শুক্রবার ডলারের দরপতন হচ্ছিল, কিন্তু মার্কিন সেশন শুরু হওয়ার পরে, এই পেয়ারের মূল্যের সামান্য রিবাউন্ড শুরু হয়। এটি মার্কিন উৎপাদক মূল্য সূচকের কারণে হয়েছে, যেটিতে দেখা গেছে যে মূল PPI বা উৎপাদক মূল্য সূচক 2.4% থেকে বেড়ে 2.6% এ পৌঁছেছে, যা 2.3% এ যাবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল। এই প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রাস্ফীতির বর্তমান মন্থরতা সাময়িক হতে পারে এবং যে কোনো মুহূর্তে তা আবার বৃদ্ধি পাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এটি অবশ্যই ফেডারেল রিজার্ভের আর্থিক নীতিমালা নমনীয় করার গতিপথকে পরিবর্তন করতে পারে।
আজ, মার্কেটের ট্রেডাররা প্রাথমিকভাবে ইউরোজোনের শিল্প উৎপাদন প্রতিবেদনের উপর দৃষ্টি দেবে, যেখানে এই সূচকের পতনের হার -3.0% থেকে -2.0% পর্যন্ত মন্থর হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এটি সম্ভাব্যভাবে ইউরোর মূল্যকে শুক্রবারের সর্বোচ্চ লেভেলের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
তবে, রাজনৈতিক কারণের প্রভাব এখন তীব্রভাবে বেড়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যার ব্যর্থ চেষ্টার পর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি পদের দৌড় অপ্রত্যাশিত মোড় নিয়েছে। রাজনৈতিক ঝুঁকির অনিয়ন্ত্রিত প্রকৃতির কারণে, বিনিয়োগকারীরা স্পষ্টতই যে কোনো উপায়ে সেগুলো প্রশমিত করার চেষ্টা করবে। এবং এটি করার একমাত্র উপায় হল ডলারের অ্যাসেট হ্রাস করা। অতএব, এখন থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক খবর প্রধান খবর হিসেবে বিবেচিত হবে।
গত সপ্তাহে EUR/USD পেয়ারের মূল্য 1.0900 লেভেলের উপরে থাকা অবস্থায় ট্রেডিং শেষ হয়েছিল, যা ট্রেডারদের বুলিশ সেন্টিমেন্ট প্রতিফলিত করে।
4-ঘণ্টার চার্টে, RSI প্রযুক্তিগত সূচক উপরের দিকে ঘোরাফেরা করছে, যা ইঙ্গিত করে যে ইউরোর মূল্য আরও বাড়তে পারে।
একই চার্টে, অ্যালিগেটরের এমএগুলো উপরের দিকে রয়েছে, যা এই পেয়ারের কোটের মুভমেন্ট প্রতিফলিত করে।
পূর্বাভাস
এই পেয়ারের মূল্য 1.0900 এর লেভেলের উপরে থাকলে লং পজিশনের ভলিউম বাড়তে পারে। এই পরিস্থিতিতে, ইউরোর মূল্য 1.1000 এর রেজিস্ট্যান্স লেভেলের দিকে যেতে পারে। বিকল্প পরিস্থিতি হিসাবে, স্বল্পমেয়াদে ওভারবট স্ট্যাটাসের সংকেতের উপর ভিত্তি করে, মূল্য 1.0900 এর রেজিস্ট্যান্স লেভেল থেকে বাঁধা পেয়ে মূল্যের স্থবিরতা বা পতন পরিলক্ষিত গতে পারে।
বিস্তারিত সূচক বিশ্লেষণ এই বিষয়টি উন্মোচন করেছে যে স্বল্পমেয়াদী এবং দৈনিক ভিত্তিতে, সূচকগুলো এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বগামী হওয়ার সংকেত প্রদান করছে।