সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:
বুধবার বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক ইভেন্ট রয়েছে। যুক্তরাজ্যে আমরা শুধুমাত্র দেশটির মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদনের কথা তুলে ধরব। ব্রিটিশ মুদ্রার জন্য এই প্রতিবেদনটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। গত ছয় মাস ধরে, পাউন্ডের দাম বাড়ছে বা স্থিতিশীল রয়েছে। ব্রিটিশ মুদ্রার চাহিদা ধারাবাহিকভাবে বেশি রয়ে গেছে। অতএব, যদি যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতি কমে যায়, তাহলে এটি পাউন্ডের ক্রেতাদের উৎসাহকে কমিয়ে দিতে পারে, কারণ ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড আর্থিক নীতিমালা নমনীয় করতে পারে। আগামীকাল ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সুতরাং, যদি দেশটির মুদ্রাস্ফীতি 3.5% বা তার কম হয়, তাহলে এটি পাউন্ডের উপর উল্লেখযোগ্য চাপ সৃষ্টি করতে পারে। বিপরীতভাবে, দেশটির মুদ্রাস্ফীতি সামান্য হ্রাস পেলে ব্রিটিশ মুদ্রার মূল্য বেড়ে যেতে পারে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:
বুধবারের জন্য নির্ধারিত শুধুমাত্র একটি ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট রয়েছে। কিন্তু এটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট! সন্ধ্যায়, FOMC বা ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটির বৈঠকের ফলাফল এবং সুদের হার সম্পর্কিত মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হবে। যাইহোক, এখানে কোন ধোঁয়াশা নেই, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সুদের হার অপরিবর্তিত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। যাইহোক, এরপর, ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের একটি প্রেস কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হবে এবং সবশেষে, আর্থিক কমিটির সদস্যরা সুদের হার সম্পর্কে তাদের পূর্বাভাস উপস্থাপন করবেন। যদি তারা আরও হকিশ বা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করে (2024 সালে স্বল্প মাত্রায় সুদের হার কমানোর ইঙ্গিত দেয়), তাহলে এটি মার্কিন ডলারকে সমর্থন করবে।
উপসংহার:
আজ, আমরা আশা করছি যে উভয় ইন্সট্রুমেন্টের নিম্নগামী মুভমেন্ট চলমান থাকবে, তবে সবকিছুই FOMC-এর বৈঠকের ফলাফল এবং যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের উপর নির্ভর করবে। আমরা মনে করি যে মাঝারি মেয়াদে ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়া উচিত, কিন্তু আজ, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যও বাড়তে পারে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।
2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।]
3) ফ্ল্যাট প্রবণতার সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সংকেতের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপ পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
কীভাবে চার্ট বুঝতে হয়:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল।
MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সংকেত লাইন নিয়ে গঠিত। যখন এগুলো অতিক্রম করা হয়, সেটি বাজারে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।
ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।