বৃহস্পতিবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:
GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট
বৃহস্পতিবার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সাথে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং অব্যাহত ছিল। প্রায় প্রতিদিনই কোনো কারণ ছাড়াই পাউন্ড স্টার্লিংয়ের দর বাড়ছে, স্বাভাবিকভাবেই মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের ফলাফল থেকে পাউন্ড আরেকবার "ভাগ্যের উপহার" লাভ করেছে যা প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ধীর হয়ে গেছে। অন্য সব প্রতিবেদনের ফলাফল এই পেয়ারের উপর খুব বেশি প্রভাব বিস্তার করেনি। যাইহোক, ব্রিটিশ অর্থনীতি মে মাসে মার্কেটের ট্রেডারদের প্রত্যাশার চেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্ভবত এটি GBP/USD এর ক্রেতাদের অতিরিক্ত সহায়তা প্রদান করেছে, যদিও মার্কেটের ট্রেডাররা সাধারণত মাসিক জিডিপি প্রতিবেদনের ফলাফল প্রতি প্রতিক্রিয়া জানায় না।
সংক্ষেপে, এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সাথে ট্রেডিং করা হচ্ছে দেখাতে থাকে। এখন ট্রেডারদের কাছে একটি অ্যাসেন্ডীং ট্রেন্ড লাইন রয়েছে, কিন্তু মনে রাখবেন যে অতীতে, অ্যাসেন্ডীং ট্রেন্ড লাইনের ব্রেকের ফলে পাউন্ডের দরপতন ঘটেনি। পাউন্ডের মূল্য যে কোন কারণ ব্যবহার করে বাড়ছে এবং যাই ঘটুক না কেন এটির মূল্য বাড়ছে।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট
বৃহস্পতিবার 5 মিনিটের টাইমফ্রেমে, ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশনের সময় একটি কার্যকর বাই সিগন্যাল তৈরি হয়েছিল। এই পেয়ারের মূল্য 1.2848-1.2860 এর এরিয়া ব্রেক করেছে, যা ব্যবহার করে ট্রেডাররা লং পজিশন ওপেন করতে পারত। অবশেষে, পাউন্ডের মূল্য 1.2913 এর লেভেল অতিক্রম করেছে, কিন্তু দিনের শেষে, মূল্য এই লেভেলের নিচে নেমে গেছে। সেই মুহূর্তে, প্রায় 35 পিপস মুনাফার সাথে লং পজিশন ক্লোজ করা যেতে পারে। 1.2913 এর নিচে মূল্যের কনসলিডেশনের আকারে সেল সিগন্যালও কার্যকর করা যেতে পারে। আজ, সম্ভবত এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা অনেক কম থাকবে, এবং দীর্ঘদিন ধরে ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের বিয়ারিশ কারেকশনের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে।
শুক্রবারের ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:
প্রতি ঘণ্টার চার্টে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা তৈরির প্রতিশ্রুতিশীল লক্ষণ দেখা যাচ্ছে, কিন্তু এর মানে এই নয় যে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা তৈরি হবে না। এই পেয়ারের মূল্য আবার বেড়েছে, এবং সামগ্রিকভাবে, এই পেয়ারের মূল্যের অনিয়মিত এবং অযৌক্তিক মুভমেন্ট প্রদর্শন করে চলেছে।বর্তমানে, পাউন্ড স্টার্লিংয়ের মূল্য সর্বশেষ স্থানীয় সর্বোচ্চ লেভেল অতিক্রম করেছে এবং মৌলিক পটভূমিকে উপেক্ষা করে চলেছে। তবে এই বিষয়টিও কেউ অস্বীকার করতে পারবে না যে সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল পাউন্ডকে সমর্থন করছে।
শুক্রবার, নতুন করে পাউন্ড স্টার্লিংয়ের মূল্যের নিম্নগামী মুভমেন্ট চলমান থাকতে পারে এবং ধীরে ধীরে মূল্য 1.2848-1.2860 এর এরিয়ার দিকে নেমে যেতে পারে। আজকের জন্য কোন উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশনা নির্ধারিত নেই, কিন্তু মার্কেটের ট্রেডাররা কোন প্রতিবেদন ছাড়াই এই পেয়ার কেনার কারণ খুঁজে পেতে পারে।
5M চার্টের মূল লেভেলগুলো হল 1.2457, 1.2502, 1.2541-1.2547, 1.2605-1.2633, 1.2684-1.2693, 1.2748, 1.2791-1.2798, 1.2848-1.2860, 1.2913, এবং 1.2980। শুক্রবার, যুক্তরাজ্যের ইভেন্ট ক্যালেন্ডারে তেমন কিছু নাই, কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দুটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে যা এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টকেও প্রভাবিত করতে পারে, এই প্রতিবেদন দুটি হচ্ছে কনজিউমার সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স এবং প্রডিউসার প্রাইস ইনডেক্স বা উৎপাদক মূল্য সূচক। তবে মনে রাখবেন যে এগুলো খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন নয় এবং এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা কম থাকতে পারে।
ট্রেডিংয়ের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।
2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সিগন্যাল লাইন নিয়ে গঠিত। যখন মূল্য এগুলো অতিক্রম করে, সেটি মার্কেটে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।
ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।