মঙ্গলবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:
GBP/USD পেয়ারের 30M চার্ট
মঙ্গলবার আবারও GBP/USD পেয়ারের দর বৃদ্ধি এবং দরপতন উভয়ই দেখা গেছে। ব্রিটিশ মুদ্রা সামষ্টিক পটভূমি থেকে সামান্য সমর্থন পেয়েছে, যদিও পর্যাপ্ত পরিমাণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। দুর্ভাগ্যবশত (বা সৌভাগ্যবশত), ব্রিটিশ প্রতিবেদনগুলো বাজারে মুভমেন্ট সৃষ্টির জন্য বেশ কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে। বেকারত্বের হার পরিবর্তিত হয়নি, এবং বেকারত্ব সুবিধার আবেদনের সংখ্যা পূর্বাভাসের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ছিল। শুধুমাত্র মজুরি সংক্রান্ত প্রতিবেদনে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি মন্থরতা দেখা গেছে। যাইহোক, শুধুমাত্র এই প্রতিবেদনটি শক্তিশালী মুভমেন্ট সৃষ্টির জন্য যথেষ্ট ছিল না।
নভেম্বরের জন্য মার্কিন মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদন বিকেলে প্রকাশিত হয়েছিল, যা প্রত্যাশার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ছিল। অতএব, এখানেও বাজারের ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া জানানোর মতো কিছুই ছিল না। অবশ্যই, আনুষ্ঠানিকভাবে এটি এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতা বৃদ্ধি করেছে এবং এই পেয়ারের মূল্য দুই ঘন্টার জন্য "বৃদ্ধি পেয়েছে", কিন্তু তারপর এই পেয়ারের কোট তাদের আসল অবস্থানে ফিরে এসেছে, যা একেবারে যৌক্তিক। এইভাবে, পাউন্ডের মূল্য এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে সংশোধন করছে, একটি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় রেখেছে, যা ট্রেন্ড লাইন দ্বারা নির্দেশিত। আমরা মনে করি এই পেয়ারের আরও দরপতন হওয়া উচিত।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট
5-মিনিটের চার্টে, এই পেয়ারের মূল্য বেশি নিম্নমুখী হয়েছে। দিনের শেষে এই চার্ট থেকে 1.2544 লেভেল সরিয়ে ফেলা হয়েছে। যাইহোক, এটির আশেপাশে সৃষ্ট ট্রেডিং সিগন্যালগুলো বেশ ভাল ছিল। প্রথমত, মূল্য এই লেভেল থেকে বাউন্স করে এবং 1.2605 লেভেলে উঠেছিল। মার্কিন মুদ্রাস্ফীতির তথ্য প্রকাশের সময় এই লেভেল থেকে মূল্যের বাউন্স ঘটেছে, তাই নতুন ট্রেডাররা এটির জন্য অপেক্ষা করতে পারেনি এবং আগের ডিল থেকে মুনাফা করতে পারেনি। 1.2605 এর কাছাকাছি সৃষ্টি সেল সিগন্যাল কার্যকর করা যেতে পারে (যদিও এটি নিরাপদ ছিল না), এবং ডিলটি লাভজনকও ছিল। 1.2544-এর কাছাকাছি শেষ বাই সিগন্যালও কার্যকর করা যেতে পারে, কিন্তু এটি কোনো মুনাফা আনতে পারেনি। এইভাবে, কিছু পিপস উপার্জন করা সম্ভব হয়েছিল।
বুধবারে ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:
প্রতি ঘন্টার চার্টে, নিম্নমুখী প্রবণতায় GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ট্রেডিং করা হচ্ছে, যা বেশ দুর্বল এবং অনিশ্চিত। আমরা মনে করি যে পাউন্ডের দরপতন অব্যাহত থাকা উচিত কারণ এটির ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টকে ন্যায্যতা দেওয়ার কোন মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক কারণ নেই।
আমরা 1.2502-1.2605 এর সাইডওয়েজ চ্যানেলে নজর রাখার পরামর্শ দিই। এই লেভেল থেকে রিবাউন্ড বা ব্রেকথ্রু আমাদের সংশ্লিষ্ট ডিলগুলো ওপেন করার সুযোগ দেবে৷ আমরা আশা করি সন্ধ্যার পর ধীরে ধীরে এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতা বাড়বে।
5M চার্টের মূল লেভেলগুলো হল 1.2270, 1.2310, 1.2372-1.2387, 1.2457, 1.2502, 1.2605-1.2611, 1.2688, 1.2723, 1.2787-1.2791, 1.2848-1.2860। বুধবার, যুক্তরাজ্য জিডিপি এবং শিল্প উৎপাদনের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। এটি মাসিক জিডিপি প্রতিবেদন, তাই বাজারের ট্রেডারদের সেন্টিমেন্টে এর সামান্য প্রভাব থাকবে। শিল্প উৎপাদনের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। দিনের মূল ইভেন্ট হবে FOMC বা ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটির বৈঠক এবং এর ফলাফল, তবে এটি সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হবে নির্ধারিত রয়েছে। সেই সময়ের মধ্যে, নতুন ট্রেডাররা বাজার ছেড়ে চলে যেতে পারে।
ট্রেডিংয়ের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।
2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট প্রবণতার সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সংকেতের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপ পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি লাভ করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল।
MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সংকেত লাইন নিয়ে গঠিত। যখন এগুলো অতিক্রম করা হয়, সেটি বাজারে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।
ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।