বৃহস্পতিবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:
EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট
EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ছোটখাট কারেকশন শুরু হয়েছে এবং শুক্রবার এই ধরনের মুভমেন্ট চলমান থাকতে পারে। 30-40 পিপসের দরপতন কিছুই নয় যদি আমরা এটিকে এক মাসব্যাপী চলা ঊর্ধ্বগামী মুভমেন্টের সাথে তুলনা করি। মূল্য প্রথম প্রচেষ্টায় 1.0888-এর লেভেল অতিক্রম করেনি, কিন্তু এর মানে এই নয় যে ক্রেতারা মার্কেট ছেড়ে চলে গেছে। এখনও এই পেয়ারের মূল্য বাড়তে পারে। প্রথমত, মার্কেটে বুলিশ প্রবণতা বিরাজ করছে, এবং ইউরোর মূল্য বাড়তে থাকে এমনকি যখন এটির দর বাড়ার কোন ভিত্তি নেই। কারো কারো কাছে বর্তমান মুভমেন্ট যৌক্তিক মনে হতে পারে, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক সামষ্টিক প্রতিবেদনের ফলাফল বিবেচনা করে। এই বিষয়টি আংশিক সত্য। যাইহোক, আমরা প্রত্যেককে একটি গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক ফ্যাক্টরের কথা মনে করিয়ে দিতে চাই যা ডলারের দর বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করবে। মূল বিষয় হল যে ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের সুদের হার পরের মাসেই কমতে চলেছে, যখন শীঘ্রই ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার পরিবর্তন হবে না বলে আশা করা হচ্ছে৷ উপরন্তু, মার্কেটের ট্রেডাররা আর ইউরোপীয় অর্থনীতির কর্মক্ষমতা দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে না। অতএব, আমরা মনে করি যে এই পেয়ারের মূল্যের বর্তমান বৃদ্ধি অযৌক্তিক। যাইহোক, যদি এই পেয়ারের মূল্য অ্যাসেন্ডিং চ্যানেলের নিচে কনসলিডেট না হয় তাহলে আমাদের নিম্নমুখী প্রবণতার আশা করা উচিত নয়।
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট
অস্থিরতার মাত্রা কম থাকা সত্ত্বেও, 5 মিনিটের টাইমফ্রেমে দুটি ভাল এবং সঠিক ট্রেডিং সিগন্যাল তৈরি করা হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে, এই পেয়ারের মূল্য 1.0888 লেভেল থেকে বাউন্স করে এবং তারপর 1.0856 লেভেল ক্লোজ করে। যেহেতু এই লেভেলগুলো মধ্যে দূরত্ব ছিল মাত্র 32 পিপস, তাই এই ট্রেড থেকে খুব বেশি মুনাফা হয়নি। তবুও, স্বল্প মাত্রার অস্থিরতার মধ্যে, নতুন ট্রেডাররা প্রায় 20-25 পিপস উপার্জন করতে পেরেছে, যা বেশ ভাল।
শুক্রবারের ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:
প্রতি ঘণ্টার চার্টে, EUR/USD পেয়ারের মূল্যের উর্ধ্বমুখী সংশোধন হচ্ছে, যা ক্রমশ একটি স্বাধীন প্রবণতার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। আমরা মনে করি যে মধ্য মেয়াদে আবার এই পেয়ারের দরপতন শুরু হওয়া উচিত, কারণ ইউরো ব্যয়বহুল থাকে এবং সামগ্রিক প্রবণতা নিম্নগামী। মৌলিক পটভূমি এখনও মার্কিন ডলারকে সমর্থন করে চলেছে এবং এপ্রিলের মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদন ফেডের অবস্থানের পরিবর্তন ঘটাবে না।
শুক্রবার, নতুন ট্রেডাররা 1.0838-1.0856 এর এরিয়ায় বাই সিগন্যালের অনুসন্ধান চালিয়ে যেতে পারেন। যদি এই এরিয়ার নিচে এই পেয়ারের মূল্যের কনসলিডেশন হয়, তাহলে মূল্য 1.0785-1.0797-এর দিকে নেমে যেতে পারে।
5M চার্টের মূল লেভেলগুলো হল 1.0483, 1.0526, 1.0568, 1.0611, 1.0678, 1.0725-1.0733, 1.0785-1.0797, 1.0838-1.0856, 1.0888-1.0896, 1.0940, 1.0971-1.0981। শুক্রবার, আমরা শুধুমাত্র ইউরোজোনের এপ্রিলের মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদনের দ্বিতীয় অনুমানের কথা তুলে ধরতে পারি। যাইহোক, এই প্রতিবেদনটি গুরুত্বের দিক থেকে গৌণ। মার্কিন ইভেন্ট ক্যালেন্ডারে আজ তেমন কিছু নেই।
ট্রেডিংয়ের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।
2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সিগন্যাল লাইন নিয়ে গঠিত। যখন মূল্য এগুলো অতিক্রম করে, সেটি মার্কেটে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।
ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।