সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:
GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট
সোমবারও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সাথে GBP/USD পেয়ারের ট্রেড করা হয়েছে। যাইহোক, ব্রিটিশ মুদ্রার প্রযুক্তিগত চিত্র ইউরো থেকে কিছুটা আলাদা। ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য দুই সপ্তাহ ধরে 1.2457 এবং 1.2611 এর একটি ফ্ল্যাট রেঞ্জে রয়েছে। এই ফ্ল্যাট রেঞ্জ লোয়ার টাইমফ্রেমে স্পষ্ট নাও হতে পারে, কিন্তু হায়ার চার্টে এটি স্পষ্ট। গত ছয় মাস ধরে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের সাইডওয়েজ চ্যানেলের দিকে যাওয়ার প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়েছে এবং মনে হচ্ছে আমরা আরেকটি সেরকম পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছি। 1.2611 লেভেলের কাছাকাছি 150 পিপসের দরপতনের সাথে একটি বিয়ারিশ রিভার্সাল দেখা যেতে পারে। মার্কিন ডলারকে সমর্থন করার জন্য কোন মৌলিক বা সামষ্টিক অর্থনৈতিক ইভেন্টের প্রয়োজন নেই, সেগুলো সাহায্য ছাড়াই পাউন্ডের বিপরীতে ডলারের শক্তিশালী হওয়া উচিত।
যুক্তরাজ্য বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোনো উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট ছিল না। যথারীতি, ফেডারেল রিজার্ভের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা বক্তব্য দিয়েছেন, কিন্তু তারা প্রতিবার কমবেশি একই কথার পুনরাবৃত্তি করছেন।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট
5 মিনিটের টাইমফ্রেমে দুটি বাই সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। প্রথমত, এই পেয়ারের মূল্য 1.2541-1.2547 এরিয়াকে অতিক্রম করেছে, এবং তারপর এই এরিয়ার উপরে থেকে বাউন্স হয়েছে। এগুলি ভাল সিগন্যাল ছিল যা একে অপরকে আরও শক্তিশালী করেছিল, তবে এগুলো থেকে লাভ করা অত্যন্ত কঠিন ছিল কারণ প্রায় অবিলম্বে এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট বন্ধ হয়ে যায়। তা সত্ত্বেও, মঙ্গলবারে লং পজিশন হোল্ড করে রাখা বাঞ্ছনীয় ছিল। বর্তমানে, একমাত্র কার্যকর বিকল্প হতে পারে— ট্রেডিং কার্যদিবসের বাইরে ট্রেড ওপেন করে রাখা।
মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:
প্রতি ঘণ্টার চার্টে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী প্রবণতা তৈরির জন্য চমৎকার সম্ভাবনা রয়েছে, কিন্তু কারেকশন অব্যাহত রয়েছে। মৌলিক পটভূমি ব্রিটিশ পাউন্ডের তুলনায় ডলারকে অনেক বেশি সমর্থন করে চলেছে। অতএব, আমরা শুধুমাত্র এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী মুভমেন্টের আশা করছি। ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ড দৃঢ়ভাবে ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করেছে, যখন ফেডারেল রিজার্ভ সম্ভাব্য সবচেয়ে হকিস বা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে।
যদি আমরা যৌক্তিক মুভমেন্ট দেখতে পাই, তাহলে আমরা আশা করি মঙ্গলবার পাউন্ডের দরপতন হবে। যাইহোক, এই পেয়ারের মূল্য 1.2541-1.2547 এরিয়া অতিক্রম করলে নতুন ট্রেডাররা মূল্য 1.2605 এর লক্ষ্যমাত্রর দিকে যাবে এই বিবেচনায় কিছু সময়ের জন্য লং পজিশন হোল্ড করে রাখতে পারবে। যখন মূল্য 1.2541-1.2547-এর নিচে কনসলিডেট হয় তখন ট্রেডাররা শর্ট পজিশন বিবেচনা করতে পারে।
5M চার্টের মূল লেভেলগুলো হল 1.2270, 1.2310, 1.2372-1.2387, 1.2457, 1.2502, 1.2541-1.2547, 1.2605-1.2611, 1.2648, 1.2691, 1.2725, 1.2787-1.2791। আজ, যুক্তরাজ্য বেকারত্ব এবং মজুরি সম্পর্কিত আকর্ষণীয় প্রতিবেদন প্রকাশ করবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফেডারেল রিজার্ভ চেয়ার জেরোম পাওয়েলের বক্তৃতা রয়েছে এবং উৎপাদক মূল্য সূচক প্রকাশিত হবে। মঙ্গলবার মার্কেটে কিছু প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করার জন্য এগুলি যথেষ্ট হওয়া উচিত।
ট্রেডিংয়ের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।
2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সিগন্যাল লাইন নিয়ে গঠিত। যখন মূল্য এগুলো অতিক্রম করে, সেটি মার্কেটে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।
ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।
