শুক্রবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:
GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট
শুক্রবারও GBP/USD পেয়ারের মূল্যের কোনো আকর্ষণীয় মুভমেন্ট দেখা যায়নি৷ এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা ছিল 44 পিপস, যা উল্লেখযোগ্য মুভমেন্টের অনুপস্থিতি নির্দেশ করে। এমনকি ডিসেম্বরের মাসিক ভিত্তিতে মার্কিন মুদ্রাস্ফীতির উপর প্রকাশিত অনির্ধারিত প্রতিবেদনও পরিস্থিতি বদলাতে পারেনি। এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর ডলারের মূল্য 20 পিপস কমেছে, যার মাধ্যমে দৈনিক মুভমেন্ট শেষ হয়েছে। সামগ্রিকভাবে, ব্রিটিশ পাউন্ডের দুই দিনের উল্লেখযোগ্য দরপতনের পরে ঊর্ধ্বমুখী সংশোধন অব্যাহত রয়েছে।
গত সপ্তাহে প্রায় কোনো উল্লেখযোগ্য মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক ইভেন্ট ছিল না। ফেডারেল রিজার্ভের প্রতিনিধিদের বক্তব্য ছিল এবং মাত্র কয়েকটি স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। ফেডের প্রতিনিধিদের বক্তব্যের সারমর্ম হচ্ছে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক মূল সুদের হার কমানোর জন্য তাড়াহুড়ো হচ্ছে না এবং তারা গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচকগুলো সতর্কতার সাথে পর্যবেক্ষণ করবে। বাজারের ট্রেডাররা এই তথ্যের প্রতি তেমন কোন প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট
৫ মিনিটের টাইমফ্রেমের এই পেয়ারের মূল্যের আবারও দুর্বল মুভমেন্ট দেখা গিয়েছে। যখন এই পেয়ারের মূল্যের দুর্বল মুভমেন্ট দেখা যায় তখন কার্যকর সিগন্যাল এবং উচ্চ লাভের উপর নির্ভর করা কঠিন। এই পেয়ারের শুধুমাত্র একটি বাই সিগন্যাল তৈরি হয়েছিল। এটি ফলস সিগন্যাল ছিল, কিন্তু তবুও, নতুন ট্রেডাররা মার্কিন সেশনের শুরুতে লং পজিশন ওপেন করে থাকতে পারে। এই সিগন্যাল তৈরি হওয়ার পরে, এই পেয়ারের মূল্য 10 পিপসের বেশি বাড়েনি এবং এটি কোনও নিম্নগামী মুভমেন্ট দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে। সুতরাং, ন্যূনতম লাভের সাথে এই ট্রেডটি ম্যানুয়ালি ক্লোজ করা হতে পারে।
সোমবারে ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:
এক ঘন্টার চার্টে, GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.2611-1.2787 এর সাইডওয়েজ চ্যানেল ছেড়ে চলে গিয়েছিল কিন্তু মূল্য ইতোমধ্যে আবার এখানে ফিরে এসেছে। মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমি খুব দুর্বল ছিল, তাই আমরা এই পেয়ারের মূল্যের দুর্বল মুভমেন্ট দেখেছি। এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা পুনরুজ্জীবিত করা গুরুত্বপূর্ণ। অন্যথায়, আমাদের এই পেয়ারের মূল্যের সীমিত রেঞ্জের মধ্যে নতুন বিশৃঙ্খল মুভমেন্টের জন্য প্রস্তুত হওয়া উচিত।
5M চার্টের মূল লেভেলগুলো হল 1.2270, 1.2310, 1.2372-1.2387, 1.2457, 1.2502, 1.2544, 1.2605-1.2611, 1.2688, 1.2725, 1.2787-1.2791, 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2981-1.2993। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোনো নির্ধারিত প্রতিবেদন বা ইভেন্ট নেই। আমরা শুধুমাত্র ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ডের গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলির বক্তৃতার কথা তুলে ধরতে পারি, যা আকর্ষণীয় হতে পারে। ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সভা চলাকালীন সময়ে যেমনটি দেখা গিয়েছিল তার তুলনায় বেইলির অবস্থান কিছুটা নমনীয় হলে, ব্রিটিশ পাউন্ডের দরপতন দেখা যেতে পারে।
ট্রেডিংয়ের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।
2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট প্রবণতার সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সংকেতের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপ পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল।
MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সংকেত লাইন নিয়ে গঠিত। যখন এগুলো অতিক্রম করা হয়, সেটি বাজারে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।
ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।