বুধবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:
GBP/USD পেয়ারের 30M চার্ট
বুধবার GBP/USD পেয়ারের মূল্য শক্তিশালীভাবে নিম্নমুখী হয়েছে। আমরা বারবার উল্লেখ করেছি যে পাউন্ডের দরপতনের সম্ভাবনা রয়েছে, কারণ এর বৃদ্ধির জন্য কোন মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রভাবক ছিল না নেই। তবুও, অর্থনৈতিক প্রতিবেদন পাউন্ডের উপর চাপ সৃষ্টি করেছে। যুক্তরাজ্যে সকালে মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে, যা ট্রেডার এবং বিশেষজ্ঞদের প্রত্যাশার চেয়ে নভেম্বরে আরও উল্লেখযোগ্য হ্রাসের ইঙ্গিত দিয়েছে। স্পষ্টতই, ভোক্তা মূল্য সূচকের দ্রুত পতনের মধ্যে, ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড কর্তৃক মূল সুদের হার বাড়ানোর বা এটিকে একটি বর্ধিত সময়ের জন্য সর্বোচ্চ স্তরে রাখার প্রবণতা কমে। ব্রিটিশ পাউন্ডের জন্য, এটি একটি হকিশ ফ্যাক্টর। অতএব, বুধবার পাউন্ডের দরপতন যৌক্তিক ছিল।
যাইহোক, পাউন্ডের এতটা জোরালো দরপতন হয়নি যে এটি নতুন নিম্নমুখী প্রবণতা নির্দেশ করে। মূল্য এখনও ঊর্ধ্বমুখী ট্রেন্ডলাইনের উপরে রয়েছে, যা নির্দেশ করে যে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকবে। ফলস্বরূপ, প্রযুক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে, পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধিরও সম্ভাবনা রয়েছে। যাইহোক, সামষ্টিক অর্থনীতি এবং মৌলিক বিষয়গুলো এই পেয়ারের আরও সম্ভাব্য দরপতনের দিকে নির্দেশ করে৷
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট
5-মিনিটের চার্টে, দুটি ট্রেডিং সিগন্যাল তৈরি হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে, এই পেয়ারের মূল্য 1.2725 লেভেল থেকে রিবাউন্ড করে এবং তারপর 1.2688 লেভেল অতিক্রম করে। অতএব, নতুন ট্রেডাররা 1.2725 লেভেলের কাছাকাছি বাজারে এন্ট্রি করতে পারে এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত শর্ট পজিশন থাকতে পারে, যখন, বর্তমান ট্রেডিং সিস্টেম অনুযায়ী, এটি ট্রেড বন্ধ করার সময় ছিল। দিনের বেলায় কোনো বাই সিগন্যাল তৈরি না হওয়ায় শর্ট পজিশন বন্ধ করার কোনো কারণ ছিল না। এটি ম্যানুয়ালি সন্ধ্যায় বন্ধ করা যেতে পারে, এবং এটি থেকে প্রায় 50 পিপস লাভ হতে পারে।
বৃহস্পতিবারের ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:
প্রতি ঘন্টার চার্টে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের উর্ধ্বমুখী প্রবণতা আবার শুরু হয়েছে, কিন্তু এই পেয়ারের মূল্য কেন এইরূপ মুভমেন্ট প্রদর্শন করছে তার উত্তর দেওয়া কঠিন। গত সপ্তাহে, ব্রিটিশ পাউন্ডের দর বৃদ্ধির নির্দিষ্ট কারণ ছিল, কিন্তু এই সপ্তাহে দর বৃদ্ধির কোন কারণ নেই। এবং এটি অসম্ভব যে এই সপ্তাহে এই পেয়ারের মূল্য বৃদ্ধির কোন নতুন কারণ আসবে, তাই এই মূল্যের 1.2502 লেভেলে ফিরে আসা যৌক্তিক হবে৷
বৃহস্পতিবার, নতুন ট্রেডাররা 1.2605-1.2611 এর এরিয়ার দিকে মনোযোগ দিতে পারে। উচ্চ সম্ভাবনা আছে যে মূল্য এখানে ফিরে আসবে, কারণ এই পেয়ারের মূল্য ইতোমধ্যেই আগে একবার এখান থেকে মুভমেন্ট প্রদর্শন করেছে৷ এই এরিয়া থেকে এই পেয়ারের মূল্যের রিবাউন্ড হলে আমরা এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির আশা করতে পারি, এবং আমরা এর জন্য লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে 1.2688 ব্যবহার করতে পারি। যদি এই পেয়ারের মূল্য এই এরিয়া অতিক্রম করে, আমরা আশা করতে পারি যে এই পেয়ারের দরপতন হবে এবং লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.2544 এর লেভেল।
5M চার্টের মূল লেভেলগুলো হল 1.2270, 1.2310, 1.2372-1.2387, 1.2457, 1.2502, 1.2544, 1.2605-1.2611, 1.2688, 1.2725, 1.2787-1.2791, 1.2848-1.2860, 1.2913। বৃহস্পতিবার, যুক্তরাজ্যে কোন আকর্ষণীয় ইভেন্ট নেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের জিডিপির উপর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, তবে বাজারের ট্রেডাররা এই প্রতিবেদনের প্রতি খুব কমই প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে, কারণ এই প্রতিবেদনের ফলাফল প্রথম এবং দ্বিতীয় অনুমানের থেকে আলাদা হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
ট্রেডিংয়ের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।
2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট প্রবণতার সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সংকেতের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপ পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি লাভ করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল।
MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সংকেত লাইন নিয়ে গঠিত। যখন এগুলো অতিক্রম করা হয়, সেটি বাজারে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।
ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।