সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:
GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট
GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.2611-1.2787 এর সাইডওয়েজ চ্যানেলের মধ্যে উপরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। যেহেতু এই চ্যানেলের নিম্ন সীমানাটি শেষবার টেস্ট করা হয়েছিল, তাই এটি অনুমান করা যুক্তিসঙ্গত ছিল যে পরবর্তী মুভমেন্টটি উপরের সীমানার দিকে হবে। এবং ঠিক তাই ঘটেছে. তবে মুভমেন্টটি বেশ দুর্বল ছিল। শুক্রবার এই পেয়ারের মূল্য অস্থিরতা ছিল প্রায় 50 পিপস এবং সোমবার এটি প্রায় 40 পিপস ছিল। সাধারণভাবে, এর অর্থ এই দাঁড়ায় এই পেয়ারের মূল্য কোনও স্বতন্ত্র মুভমেন্ট দেখায়নি। কিন্তু পাউন্ডের মূল্য শুক্রবার বা সোমবার স্থির ছিল না, তাই কিছু মুভমেন্ট ছিল, যদিও এটি বেশ দুর্বল ছিল।
দিনের শেষে, মূল্য 1.2725 এর লেভেল টেস্ট করেছে। আমরা মনে করি না যে এই লেভেলের আশেপাশে একটি বিয়ারিশ রিভার্সালের সম্ভাবনা রয়েছে, তবে পাউন্ডের মূল্য সাইডওয়েজ চ্যানেলের উপরের সীমানায় নাও উঠতে পারে যতক্ষণ না এটি এই লেভেলটি অতিক্রম করে। মাঝারি মেয়াদে, আমরা এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি, কিন্তু আমরা এখন এক মাসেরও বেশি সময় ধরে বাজারে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট পর্যবেক্ষণ করেছি। সোমবার, যুক্তরাজ্য বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোনও আকর্ষণীয় ইভেন্ট ছিল না, তাই বিশ্লেষণ করার মতো কিছুই নেই।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট
5 মিনিটের টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টকে সর্বোত্তম হিসেবে বিবেচনা করা যায় না। তবুও, বেশ কয়েকটি কার্যকর সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। প্রথমে, পেয়ারটির মূল্য 1.2725 এর লেভেল থেকে 2 পিপসের একটি ত্রুটির সাথে বাউন্স করে, তারপর এটি সঠিকভাবে 1.2688 এ বাউন্স করে। এবং অবশেষে মূল্য 1.2725 এ ফিরে আসে, যেখানে এটি দিনের শেষ অবধি অবস্থান করেছে। অতএব, আপনি প্রথম শর্ট পজিশন থেকে প্রায় 15 পিপস উপার্জন করতে পারেন। দ্বিতীয় ট্রেডের ক্ষেত্রেও একই পরিমাণ মুনাফা করা যেতে পারে। 1.2725 লেভেল থেকে শেষ বাউন্স কোন লাভ বা ক্ষতি নিয়ে আসেনি, কারণ দিনের শেষে এই পেয়ারের মূল্য উপরে বা নিচের দিকে যাওয়ার চেয়ে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সাইডওয়েজ মুভমেন্ট প্রদর্শন করেছে। ফলস্বরূপ, 30 পিপস লাভ করা সম্ভব হয়েছিল, যা দৈনিক 40 পিপসের সামগ্রিক অস্থিরতার মধ্যে বেশ ভাল ফলাফল।
মঙ্গলবারে ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:
এক ঘন্টার চার্টে, GBP/USD পেয়ারের মূল্য এখনও 1.2611-1.2787 এর সাইডওয়েজ চ্যানেলের মধ্যে ট্রেড করছে। এই পেয়ারের মূল্য 1.2611 লেভেল থেকে পাঁচবার রিবাউন্ড করেছে, এবং শেষ বাউন্সের পরে, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের মধ্যে একটি নতুন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হয়েছে, যা 4-ঘন্টার টাইমফ্রেমে স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান। এখন এই পেয়ারের মূল্য ধীরে ধীরে সাইডওয়েজ চ্যানেলের উপরের সীমানার দিকে বাড়তে পারে।
মঙ্গলবার, উচ্চ সম্ভাবনা আছে যে ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য সম্ভবত নির্দিষ্ট রেঞ্জের মধ্যেই থাকবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা যুক্তরাজ্যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক বা সামষ্টিক অর্থনৈতিক ইভেন্ট থাকবে না, তাই এই পেয়ারের মূল্যের শক্তিশালী বৃদ্ধি বা পতনের আশা করা বেশ কঠিন হবে। এই পেয়ারের মূল্য চ্যানেলের প্রায় মাঝামাঝি রয়েছে, তাই এই পেয়ারের মূল্যের এই চ্যানেল থেকে বেরিয়ে আসার সামান্য সম্ভাবনা রয়েছে।
5M চার্টের মূল লেভেলগুলো হল 1.2270, 1.2310, 1.2372-1.2387, 1.2457, 1.2502, 1.2544, 1.2605-1.2611, 1.2688, 1.2725, 1.2787-1.2791, 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2981-1.2993। মঙ্গলবার, যুক্তরাজ্য বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোনও গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নেই। অতএব, এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতা সম্ভবত কম থাকবে, এবং আমরা সম্ভবত দুর্বল মুভমেন্ট লক্ষ্য করব।
ট্রেডিংয়ের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।
2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট প্রবণতার সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সংকেতের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপ পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি লাভ করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল।
MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সংকেত লাইন নিয়ে গঠিত। যখন এগুলো অতিক্রম করা হয়, সেটি বাজারে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।
ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।