বুধবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:
EUR/USD পেয়ারের 30M চার্ট
বুধবার EUR/USD পেয়ার ফ্ল্যাট মুভমেন্ট প্রদর্শন করেছে। প্রাথমিকভাবে, এই পেয়ারের কিছুটা দরপতন হয়েছিল, তারপরে কিছুটা দর বৃদ্ধি হয়েছিল এবং দিনের বেলা মূল্যের সামগ্রিক অস্থিরতা 50 পিপসের বেশি ছিল না। অতএব, বুধবার বেশ অপ্রীতিকর একটি দিন ছিল. মুভমেন্টের অভাব ছাড়াও, মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমির প্রভাবও ছিল না। তাই দিনের বেলায় ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া জানানোর কিছু ছিল না। মার্কিন ট্রেডিং সেশনের শুরুতে, ট্রেডারদের কার্যক্রম কিছুটা বেড়ে যায়, কিন্তু এটি দ্রুত বিবর্ণ হয়ে যায়। তাই প্রযুক্তিগত চিত্রের পরিবর্তন হয়নি। এই পেয়ারের মূল্য এখনও তার স্থানীয় সর্বোচ্চ লেভেলের কাছাকাছি রয়ে গেছে, একটি অযাচিত দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা বজায় রেখেছে।
যেমনটি আমরা বারবার বলেছি, ইউরোর মূল্যের আরও বৃদ্ধির কোনো ভিত্তি নেই। বাজারের ট্রেডাররা ইউরো ক্রয় করছে কিন্তু ডলার কিনছে না, এমনকি যখন তা করার কারণ থাকে তাও এমনটি ঘটছে। এটি বাজারের ট্রেডারদের অযৌক্তিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে গণ্য করা যায়। গত সপ্তাহের যে কারণগুলোর প্রভাবে ডলারের উল্লেখযোগ্য দরপতন ঘটেছে, তা নিয়ে ইতোমধ্যেই কাজ করা হয়েছে এবং সেগুলো আর ইউরোকে সমর্থন দিতে পারছে না।
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট
5 মিনিটের চার্টে, আমরা দেখতে পাচ্ছি যে ফ্ল্যাট মুভমেন্টটি কতটা স্পষ্ট ছিল। এই পেয়ারের মূল্য সারাদিন ধরে 1.0940 এবং 1.0971 লেভেলের মধ্যে 30-পিপস রেঞ্জের মধ্যে কাটিয়েছে। যাইহোক, আশ্চর্যজনকভাবে, এই লেভেলের আশেপাশে ট্রেডিংয়ের সিগন্যালগুলো বেশ স্পষ্ট ছিল, এবং সেগুলি নিয়ে কাজ করা যেতে পারে। স্বাভাবিকভাবেই, উচ্চ মুনাফা নিয়ে আলোচনা করা হয়নি যেহেতু মূল্যের অস্থিরতা খুব কম ছিল। তবুও, দিনের প্রতিটি রিবাউন্ডের ক্ষেত্রে ট্রেড করার মাধ্যমে, নতুন ট্রেডাররা প্রায় 30-40 পিপস উপার্জন করতে পারে, যা এই ধরনের দিনের জন্য খারাপ নয়।
বৃস্পতিবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:
প্রতি ঘণ্টার চার্টে, EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে। যাইহোক, যদি গত সপ্তাহে, ট্রেডারদের কাছে ইউরো কেনার ভাল কারণ থেকে থাকে, তবে এই সপ্তাহে তা নেই, যদিও ইউরোর মূল্য এখনও বাড়ছে। আমরা মনে করি যে ইউরোর মূল্যের আরও বৃদ্ধির যথেষ্ট কারণ নেই। গত সপ্তাহে, এই পেয়ারের দর বৃদ্ধি মৌলিক পটভূমি দ্বারা সমর্থিত ছিল, কিন্তু এই সপ্তাহে এটি আর একই সমর্থন পাবে না।
বৃহস্পতিবার, আমরা আপনাকে রেফারেন্স পয়েন্ট হিসাবে 1.0971-1.0981 এর এরিয়া ব্যবহার করার পরামর্শ দিই। যদি এখান থেকে এই পেয়ারের মূল্যের রিবাউন্ড হয়, আমরা আশা করতে পারি যে পেয়ারটির দরপতন হবে এবং সেক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.0940 এবং 1.0904। যদি এই পেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি পায়, তাহলে এই পেয়ারের মূল্য 1.1011 এবং 1.1043-এ লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে বাড়তে পারে।
5M চার্টের মূল লেভেলগুলো হল 1.0611-1.0618, 1.0668, 1.0733, 1.0767-1.0781, 1.0835, 1.0896-1.0904, 1.0940, 1.0971-1.0981, 1.1011, 1.1043, 1.1091, 1.1132-1.1145। বৃহস্পতিবার, ইউরোপীয় ইউনিয়নে কোনও আকর্ষণীয় ইভেন্ট নেই। প্রতিবেদনের কথা বলতে গেলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের জিডিপি প্রতিবেদন এবং বেকারত্ব সুবিধার আবেদনের তৃতীয় অনুমান প্রকাশিত হবে। খুব সম্ভবত, বাজারের ট্রেডাররা এই প্রতিবেদনগুলোতে খুব কমই প্রতিক্রিয়া দেখাবে, তাই আমরা আরেকটি বিরক্তিকর দিনের আশা করতে পারি।
ট্রেডিংয়ের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।
2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট প্রবণতার সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সংকেতের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপ পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি লাভ করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল।
MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সংকেত লাইন নিয়ে গঠিত। যখন এগুলো অতিক্রম করা হয়, সেটি বাজারে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।
ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।