বুধবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:
GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট
স্বল্প মাত্রার অস্থিরতার সাথে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী সংশোধন অব্যাহত রয়েছে। বুধবার মার্কেটে পাউন্ড কেনার কোনো কারণ ছিল না। ডিউরেবল গুডস অর্ডার সংক্রান্ত মার্কিন প্রতিবেদনের ফলাফল পূর্বাভাসের চেয়ে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী ছিল। যাইহোক, এই পেয়ারের মূল্যের এখনও কারেকটিভ ফেজ দেখা যাচ্ছে, তাই পাউন্ডের মূল্য কিছু সময়ের জন্য বাড়তে পারে। মূল বিষয় হল এই পেয়ারের মূল্য আবার 1.25-1.28 এর সাইডওয়েজ চ্যানেলের মধ্যে ফিরে না গেলেই হয়।
আমরা মনে করি ব্রিটিশ মুদ্রার সামষ্টিক অর্থনৈতিক এবং মৌলিক পটভূমি অত্যন্ত দুর্বল। আমরা এটাও মনে করি যে পাউন্ড অতিরিক্ত কেনা হয়েছে এবং অযৌক্তিকভাবে ব্যয়বহুল রয়েছে। তবে, আমরা দেখতে পাচ্ছি, মার্কেটে পাউন্ড বিক্রির জন্য কোন তাড়াহুড়ো নেই। অতএব, বর্তমান বুলিশ কারেকশন বেশ যৌক্তিক হিসেবে বিবেচনা করা যায়, কিন্তু নতুন দরপতনের অনুপস্থিতি আবার সন্দেহ ও প্রশ্ন উত্থাপন করে।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট
5 মিনিটের টাইমফ্রেমে তিনটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। এই পেয়ারের মূল্য 1.2457 লেভেল থেকে তিনবার রিবাউন্ড করেছে। প্রথম দুটি সিগন্যালের ক্ষেত্রে, প্রতিটি রিবাউন্ডের পরে এই পেয়ারের মূল্য প্রায় 20 পিপস কমেছে। অতএব, দুটি শর্ট পজিশনে কোনো ক্ষতি হওয়ার কথা না, কারণ স্টপ-লস অর্ডার দেওয়া উচিত ছিল। তবে এসব সিগন্যাল থেকেও লাভ করা সম্ভব হয়নি। সিগন্যাল বেশ নির্ভুল এবং স্পষ্ট ছিল, কিন্তু এই পেয়ারের মূল্যের কোন অস্থিরতা ছিল না, তাই বুধবার কোন মুভমেন্ট ছিল না।
বৃহস্পতিবারের ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:
প্রতি ঘন্টার চার্টে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী প্রবণতা গঠনের চমৎকার সম্ভাবনা রয়েছে, কিন্তু বর্তমানে এই পেয়ারের মূল্যের কারেকশন দেখা যাচ্ছে। মূল্য 1.2502 এর লেভেল অতিক্রম করার পরে, ট্রেডাররা পাউন্ডের উল্লেখযোগ্য দরপতনের আশা করতে পারে। মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমি ব্রিটিশ পাউন্ডের তুলনায় ডলারকে অনেক বেশি সমর্থন করে চলেছে। অতএব, আমরা এই পেয়ারের মূল্যের শুধুমাত্র নিম্নগামী মুভমেন্টের আশা করছি।
আজ, নতুন ট্রেডাররা 1.2457 লেভেলের আশেপাশে নতুন সেল সিগন্যাল খুঁজতে পারেন। মার্কেটে এই পেয়ার বিক্রি করার তাড়া নেই, তবে সময়ের সাথে পাউন্ডের মূল্য ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে, যা একটি ভাল লক্ষণ। আজ, মার্কিন জিডিপি প্রতিবেদন ডলারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। কিন্তু এই প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল দেখা গেলে ডলারের আগের ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া উচিত।
5M চার্টের মূল লেভেলগুলো হল 1.2270, 1.2310, 1.2372-1.2387, 1.2457, 1.2502, 1.2544, 1.2605-1.2611, 1.2648, 1.2691, 1.2725, 1.2787-1.2791। যুক্তরাজ্যে কোনো উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গুরুত্বপূর্ণ জিডিপি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে, এবং ডিউরেবল গুডস অর্ডারের উপর একটি গৌণ গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। মনে রাখবেন যে এমনকি জিডিপি প্রতিবেদনও এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রাকে প্রভাবিত করতে পারবে না যদি এটির ফলাফল পূর্বাভাসের সাথে মিলে যায়।
ট্রেডিংয়ের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।
2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সিগন্যাল লাইন নিয়ে গঠিত। যখন মূল্য এগুলো অতিক্রম করে, সেটি মার্কেটে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।
ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।