শুক্রবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:
EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট
শুক্রবার থেকে EUR/USD পেয়ারের মূল্য কমতে শুরু করেছে, যা প্রযুক্তিগত কারণে ন্যায্য ছিল। গত কয়েকদিন ধরে, এই পেয়ারের মূল্য অ্যাসেন্ডীং চ্যানেলের উপরের সীমানার কাছে ঘোরাফেরা করছে, তাই এটি থেকে মূল্যের বাউন্স এবং একটি নিম্নগামী মুভমেন্টের দিকে স্থানান্তর হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। এই মুভমেন্টের জন্য সংশ্লিষ্ট সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমিরও প্রয়োজন ছিল না। সারাদিনে প্রকাশিত মার্কিন প্রতিবেদন দ্ব্যর্থহীনভাবে মার্কিন গ্রিনব্যাককে সমর্থন করেনি। আরও সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে, চারটি মার্কিন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল, যার মধ্যে তিনটি মার্কিন গ্রিনব্যাককে সমর্থন করেনি। সামগ্রিকভাবে, মার্কিন প্রতিবেদনগুলো এই সপ্তাহে কাঙ্ক্ষিত হওয়ার মতো অনেক কিছু রেখে গেছে। সবচেয়ে হতাশাজনক ছিল প্রথম প্রান্তিকের জিডিপি প্রতিবেদন, যা অপ্রত্যাশিতভাবে 1.6%-এ নেমে এসেছে। প্রকৃতপক্ষে, মার্কিন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মন্থরতাকে অসাধারণ কিছু হিসাবে বিবেচনা করা যায় না, কারণ ফেডারেল রিজার্ভের নীতি বেশ কিছুদিন ধরেই বেশ হকিশ বা কঠোর রয়েছে। যাইহোক, তারপরও আমরা আরও অনেকের সাথে সাথে ডলারের উচ্চ মূল্যের আশা করেছিলাম।
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট
5 মিনিটের টাইমফ্রেমে বেশ কিছু ট্রেডিং সিগন্যাল তৈরি হয়েছে। ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশনের শুরুতে, এই পেয়ারের মূল্য 1.0725 এর লেভেল থেকে বাউন্স করেছিল কিন্তু মূল্য শুধুমাত্র 15 পিপস বাড়তে সক্ষম হয়েছিল, যা ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করার জন্য যথেষ্ট ছিল। তারপর, 1.0725 এর একই লেভেলের কাছাকাছি দুটি সেল সিগন্যাল তৈরি হয়েছিল, যার পরে মূল্য 1.0678-এর নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছেছিল। শর্ট পজিশন থেকে প্রায় 25 পিপস লাভ ছিল। 1.0678 লেভেল থেকে বাউন্সও কার্যকর করা যেত, কিন্তু এই সিগন্যালটি বেশ দেরিতে তৈরি হয়েছিল, তাই মার্কেট বন্ধ হওয়ার আগে এন্ট্রি না করাই ভাল ছিল।
সোমবারে ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:
ঘন্টাভিত্তিক চার্টে, এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে, কিন্তু বর্তমানে EUR/USD পেয়ার ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন করছে। আমরা মনে করি যে মাঝারি মেয়াদে ইউরোর দরপতন অব্যাহত রাখা উচিত, কারণ এটির মূল্য এখনও খুব বেশি রয়েছে, এবং সাধারণভাবে, এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। যাইহোক, এই মুহূর্তে, একটি নতুন নিম্নগামী মুভমেন্ট শুরু করার আগে মার্কেটের ট্রেডাররা সম্ভবত বিরতি নিচ্ছে।
সোমবার, এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী মুভমেন্ট পুনরায় শুরু করতে পারে কারণ মূল্য অ্যাসেন্ডিং চ্যানেলের উপরের সীমানা থেকে বাউন্স করেছে। যদি অ্যাসেন্ডিং চ্যানেলের নিচে মূল্যের কনসলিডেশন হয়, তাহলে এটি নতুন দফায় নিম্নগামী প্রবণতা শুরুর সংকেত দেবে।
5M চার্টের মূল লেভেলগুলো হল 1.0483, 1.0526, 1.0568, 1.0611, 1.0678, 1.0725, 1.0785-1.0797, 1.0838-1.0856, 1.0888-1.0896, 1.0940, 1.0971-1.0981। ইউরোজোনে জার্মানির মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে যা গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা যায়৷ দেশটির মুদ্রাস্ফীতি 2.3% এ ত্বরান্বিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা ইউরোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয়। শুধুমাত্র পূর্বাভাস থেকে প্রকৃত ফলাফলের উল্লেখযোগ্য বিচ্যুতির ক্ষেত্রে এটি মার্কেটে প্রতিক্রিয়া উস্কে দিতে পারে। জার্মানির মুদ্রাস্ফীতি ত্বরান্বিত হলে ট্রেডাররা ইউরো কিনতে পারে।
ট্রেডিংয়ের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।
2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সিগন্যাল লাইন নিয়ে গঠিত। যখন মূল্য এগুলো অতিক্রম করে, সেটি মার্কেটে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।
ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।