বুধবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:
EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট
বুধবার EUR/USD পেয়ার নিম্নমুখী প্রবণতায় ট্রেডিং অব্যাহত রেখেছে, যা 1.0888 লেভেল থেকে দ্বিতীয় বাউন্সের পরে শুরু হয়েছে। যদিও অনেকেই এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা দেখতে পাওয়ার আশা করছে, তবে আমাদের অবশ্যই স্বীকার করতে হবে যে EUR/USD পেয়ার বর্তমানে কোন নির্দিষ্ট প্রবণতার চেয়ে ফ্ল্যাট ফেজ বেশি দেখাচ্ছে। উপরের চার্টে যেমন দেখা গেছে, মূল্য দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে 1.0785 এবং 1.0888 লেভেলের মধ্যে রয়েছে। তদুপরি, অ্যাসেন্ডিং চ্যানেল, যা গত দেড় মাস ধরে ইউরোকে সমর্থন করছে, প্রাসঙ্গিক রয়ে গেছে। এটা আশা অত্যন্ত কঠিন যে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা গঠিত হচ্ছে, এমনকি যদি সবাই এটির জন্য অপেক্ষা করেও থাকে। যাইহোক, যদি মূল্য অ্যাসেন্ডিং চ্যানেলের নিচে এবং 1.0785-এর লেভেল কনসলিডেট হয়, তাহলে এটি ইউরোর দীর্ঘস্থায়ী এবং উল্লেখযোগ্য দরপতনের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিতে পারে, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইউরো কেনার জন্য মার্কেটের ট্রেডারদের অনিয়ন্ত্রিত ইচ্ছার কারণে এটির মূল্য বাড়ছে। এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির আপাত কোন কারণ নেই।
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট
5 মিনিটের টাইমফ্রেমে ছয়টি ট্রেডিং সিগন্যাল তৈরি হয়েছিল। এই সিগন্যালগুলো 1.0838 এবং 1.0856 লেভেলের আশেপাশে গঠিত হয়েছিল, এই দুটি লেভেলের মধ্যে মাত্র 18 পিপসের দূরত্ব ছিল৷ অতএব, এই লেভেলগুলো থেকে রিবাউন্ডের ক্ষেত্রে কোন ট্রেড ওপেন করার কোনও মানে হয় না। ট্রেডাররা প্রায় 5 পিপস লাভের আশা করতে পারে। যখন মূল্য 1.0838 এর লেভেলের নিচে কনসলিডেট হয় তখনই কাজ করার অর্থ ছিল, যার পরে মূল্য 1.0797 লেভেলে নেমে আসে। এই ট্রেড থেকে লাভের পরিমাণ ছিল প্রায় 25 পিপস।
বৃহস্পতিবারের ট্রেডের পরামর্শ:
এক ঘন্টার চার্টে, এই পেয়ারের মূল্যের বুলিশ কারেকশন অটুট রয়েছে, যা ধীরে ধীরে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের রূপান্তরিত হচ্ছে। আমরা মনে করি যে মাঝারি মেয়াদে ইউরোর দরপতন হওয়া উচিত, এবং বিশ্বব্যাপী এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। তা সত্ত্বেও, মার্কেটের ট্রেডাররা এখনও অজানা কারণে ডলার কিনতে অস্বীকার করে এবং এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রাও কম রয়েছে। কোন ট্রেড ওপেন করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ট্রেডারদের এই বিষয়গুলো বিবেচনা করা উচিত।
বৃহস্পতিবার, নতুন ট্রেডাররা 1.0785-1.0797 এর এরিয়ার আশেপাশে সিগন্যাল খুঁজতে পারে। আপনি সেল সিগন্যাল বিবেচনা করতে পারেন, কিন্তু ইউরোর মূল্য যে কোনো মুহূর্তে বাড়তে পারে। অ্যাসেন্ডীং চ্যানেলের নীচে কনসলিডেশন ইউরোর মূল্যের উত্থানের সমাপ্তির ইঙ্গিত দিতে পারে।
5M চার্টের মূল লেভেলগুলো হল 1.0483, 1.0526, 1.0568, 1.0611, 1.0678, 1.0725-1.0733, 1.0785-1.0797, 1.0838-1.0856, 1.0888-1.0896, 1.0940, and 1.0971-1.0981। বৃহস্পতিবার, ইউরোজোনের বেকারত্বের প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইনিশিয়াল জবলেস ক্লেইমস এবং প্রথম প্রান্তিকের জিডিপি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এই প্রতিবেদনগুলোর প্রভাবে মার্কেটে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
ট্রেডিংয়ের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।
2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সিগন্যাল লাইন নিয়ে গঠিত। যখন মূল্য এগুলো অতিক্রম করে, সেটি মার্কেটে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।
ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।