বুধবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:
EUR/USD পেয়ারের 30M চার্ট
বুধবার, EUR/USD পেয়ারের মূল্যের 45 পিপসের অস্থিরতা দেখা গেছে। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে এই ধরনের মুভমেন্টের মধ্যে বাজারে এন্ট্রি করা মোটেই বাঞ্ছনীয় ছিল না। যাইহোক, আমরা পুরো সপ্তাহ জুড়ে দুর্বল মুভমেন্ট লক্ষ্য করেছি। এটি আংশিকভাবে ক্যালেন্ডারে তেমন গুরুত্বপূর্ণ কিছু না থাকার কারণে হয়েছে, যেমনটি আমরা বারবার উল্লেখ করেছি। বুধবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। মূল্যের সামান্য ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ছিল, কিন্তু আপনি যদি দেখেন যে 28 জুলাই থেকে এই পেয়ারের মূল্য কীভাবে মুভমেন্ট প্রদর্শন করে চলছে, তাহলে এটি পরিষ্কার হয়ে যায় যে 1.0904 এবং 1.1038 লেভেলের মধ্যে মুভমেন্ট ঘটছে৷ অন্য কথায়, আমাদের একটি ফ্ল্যাট বা সাইডওয়েজ চ্যানেল রয়েছে যার মধ্যে সমস্ত ফলাফল দৃশ্যমান।
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট
5-মিনিটের চার্টে, এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট এক ধরণের বিস্মরণীয় ছিল। সারাদিনে, মূল্য 1.0971-1.0977 রেঞ্জের আশেপাশে ওঠানামা করেছে। মূল্য বারবার এই রেঞ্জের উপরে স্থির হওয়ার চেষ্টা করেছে, যা নতুন ট্রেডাররা কেনার সংকেত হিসাবে ব্যাখ্যা করতে পারে। যাইহোক, মার্কিন সেশনে, এটা স্পষ্ট ছিল যে কোন উল্লেখযোগ্য মুভমেন্ট দেখা যাবে না. নতুন ট্রেডাররা একটি লং পজিশন খুলতে পারত এবং ব্রেকইভেন বা ন্যূনতম ক্ষতি সহ এটি বন্ধ করার প্রচুর সুযোগ ছিল। মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের কারণে বৃহস্পতিবার পরিস্থিতি কিছুটা আকর্ষণীয় হতে পারে। সর্বোপরি, এটি কেবল সপ্তাহের মূল এজেন্ডা নয়, কার্যত চলতি সপ্তাহের একমাত্র ইভেন্ট।
বৃহস্পতিবার ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:
30M চার্টে, এই পেয়ারের মূল্যের সংশোধন হচ্ছে এবং সাধারণত একটি সাইডওয়েজ চ্যানেলে ট্রেড করছে। আমরা এখনও আশা করি এই পেয়ারের মূল্য হ্রাস পাবে কারণ এটি দীর্ঘমেয়াদে উল্লেখযোগ্যভাবে অতিরিক্ত কেনা হয়েছে এবং একটি নতুন র্যালি শুরু করার উল্লেখযোগ্য কারণগুলির অভাব রয়েছে৷ এই সপ্তাহে খুব কমই কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন আছে, যা এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মধ্যে প্রতিফলিত হচ্ছে। 5M চার্টের মূল লেভেলগুলো হল 1.0835, 1.0871, 1.0901-1.0904, 1.0936, 1.0971-1.0977, 1.1011, 1.1038, 1.1091, 1.1132-1.1145, 1.1184, 1.1241, 1.1279-1.1292। মূল্য সঠিক দিকে 15 পিপস চলে যাওয়ার সাথে সাথে একটি ব্রেকইভেন পয়েন্টে স্টপ লস সেট করা যেতে পারে। বৃহস্পতিবার, ইইউতে কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন নেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জুলাইয়ের জন্য মুদ্রাস্ফীতি এবং সাপ্তাহিক প্রাথমিক বেকার দাবির তথ্য প্রকাশ করা হবে। মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের প্রভাবে বাজারে মূল্যের উল্লেখযোগ্য মুভমেন্ট শুরু করার সম্ভাবনা রয়েছে।
ট্রেডিং সিস্টেমের সাধারণ নীতিমালা:
1) সংকেত গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সংকেতের শক্তি নির্ধারণ করা হয় ( রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সংকেত তত শক্তিশালী হয়।
2) যদি কৃত্রিম সংকেতের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সংকেত উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট ট্রেডিংয়ের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক কৃত্রিম সংকেত তৈরি হতে পারে বা কোন সংকেতের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি বন্ধ করতে হবে।
5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সংকেত ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপ পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি লাভ করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল।
MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সংকেত লাইন নিয়ে গঠিত। যখন এগুলো অতিক্রম করা হয়, সেটি বাজারে এন্ট্রির একটি সংকেত। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।
ফরেক্সে নতুনদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।
