শুক্রবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:
GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট
শুক্রবার উর্ধ্বমুখী প্রবণতার সাথে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং অব্যাহত ছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত প্রায় সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনের ফলাফল হতাশাজনক ছিল, তাই ডলারের দরপতন যৌক্তিক ছিল। যাইহোক, মার্কেটের ট্রেডাররা গত 6-9 মাস ধরে ডলার বিক্রি করছে, এমনকি যখন এর জন্য কোন কারণ নাও থাকে। তারা ফেডারেল রিজার্ভের প্রধান জেরোম পাওয়েলের অবস্থান, ফেডের দীর্ঘায়িত হকিস বা কঠোর আর্থিক নীতিমালা, বা পরবর্তী বৈঠকের ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড এর আর্থিক নীতিমালা নমনীয় করার হুমকি কোন কিছুই বিবেচনা করছে না। অতএব, যদি ডলারের দরপতনের জন্য কোন কারণ থাকুক বা না থাকুক, তারপরও ডলারের দরপতন হচ্ছে।
শুক্রবার প্রকাশিত গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল মার্কেটের ট্রেডারদের হতাশ করেছে। ননফার্ম পেরোল প্রতিবেদনের ফলাফল পূর্বাভাসের তুলনায় 16,000 বেশি ছিল, কিন্তু একই সময়ে, আগের মাসের 272,000 থেকে এই সূচক 218,0000 এ নেমে এসেছে। এইভাবে, গত দুই মাসে মোট নন-ফার্ম পেরোল পরিসংখ্যান প্রত্যাশার চেয়ে নিম্নমুখী ছিল। বেকারত্বের হারও বেড়ে 4.1%-এ পৌঁছেছে, যা ট্রেডাররা আশা করেনি।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট
5-মিনিটের টাইমফ্রেমে, নতুন ট্রেডাররা বৃহস্পতিবার ওপেন করা লং পজিশন ধরে রাখতে পারে, যখন পাউন্ডের মূল্য 1.2748 এর লেভেল অতিক্রম করেছিল। মার্কিন সামষ্টিক প্রতিবেদন প্রকাশের আগে, এই পেয়ারের মূল্য 1.2791-1.2798 এরিয়ায় পৌঁছেছিল, যেখানে ট্রেডাররা টেক প্রফিট সেট করতে পারে। এই ট্রেড থেকে ট্রেডাররা প্রায় 30 পিপস লাভ করে থাকতে পারে। এই পেয়ারের মূল্য 1.2791-1.2798 এরিয়া অতিক্রম করায় পরবর্তী বাই সিগন্যাল এক্সিকিউট করার সুযোগ এসেছিল, কারণ মার্কিন প্রতিবেদনের ফলাফল ডলারের উপর চাপ সৃষ্টি করে। যাইহোক, লাভ করার জন্য আরও এক বা দুই দিন এই ট্রেড ওপেন করে রাখা যেতে পারে।
সোমবারের ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:
প্রতি ঘণ্টার চার্টে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা তৈরির প্রতিশ্রুতিশীল লক্ষণ দেখা যাচ্ছে, কিন্তু এর মানে এই নয় যে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা তৈরির সম্ভাবনা বাতিল হয়ে গিয়েছে। এই পেয়ারের মূল্য আবার বেড়েছে, এবং সামগ্রিকভাবে, এটি অনিয়মিত এবং অযৌক্তিক মুভমেন্ট প্রদর্শন করে চলেছে। বর্তমানে, পাউন্ড স্টার্লিংয়ের মূল্য সর্বশেষ স্থানীয় সর্বোচ্চ লেভেলে ফিরে এসেছে এবং মৌলিক পটভূমিকে উপেক্ষা করে চলেছে।
সোমবার, গত সপ্তাহ জুড়ে ঊর্ধ্বমুখী চলমান থাকার পর পাউন্ড স্টার্লিংয়ের মূল্য বিপরীতমুখী হতে পারে। আমরা নতুন করে বিয়ারিশ কারেকশনের আশা করতে পারি, যা মূল্য 1.2798 লেভেলের নিচে স্থির হয়ে গেলে চিহ্নিত করা যেতে পারে।
5M চার্টের মূল লেভেলগুলো হল 1.2457, 1.2502, 1.2541-1.2547, 1.2605-1.2633, 1.2684-1.2693, 1.2748, 1.2791-1.2798, 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2980। সোমবার, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোনও গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। শুক্রবার দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়া সত্ত্বেও, GBP/USD-এর মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা ছিল মাত্র 60 পিপস। অতএব, সোমবার আমরা এই পেয়ারের মূল্যের দুর্বল মুভমেন্টের আশা করতে পারি।
ট্রেডিংয়ের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।
2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সিগন্যাল লাইন নিয়ে গঠিত। যখন মূল্য এগুলো অতিক্রম করে, সেটি মার্কেটে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।
ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।