্রতিবেদন দেখেছি যেগুলো ডলারের মূল্য়কে বাড়ানোর সম্ভাবনা দেখিয়েছিল, তবুও সেগুলি যথেষ্ট প্রভাব ফেলেনি৷ অন্যদিকে, দুর্বল প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে, ডলারের মূল্য আবার কমার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে প্রতিবেদন ছাড়া ডলারের ক্রমাগত অবমূল্যায়ন বিবেচনা করলে এর তাৎপর্য প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে।
মৌলিক ইভেন্টের বিশ্লেষণ:
আগামীকালের মৌলিক ইভেন্টের মধ্যে, FOMC সদস্য বার এবং গিবসনের বক্তৃতার কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। যাইহোক, এই দুই কর্মকর্তাকে নিয়ন্ত্রক সংস্থার মূল সদস্য হিসাবে বিবেচনা করা হয় না, তাই তাদের বক্তৃতাগুলো উল্লেখযোগ্য মনোযোগ আকর্ষণ করার সম্ভাবনা কম। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে, মার্কিন নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রায় সমস্ত কর্মকর্তা বক্তৃতা দিয়েছেন, এবং সেগুলোর কোনটিই বাজারে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেনই। অতএব, আমাদের আগামীকাল খুব বেশি প্রতিক্রিয়া দেখতে পাওয়ার আশা করা উচিত নয়।
সাধারণ উপসংহার:
মঙ্গলবারে মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক ইভেন্টের অভাব রয়েছে। ইউরোপীয় সেশনের তুলনায় আমেরিকান সেশন চলাকালীন সময়ে মূল্যের অস্থিরতা বেশি হতে পারে, কারণ কিছু কিছু ছোট ইভেন্ট ঘটনা বাজারকে নাড়া দিতে পারে। তবে উল্লেখযোগ্য কোনো মুভমেন্ট দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। আমরা বরং স্বল্প অস্থিরতা এবং একটি নির্দিষ্ট রেঞ্জের মধ্যে ট্রেডিং করা হবে বলে আশা করতে পারি।
ট্রেডিং সিস্টেমের সাধারণ নীতিমালা:
1) সংকেত গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সংকেতের শক্তি নির্ধারণ করা হয় ( রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সংকেত তত শক্তিশালী হয়।
2) যদি কৃত্রিম সংকেতের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সংকেত উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট ট্রেডিংয়ের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক কৃত্রিম সংকেত তৈরি হতে পারে বা কোন সংকেতের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি বন্ধ করতে হবে।
5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সংকেত ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপ পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স স্তর হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স স্তরগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি লাভ করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল।
MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সংকেত লাইন নিয়ে গঠিত। যখন এগুলো অতিক্রম করা হয়, সেটি বাজারে এন্ট্রির একটি সংকেত। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।
ফরেক্সে নতুনদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।