মঙ্গলবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:
EUR/USD পেয়ারের 30M চার্ট
মঙ্গলবার EUR/USD পেয়ার নতুন করে ইতিবাচক ট্রেড দেখিয়েছে। এটি এক কথায় বর্ণনা করা বেশ চ্যালেঞ্জিং কিন্তু এটা স্পষ্ট যে ইউরোর দর বেড়েছে এবং ডলারের দাম কমেছে যা মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের কারণে হয়েছে। ইইউ-এর জিডিপি বা ZEW সূচকের প্রতিবেদনগুলো এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টের উপর কোন প্রভাব ফেলেনি। কিন্তু মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদনে কী ছিল যার কারণে মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ডলারের দাম 150 পয়েন্ট কমেছে?
এটি অবাস্তব শোনাতে পারে, তবে সত্য হল মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনে অসাধারণ কিছুই ছিল না। দেশটির ভোক্তা মূল্য সূচক অক্টোবরে 3.7% থেকে 3.2% নেমে এসেছে। এটি অবশ্যই মার্কিন ডলারের জন্য খারাপ, তবে এতটা খারাপ নয় যে কয়েক ঘন্টার মধ্যে এটির দর 150 পয়েন্ট হ্রাস পাবে। আমরা এই প্রতিবেদনের বিপরীতে বাজারের ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়াকে অযৌক্তিক বলে মনে করি। মুদ্রাস্ফীতি 3% এ নেমে গেলেও কেউ এমন মুভমেন্টের পূর্বাভাস দিতে পারত না।
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট
5-মিনিটের চার্টে, ট্রেডিংয়ের বেশ কয়েকটি সংকেত তৈরি হয়েছিল। যাইহোক, নতুন ট্রেডারদের সেগুলোর কোনটিই কার্যকর করা উচিত ছিল না। প্রথম ক্রয় সংকেতটি ঠিক সেই সময়ে তৈরি হয়েছিল যখন মার্কিন মুদ্রাস্ফীতির তথ্য প্রকাশিত হয়েছিল, তাই এটি কার্যকর করার কোন সুযোগ ছিল না। যখন মূল্য 1.0767-1.0781 রেঞ্জ অতিক্রম করে, তখন লং পজিশন নিয়ে বাজারে এন্ট্রি করতে ইতোমধ্যেই অনেক দেরি হয়ে গেছে কারণ কেউ জানতে পারেনি যে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধি এত শক্তিশালী হবে। আমরা মূল্যের বিপরীতমুখী হওয়ার দেখতে পারতাম, তাই লং পজিশনের মধ্যে প্রবেশ করা বাঞ্ছনীয় ছিল না. একই কথা পরবর্তী সবগুলো ক্রয় সংকেতের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
বুধবারে ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:
30-মিনিটের চার্টে, মূল্যের সংশোধনমূলক পর্বটি অটুট রয়েছে এবং মার্কিন মুদ্রাস্ফীতির তথ্যের কারণে একই মুভমেন্ট প্রসারিত হয়। মূল্যের তীব্র বৃদ্ধি সত্ত্বেও, একটি সংশোধন এখনও একটি সংশোধন হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। অতএব, আমরা আশা করছি এটি শেষ হবে এবং নিম্নমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু করবে। দুর্ভাগ্যবশত, এই মাসে, মার্কিন প্রতিবেদনগুলি বেশ দুর্বল ছিল, যা এই পেয়ারের মূল্যকে নিম্নগামী মুভমেন্ট পুনরায় শুরু করতে বাধা দেয়। 5M চার্টের মূল লেভেলগুলো হল 1.0526, 1.0568, 1.0611-1.0618, 1.0668, 1.0733, 1.0767-1.0781, 1.0835, 1.0871, 1.0901-1.0904, 1.0936, 1.0971-1.0981, 1.1011। মূল্য 15 পিপস সংশোধন করার সাথে সাথে ব্রেকইভেন পয়েন্টে স্টপ লস সেট করা যেতে পারে। বুধবার, ইইউ-তে শিল্প উত্পাদন প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে, এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, খুচরা বিক্রয় এবং উৎপাদক মূল্য সূচক প্রকাশ করা হবে। এই সমস্ত প্রতিবেদন গুরুত্বের দিক থেকে গৌণ। বুধবার, বাজারের ট্রেডাররা আমাদেরকে এটি স্পষ্ট করবে যে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট দুর্ঘটনাজনিত কারণে হয়েছিল কিনা।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সংকেত গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সংকেতের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সংকেত তত শক্তিশালী হয়।
2) যদি কৃত্রিম সংকেতের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সংকেত উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট প্রবণতার সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক কৃত্রিম সংকেত তৈরি হতে পারে বা কোন সংকেতের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি বন্ধ করতে হবে।
5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সংকেত ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপ পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি লাভ করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল।
MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সংকেত লাইন নিয়ে গঠিত। যখন এগুলো অতিক্রম করা হয়, সেটি বাজারে এন্ট্রির একটি সংকেত। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।
ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।
