বৃহস্পতিবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:
EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট
বৃহস্পতিবার EUR/USD পেয়ার একটি অ্যাসেন্ডিং চ্যানেলের মধ্যে ট্রেডিং চালিয়ে যাচ্ছে। এই পেয়ারের মূল্য বারবার দিক পরিবর্তন করছে। আংশিকভাবে মার্কিন জিডিপি প্রতিবেদনের জন্য এটি হয়েছিল, যার ফলাফল তাৎপর্যপূর্ণ এবং বেশ পরস্পরবিরোধী বলে প্রমাণিত হয়েছে। ফলস্বরূপ, মার্কেটের ট্রেডাররা প্রথমে এই পেয়ার কিনেছিল, তারপর আতঙ্কিত হয়ে বিক্রি করেছিল এবং শেষ পর্যন্ত আবার কিনেছিল। মার্কিন অর্থনীতি প্রথম প্রান্তিকে মাত্র 1.6% প্রবৃদ্ধি প্রদর্শন করেছে, যা পূর্বাভাসের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম। যাইহোক, বার্ষিক ভিত্তিতে, মার্কেটের ট্রেডারদের প্রত্যাশা ছাড়িয়ে দেশটির অর্থনীতি 3.1% প্রবৃদ্ধি প্রদর্শন করেছে। এ কারণে মার্কেটের ট্রেডাররা প্রথমে ডলার কিনলেও পরে বিক্রি করে। জিডিপি প্রতিবেদনের ফলাফল ইতিবাচক নাকি নেতিবাচক তা নির্ধারণ করা যায়নি। এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া কঠিন বলে মনে হচ্ছে। আমরা মনে করি যে মূল বিষয়টি হল যে এই পেয়ার ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন করছে, এবং এই পর্যায়টি শেষ হয়ে গেলে ডলারের দর সহজেই বাড়তে পারে।
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট
5 মিনিটের টাইমফ্রেমে বেশ কিছু ট্রেডিং সিগন্যাল তৈরি হয়েছে। ইউরোপীয় সেশন জুড়ে, এই পেয়ারের মূল্য 1.0725 লেভেল থেকে কোথায় যেতে হবে তা নির্ধারণ করতে পারেনি। অবশেষে, এই লেভেলে থেকে মূল্যের রিবাউন্ড হয়েছিল এবং মূল্য 1.0678 এর লক্ষ্যমাত্রায় নেমে আসে। এটি ট্রেড এক্সিকিউট করার প্রথম সিগন্যাল ছিল, যার ফলে প্রায় 25 পিপস লাভ হয়েছিল। 1.0678 লেভেল থেকে রিবাউন্ড একটি লং পজিশন ব্যবহার করে এক্সিকিউট করা উচিত ছিল এবং সন্ধ্যার মধ্যে মূল্য 1.0725 লেভেলে ফিরে এসেছে, যা থেকে নতুন ট্রেডাররা আরও 30 পিপস লাভ করতে পারে।
শুক্রবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:
ঘন্টাভিত্তিক চার্টে, এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে, কিন্তু EUR/USD পেয়ার বর্তমানে ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন করছে। আমরা মনে করি যে ইউরোর মূল্য আরও কমে যাওয়া উচিত, কারণ এটির মূল্য এখনও খুব বেশি রয়েছে এবং সাধারণভাবে, এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। যাইহোক, এই মুহূর্তে, একটি নতুন নিম্নগামী মুভমেন্ট শুরু করার আগে মার্কেটের ট্রেডাররা সম্ভবত বিরতি নিচ্ছে।
বর্তমানে মূল্য চ্যানেলের ঊর্ধ্বসীমার কাছাকাছি থাকায় আজ এই পেয়ারের দরপতন হতে পারে। গতকাল, মার্কিন জিডিপি প্রতিবেদনের ফলাফল এই পেয়ারের দরপতন রোধ করেছে, এবং আজ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পারসোনাল কনজাম্পশন এক্সপেন্ডিচার প্রাইস ইনডেক্স এবং কনজিউমার সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স এটিকে বাধা দিতে পারে। যাইহোক, আমরা এই পেয়ারের মূল্যের শক্তিশালী বৃদ্ধির আশা করছি না।
5M চার্টের মূল লেভেলগুলো হল 1.0483, 1.0526, 1.0568, 1.0611, 1.0678, 1.0725, 1.0785-1.0797, 1.0838-1.0856, 1.0888-1.0896, 1.0940, 1.0971-1.0981। ইউরোপীয় ইউনিয়নে কোনো উল্লেখযোগ্য ইভেন্টের পরিকল্পনা নেই, যখন মার্কিন ব্যক্তিগত আয় এবং ব্যয়, কনজিউমার সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স, এবং পারসোনাল কনজাম্পশন এক্সপেন্ডিচার প্রাইস ইনডেক্স সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। একসাথে, এই সূচকগুলোর ফলাফল মার্কেটের সেন্টিমেন্টকে প্রভাবিত করতে পারে।
ট্রেডিংয়ের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।
2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সিগন্যাল লাইন নিয়ে গঠিত। যখন মূল্য এগুলো অতিক্রম করে, সেটি মার্কেটে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।
ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।