সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:
শুক্রবার খুব বেশি সামষ্টিক অর্থনৈতিক ইভেন্ট নেই। আমরা শুধুমাত্র জানুয়ারি মাসের জার্মান মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদনের কথা তুলে ধরতে পারি। যাইহোক, এই প্রতিবেদনটি কোন বাজারে কোন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করার সম্ভাবনা নেই কারণ এটি এই প্রতিবেদনের দ্বিতীয় অনুমান, যা প্রথমটি থেকে ভিন্ন হওয়ার সম্ভাবনা কম। অতএব, শুক্রবার উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের বিভ্রান্তিকর এবং নিম্ন মাত্রার অস্থিরতাসম্পন্ন মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। একই সময়ে, মনে রাখবেন যে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা গঠিত হয়েছে, যা এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী মুভমেন্ট দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়েছে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:
শুক্রবারে কোন ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের পরিকল্পনা করা হয়নি। যাইহোক, এটি উভয় পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টের উপর কোন প্রভাব ফেলবে না, কারণ ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংক এবং ফেডারেল রিজার্ভের বেশ কয়েকজন প্রতিনিধি ইতোমধ্যে এই সপ্তাহের শুরুতে বক্তব্য দিয়েছেন, এবং আমরা দেখতে পাচ্ছি, তাদের বক্তৃতা মার্কেট সেন্টিমেন্টে কোন প্রভাব ফেলেনি। আমরা শুধুমাত্র জানতে পেরেছি যে ফেড মার্কিন সুদের হার কমানোর জন্য তাড়াহুড়ো করছে না এবং ইসিবি এখনও চিন্তাভাবে করছে যে কবে তারা মুদ্রানীতি নমনীয় করা শুরু করবে। তাই ট্রেডাররা ইতোমধ্যেই সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত রয়েছেন।
উপসংহার:
শুক্রবার, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের বিশৃঙ্খল মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের সংশোধনমূলক মুভমেন্ট আমাদের এই আশা দেয় যে মূল্যের নিম্নগামী মুভমেন্ট আবার শুরু হতে পারে। যাইহোক, এই সপ্তাহে উভয় পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা কম ছিল, এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক ও মৌলিক পটভূমি দুর্বল। অতএব, ইউরো এবং পাউন্ডের থেকে শক্তিশালী ও প্রবণতা চালিত মুভমেন্টের আশা করা কঠিন। তবুও, মূল্যের প্রবৃদ্ধির চেয়ে হ্রাসের আশা করা আমাদের পক্ষে অনেক সহজ হবে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।
2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।]
3) ফ্ল্যাট প্রবণতার সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সংকেতের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপ পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
কীভাবে চার্ট বুঝতে হয়:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল।
MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সংকেত লাইন নিয়ে গঠিত। যখন এগুলো অতিক্রম করা হয়, সেটি বাজারে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।
ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।