মঙ্গলবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:
GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট
মঙ্গলবারও GBP/USD পেয়ারের দরপতন বজায় রাখার চেষ্টা করা হয়েছিল, যদিও এর জন্য কিছু স্থানীয় কারণ ছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে JOLTs থেকে প্রকাশিত দিনের একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশার থেকে শক্তিশালী হতে দেখা গেছে, কিন্তু এটি প্রকাশের পরই ডলারের দর বৃদ্ধি থেমে যায়। আমরা মনে করি যে প্রযুক্তিগত কারণ এবং ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের আসন্ন সুদের হার কমানোর প্রত্যাশার কারণে ব্রিটিশ পাউন্ডের দরপতন অব্যাহত রয়েছে। উপরন্তু, গত তিন মাসে অযৌক্তিকভাবে পাউন্ডের ব্যাপক দর বৃদ্ধি এতে ভূমিকা পালন করেছে।
দুর্ভাগ্যবশত, মার্কেটে এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা খুবই দুর্বল ছিল। আজ ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, তবে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এখন কোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের প্রত্যাশা করা হচ্ছে না৷ যাইহোক, ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের আগামীকালের সভার ফলাফল পাউন্ডের নতুন দরপতনের কারণ হতে পারে। মার্কেটের ট্রেডাররা যুক্তরাজ্যে সুদের হার কমানোর প্রত্যাশা করছে কিন্তু এর উপর সম্পূর্ণরূপে আস্থা রাখছে না। যদি ব্যাংক অভ ইংল্যান্ড সর্বোচ্চ স্তরে মূল সুদের হার বজায় রাখে, তাহলে এটি ব্রিটিশ মুদ্রার দর বৃদ্ধির ভিত্তি হয়ে উঠতে পারে।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট
5 মিনিটের টাইম ফ্রেমে একটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। ইউরোপীয় সেশন জুড়ে 1.2848-1.2860 রেঞ্জের মধ্যে এই পেয়ারের ট্রেড করা হয় এবং মূল্য এই রেঞ্জের নিচে স্থির হয়। 1.2791-1.2798 এর লক্ষ্যমাত্রায় আজ পাউন্ডের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে, যা দ্রুত হওয়ার সম্ভাবনা কম। পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বর্তমানে যে পরিমাণ অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে তাতে একটি ট্রেড দুই থেকে তিন দিনের জন্য ওপেন রাখার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
বুধবারে ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:
প্রতি ঘণ্টার চার্টে, GBP/USD পেয়ার অবশেষে নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু করার সুযোগ পেয়েছে। এই পেয়ারের অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন অতিক্রম করেছে, তাই আমরা এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির পরিবর্তে কমপক্ষে কয়েক সপ্তাহের জন্য মূল্য হ্রাস লক্ষ্য করতে পারি। আদর্শভাবে, পাউন্ডের মূল্য অন্তত 400-500 পিপস কমে যাওয়া উচিত। মার্কেটের ট্রেডাররা সমস্ত বুলিশ ফ্যাক্টরগুলো প্রায় তিনবার প্রক্রিয়া করেছে, ডলারের দরপতন হয়েছে, এবং ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড এই সপ্তাহের প্রথম দিকে সুদের হার কমানো শুরু করতে পারে। ব্রিটিশ মুদ্রার দর বৃদ্ধির চেয়ে দরপতনেরই বেশি কারণ রয়েছে।
বুধবার, নতুন ট্রেডাররা 1.2848-1.2860 রেঞ্জের মধ্যে ট্রেড করতে পারে। যদি এই রেঞ্জ থেকে মূল্যের বাউন্স হয়, ট্রেডাররা পূর্বে উল্লেখিত লক্ষ্যমাত্রায় শর্ট পজিশনে থাকতে পারে।
5M টাইমফ্রেমের মূল লেভেলগুলো হল 1.2605-1.2633, 1.2684-1.2693, 1.2748, 1.2791-1.2798, 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3102-1.3107, 1.3145। আজ, যুক্তরাজ্যে কোন উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। একই সময়ে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এডিপি থেকে নন-ফার্ম সেক্টরে কর্মীর সংখ্যার পরিবর্তন (নন-ফার্ম পেরোলের অনুরূপ) সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে যা গুরুত্বের দিক থেকে মাঝারি হিসেবে বিবেচনা করা যায়। সন্ধ্যায় ফেডের বৈঠক দিনের বেলায় এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টকে প্রভাবিত করবে না।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।
2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) আপনি এক ঘন্টার টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সিগন্যাল লাইন নিয়ে গঠিত। যখন মূল্য এগুলো অতিক্রম করে, সেটি মার্কেটে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।
ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।