সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:
GBP/USD পেয়ারের 30M চার্ট
সোমবার, GBP/USD পেয়ারের দর বৃদ্ধি এবং দরপতন উভয়ই পরিলক্ষিত হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা যুক্তরাজ্যে কোন উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক বা মৌলিক ইভেন্ট ছিল না, তবুও বাজারের ট্রেডাররা প্রাথমিকভাবে পাউন্ড কেনার এবং তারপর বিক্রি করার কারণ খুঁজে পেয়েছিল। সামগ্রিকভাবে, মূল্য প্রায় একই লেভেলে থেকে দৈনিক ট্রেডিং শেষ করেছিল যেখানে থেকে ট্রেডিং শুরু হয়েছিল। প্রযুক্তিগত চিত্র অপরিবর্তিত রয়েছে: এই পেয়ারের মূল্য এখনও নিম্নমুখী প্রবণতায় রয়েছে তবে মূল্য হ্রাস পাওয়ার কোন তাড়া দেখা যাচ্ছে না। আমরা এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সূচনা সম্পর্কে সন্দিহান রয়েছি, কারণ আমরা মনে করি পাউন্ডের মূল্য যথেষ্ট বেড়েছে, এটি অতিরিক্ত কেনা হয়েছে এবং আরও দর বৃদ্ধির কোন কারণ নেই। যাইহোক, এই সপ্তাহে এই পেয়ারের মূল্য একটি নির্দিষ্ট উপায়ে মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে কারণ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনগুলো প্রকাশিত হবে এবং ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ড এবং ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে৷ তাই আগামী চার দিনে এই পেয়ারের মূল্যের উল্লেখযোগ্য ওঠানামা দেখা যেতে পারে।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট
5-মিনিটের চার্টে, এই পেয়ারের দুটি বাই সিগন্যাল তৈরি হয়েছিল। মূল্য সারা দিন এক জায়গায় না থাকার কারণে (ইউরোর বিপরীতে), ট্রেডাররা এই মুভমেন্টগুলো নিয়ে কাজ করতে পারে। প্রাথমিকভাবে, এই পেয়ারের মূল্য 1.2544 লেভেল থেকে বাউন্স করেছিল, তারপরে সেখানে ফিরে আসে এবং আবার বাউন্স করে। প্রথম ক্ষেত্রে, এই পেয়ারের মূল্য 32 পিপস বৃদ্ধি পেয়েছিল কিন্তু নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়। দ্বিতীয় ক্ষেত্রে, মুভমেন্ট খুব দেরিতে শুরু হয়েছিল, তাই সেসময় মূল্য মাত্র কয়েক পিপস বেড়েছে। প্রথম ট্রেডের জন্য ব্রেকইভেনে স্টপ-লস সেট করা হয়েছিল, এবং দ্বিতীয়টি থেকে কোনো লাভ হয়নি।
মঙ্গলবারে ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:
প্রতি ঘন্টার চার্টে, নিম্নমুখী প্রবণতায় GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ট্রেডিং করা হচ্ছে, যা বেশ দুর্বল এবং অনিশ্চিত। আমরা মনে করি যে পাউন্ডের দরপতন অব্যাহত থাকা উচিত কারণ এটির ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টকে ন্যায্যতা দেওয়ার কোন মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক কারণ নেই। শুক্রবার প্রকাশিত মার্কিন প্রতিবেদনগুলো হতাশাজনক ছিল না, তবে এখন ডলারকে আগামী সপ্তাহে ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড এবং ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠকের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনের মধ্যে টিকে থাকতে হবে।
আমরা 1.2544 লেভেলে নজর রাখার পরামর্শ দিচ্ছি। এটি থেকে বাউন্স বা ব্রেক করা হলে সেটি ট্রেডিং সিগন্যাল হিসাবে কাজ করবে। একমাত্র অনুমান হল যে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের শুরুতে, এই পেয়ারের মূল্য সাইডওয়েজ প্রবণতা প্রদর্শন করতে পারে বা মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার সাথে সাথে মোমেন্টামের দিক পরিবর্তিত হতে পারে।
5M চার্টের মূল লেভেলগুলো হল 1.2270, 1.2310, 1.2372-1.2387, 1.2457-1.2488, 1.2544, 1.2605-1.2620, 1.2688, 1.2723, 1.2787-1.2791, 1.2848-1.2860। মঙ্গলবার সকাল, যুক্তরাজ্যে বেকারত্ব এবং মজুরি সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে, যা বেশ আকর্ষণীয় প্রতিবেদন, তবে এগুলোর প্রভাবে মূল্যের শক্তিশালী মুভমেন্ট শুরু হওয়ার সম্ভাবনা কম। ট্রেডাররা মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের উপর নজর রাখবে এবং এটি দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট।
ট্রেডিংয়ের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।
2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট প্রবণতার সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সংকেতের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপ পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি লাভ করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল।
MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সংকেত লাইন নিয়ে গঠিত। যখন এগুলো অতিক্রম করা হয়, সেটি বাজারে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।
ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।