সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:
শুক্রবারে বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত আছে, তবে সেগুলোর সবই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য বা জার্মানিতে কোনো উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। অতএব, ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশনের সময় উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য মন্থর মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মার্কিন ভোক্তাদের ব্যক্তিগত আয় এবং ব্যয়, পিসিই সূচক এবং মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের কনজিউমার সেন্টিমেন্ট ইনডেক্সের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। ব্যক্তিগত আয় এবং ব্যয়ের প্রতিবেদন ঠিক তাৎপর্যপূর্ণ নয়। অনেক বিশেষজ্ঞ PCE সূচককে "ফেডারেল রিজার্ভের পছন্দের মূল্যস্ফীতি পরিমাপক" হিসাবে বিবেচনা করেন, তবে এটি সাধারণত মার্কেটে সেন্টিমেন্টে দুর্বল প্রভাব ফেলে। কনজিউমার সেন্টিমেন্ট সূচক একটি প্রতিক্রিয়া উস্কে দিতে পারে, তবে শুধুমাত্র পূর্বাভাস থেকে প্রকৃত ফলাফলের উল্লেখযোগ্য বিচ্যুতির ক্ষেত্রে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:
শুক্রবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের মধ্যে, শুধুমাত্র ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট লুইস ডি গুইন্ডোসের বক্তৃতার কথা তুলে ধরা যায়। যাইহোক, আমরা ইতোমধ্যে উল্লেখ করেছি, মার্কেটের ট্রেডারদের কাছে এই মুহূর্তে ইসিবির আর্থিক নীতিমালা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা আছে, তাই আমরা আশা করি না যে ইসিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট নতুন বা উল্লেখযোগ্য কিছু বলবেন। উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের বুলিশ কারেকশন অব্যাহত রয়েছে, এবং এটি এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নিম্নমুখী প্রবণতা এখনও শেষ হয়নি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দুর্বল প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও সেটি ডলারের মূল্যের উত্থান বন্ধ করার কথা নয়।
উপসংহার:
আজ, নতুন ট্রেডারদের পিসিই এবং মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত। খুব সম্ভবত, মার্কেটের ট্রেডাররা এই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফলের প্রতি দুর্বল প্রতিক্রিয়া দেখাবে। সামষ্টিক পটভূমি দুর্বল থাকার কারণে ইউরোপীয় সেশন চলাকালীন সময়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের কম অস্থিরতা পরিলক্ষিত হতে পারে। ইউরো সম্পর্কে বলতে গেলে, এটির প্রযুক্তিগত চিত্র এই মুহুর্তে পরিষ্কার, কারণ অ্যাসেন্ডিং চ্যানেল এই পেয়ারের মূল্যের রেঞ্জ এবং মুভমেন্টের দিক নির্দেশ করে। পাউন্ডের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি বেশ জটিল, তবে এই পেয়ারের কারেকটিভ ফেজ দেখা যাচ্ছে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।
2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সিগন্যাল লাইন নিয়ে গঠিত। যখন মূল্য এগুলো অতিক্রম করে, সেটি মার্কেটে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।
ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।