দুই সপ্তাহ আগে, একটি গুজব উঠেছিল যে ব্রিকস স্বর্ণ সমর্থিত একটি নতুন বাণিজ্যিক মুদ্রা প্রচলন করবে, কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রদূত অনিল সুকলাল এটি অস্বীকার করে বলেছেন যে তাদের এখনও এই ধরনের পরিকল্পনা নেই। যদিও নতুন কোন মুদ্রা দেখা যাবে না, তবে আগস্টে আসন্ন শীর্ষ সম্মেলনে এটি অবশ্যই স্বর্ণের মূল্যে গুরুতর প্রভাব ফেলবে।
অনেক অর্থনীতিবিদ একটি নতুন স্বর্ণ সমর্থিত মুদ্রা বাস্তবায়নকে একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ হিসাবে বিবেচনা করেছেন কারণ এটি মুদ্রাস্ফীতির কারণে উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে পারে। তবে, একটি আর্থিক ধাতু হিসাবে স্বর্ণ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
40 টিরও বেশি দেশ ব্রিকস-এ যোগ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে, যা বিশ্বব্যাপী রিজার্ভ মুদ্রা হিসাবে ডলারের অবস্থানে অনেক গুরুতর হুমকি তৈরি করেছে। অবশ্যই, সবাই এই জোটে যুক্ত হবে না, তবে তাদের সংখ্যা মার্কিন ডলারকে বাদ দিয়ে একে অপরের সাথে বাণিজ্য করার জন্য যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য হবে।
যদি ডলারের ব্যবহার সত্যিই হ্রাস পায়, বিশ্বের দেশগুলোকে তাদের মুদ্রার মান এবং স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে তাদের রিজার্ভে আরও স্বর্ণ মজুদ রাখতে হবে। অনেক দেশ ইতোমধ্যেই এই পথ অনুসরণ করছে, এটি প্রমাণিত যে তারা ক্রমাগত তাদের স্বর্ণের মজুদ বাড়াচ্ছে।
এটাও মনে করা হয় যে যদিও বিশ্ব অর্থনীতি স্বর্ণের থেকে দূরে সরে গেছে, দেশগুলো বিশ্বাস করতে পারে এমন নির্ভরযোগ্যতার প্রয়োজন সর্বদা বিদ্যমান। যেহেতু স্বর্ণ সরকার বা সংস্থার কাছেই থাকে, তাই অনেকের চোখে এটি শীর্ষ নির্ভরযোগ্য নিরাপদ আশ্রয়ের সম্পদ হয়ে ওঠে।
