মঙ্গলবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:
GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট
গতকাল, GBP/USD পেয়ার 1.2603 লেভেল থেকে বাউন্স করেছে, যা এই পেয়ারের সামান্য দরপতন ঘটিয়েছে। ইউরোর বিপরীতে, ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু করতে পারে যদি মার্কেটের ট্রেডাররা এই পেয়ার বিক্রয়ের পরিকল্পনা করে। অন্তত, এই পেয়ারের মূল্যের 1.2633 লেভেলে নেমে যাওয়া উচিত। যাইহোক, পাউন্ড স্টার্লিংয়ের মূল্যের স্বল্প মাত্রার অস্থিরতা পরিলক্ষিত হচ্ছে এবং এটি দরপতন প্রদর্শন করতে অনিচ্ছুক বলে মনে হচ্ছে। গত দুই দিনে যুক্তরাজ্য বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোনো আকর্ষণীয় ইভেন্ট ছিল না, তাই মার্কেটের ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া জানানোর মতো কিছুই ছিল না। এমনকি আমরা সোমবার এই পেয়ারের মূল্যের মোটামুটি প্রবণতা-চালিত মুভমেন্ট দেখে বিস্মিত হয়েছি! কিন্তু যেহেতু মূল্য 1.2693 এর লেভেল অতিক্রম করতে পারেনি, আমরা এখন এই পেয়ারের মূল্যের হ্রাস পাওয়ার আশা করতে পারি, বিশেষ করে যেহেতু বুধবারে কোনো উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশের নেই।
পাউন্ডের মধ্যমেয়াদী সম্ভাবনার ব্যাপারে বলতে গেলে, আমরা এখনও দরপতনের আশা করছি। তবে, মার্কেটের ট্রেডাররা পাউন্ড বিক্রি করতে প্রস্তুত কিনা তা বড় প্রশ্ন রয়ে গেছে। আমরা অন্য কিছুর আশা করতে পারছি না, কারণ আমরা সমস্ত প্রধান বিশ্লেষণের উপর ভিত্তি করে উপসংহারে এসেছি এবং সেগুলোর সবগুলোতেই এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী মুভমেন্ট ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট
5-মিনিটের টাইমফ্রেমে, দিনের বেশিরভাগ সময় এই পেয়ারের মূল্য 1.2684-1.2693 এরিয়া বরাবর সাইডওয়েজ মুভমেন্ট প্রদর্শন করেছে। মার্কিন ট্রেডিং সেশনের সময় যখন মূল্য এই এরিয়ার নিচে কনসলিডেট হয় তখন সেল সিগন্যাল গঠনের প্রাথমিক লক্ষণগুলি তৈরি হতে শুরু করে। ততক্ষণে, নতুন ট্রেডাররা ইতোমধ্যে এই পেয়ারের মূল্যের মঙ্গলবারের মুভমেন্টের ধরন মূল্যায়ন করতে পারে এবং তারা এই ধরনের "দুর্বল" মুভমেন্টের সময়ে মার্কেটে এন্ট্রি করতে চায় কিনা সে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তবুও, ট্রেডাররা এই পেয়ার বিক্রি করতে পারে, এবং এখন আমরা আশা করতে পারি এই পেয়ারের মূল্য 1.2633 এর লেভেলে নেমে যাবে।
বুধবারের ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:
প্রতি ঘণ্টার চার্টে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা গঠনের প্রতিশ্রুতিশীল লক্ষণ দেখা যাচ্ছে, যদিও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সম্ভাবনা বাতিল করা হয়নি। এই পেয়ারের মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতার সম্ভাবনার ব্যাপারে বলতে গেলে, এটা একটা ভালো জিনিস যে মূল্য 1.2693 এর লেভেল দুইবার অতিক্রম করতে পেরেছে; যাইহোক, মার্কেটের ট্রেডাররা প্রায়শই এই পেয়ার বিক্রি করতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে, এমনকি প্রযুক্তিগত, মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক কারণের উপস্থিতিতেও এই ধরনের পরিস্থিতি পরিলক্ষিত হচ্ছে।
বুধবার, ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের অনিয়মিত এবং অযৌক্তিক মুভমেন্ট চলমান থাকতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, এই পেয়ারের মূল্য 1.2633 এর লেভেল ফিরে আসতে পারে। GBP/USD পেয়ারের মূল্যের স্বল্প মাত্রার অস্থিরতার বিরাজ করতে পারে।
5M চার্টের মূল লেভেলগুলো হল 1.2457, 1.2502, 1.2541-1.2547, 1.2605-1.2633, 1.2684-1.2693, 1.2748, 1.2791-1.2798, 1.2848-1.2860, 1.2913, and 1.2980। আজ, যুক্তরাজ্য বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোন গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। অতএব, ট্রেডাররা সম্ভবত আরেকটি বিরক্তিকর দিনের মুখোমুখি হবেন।
ট্রেডিংয়ের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।
2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সিগন্যাল লাইন নিয়ে গঠিত। যখন মূল্য এগুলো অতিক্রম করে, সেটি মার্কেটে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।
ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।