বুধবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:
GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট
গতকাল, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হয়েছে, যা মার্কিন সামষ্টিক প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল দ্বারা শুরু হয়েছিল। আমরা আপনাকে সতর্ক করে দিয়েছিলাম যে আইএসএম এবং এডিপি থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচত হলে। উভয় প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশার তুলনায় দুর্বল ছিল। অতএব, দিনের দ্বিতীয়ার্ধে ডলারের দরপতন সম্পূর্ণরূপে অনুমানযোগ্য ছিল। দুর্ভাগ্যবশত, মার্কিন অর্থনীতিতে দুর্বলতার যেকোনো খবরের প্রতি মার্কেটের ট্রেডাররা আগ্রহের সাথে সাড়া দেয়, যদিও দেশটির অর্থনীতি যুক্তরাজ্যের তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী অবস্থায় রয়েছে। ফেডারেল রিজার্ভ শীঘ্রই যে কোনো সময় সুদের হার কমানোর পরিকল্পনা না করলে মার্কেটের ট্রেডাররা তাদের আর পাত্তা দেয় না। পাউন্ড স্টার্লিংয়ের মূল্যের অন্তত 1.23 লেভেলে নীচে নেমে যাওয়া উচিত ছিল, কিন্তু এর পরিবর্তে, ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে পাউন্ডের মূল্য একটি ফ্ল্যাট রেঞ্জে আটকে আছে, যা দৈনিক টাইমফ্রেমে স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে। প্রতি ঘণ্টার চার্টে এই পেয়ারের মূল্যের সাইডওয়েজ মুভমেন্ট স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান। আজ, আমরা শুধুমাত্র গতকালের দর বৃদ্ধির পরে একটি কারেকশনের আশা করতে পারি, এবং এই পেয়ারের মূল্যের দুর্বল মাত্রা অস্থিরতা বিরাজ করতে পারে।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট
5 মিনিটের টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্য 1.2684-1.2693 এরিয়া ভেদ করে বেশ ভাল একটি বাই সিগন্যাল তৈরি করেছিল। এর পরে, এই পেয়ারের মূল্য 1.2748 এর লেভেলে উঠেছিল, তারপর এই লেভেল ব্রেক করে যায় এবং তারপরে মূল্য নিচের দিকে নেমে যায়। অতএব, নতুন ট্রেডাররা তাদের লং পজিশনগুলো ক্লোজ করতে পারে যখন মূল্য 1.2748 লেভেলের উপরে স্থির হয় বা যখন মূল্য এটির নীচে স্থির হয় এবং একটি সেল সিগন্যাল তৈরি করে। যাই হোক না কেন, এই ট্রেড থেকে লাভের পরিমাণ ছিল কমপক্ষে 40 পিপস। আপনাকে মনে করিয়ে দিতে চাই, ট্রেডিং সিগন্যাল কার্যকর করা এবং ইতিবাচক প্রবণতার সাথে ভাল মুনাফা অর্জন করা সম্ভব। মার্কেট ফ্ল্যাট থাকলে কোনো ধরনের সিগন্যালই লাভ নিয়ে আসবে না।
বৃহস্পতিবারের ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:
প্রতি ঘণ্টার চার্টে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা গঠনের প্রতিশ্রুতিশীল লক্ষণ দেখা যাচ্ছে, কিন্তু এর মানে এই নয় যে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা তৈরি গঠিত হবে না। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে এই পেয়ারের মূল্যের ব্যাপক সাইডওয়েজ মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হয়েছে, এবং নিম্নমুখী দিকে মূল্য প্রথম উল্লেখযোগ্য 1.2605-1.2633 এর সাপোর্ট এরিয়া অতিক্রম করতে পারেনি৷ সুতরাং ব্রিটিশ মুদ্রার দর আবার বাড়ছে, এবং সামগ্রিকভাবে, এই পেয়ারের মূল্যের অনিয়মিত মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার, গতকালের দর বৃদ্ধির পরে পাউন্ড স্টার্লিংয়ের দরপতন হতে পারে। যাইহোক, স্বাধীনতা দিবসের ছুটিতে মার্কিন মার্কেট বন্ধ রয়েছে, তাই আমরা এই পেয়ারের মূল্যের শক্তিশালী মুভমেন্টের আশা করছি না।
5M চার্টের মূল লেভেলগুলো হল 1.2457, 1.2502, 1.2541-1.2547, 1.2605-1.2633, 1.2684-1.2693, 1.2748, 1.2791-1.2798, 1.2848-1.2860, 1.2913, and 1.2980। আজ, যুক্তরাজ্যে কনস্ট্রাকশন পিএমআই প্রতিবেদনের দ্বিতীয় অনুমান প্রকাশ করা হবে। এটি গুরুত্বের দিক থেকে সম্পূর্ণ গৌণ সূচক যা কেবলমাত্র মার্কেটে সামান্য প্রতিক্রিয়া উস্কে দিতে পারে।
ট্রেডিংয়ের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।
2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সিগন্যাল লাইন নিয়ে গঠিত। যখন মূল্য এগুলো অতিক্রম করে, সেটি মার্কেটে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।
ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।