বৃহস্পতিবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:
EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট
বৃহস্পতিবার EUR/USD পেয়ারের সামান্য দরপতন বজায় ছিল। প্রতি ঘণ্টার চার্টে একটি ডিসেন্ডিং চ্যানেল তৈরি হয়েছে, যা এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টের দিক নির্দেশ করছে (যা ইতোমধ্যেই স্পষ্ট) না বরং নিম্নমুখী প্রবণতার স্থায়িত্বের ইঙ্গিত দিচ্ছে। এই সপ্তাহে, সেপ্টেম্বরে ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার কমার বিষয়ে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। সুদের হার কমার সম্ভাবনা 100% নয়, তবে ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল তার বক্তৃতায় ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণের ইঙ্গিত দিয়েছেন। তা সত্ত্বেও, মার্কিন ডলারের দাম ক্রমান্বয়ে এবং স্থিরভাবে বাড়ছে। অতএব, আমরা এই উপসংহারে পৌঁছেছি যে এখন 24-ঘণ্টার টাইম ফ্রেমে হরিজন্টাল চ্যানেলের উপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করতে হবে, যা 1.0600-1.0650 রেঞ্জের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের ইঙ্গিত দেয়। প্রাথমিকভাবে, মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমি থাকা সত্ত্বেও কয়েক সপ্তাহ ধরে ইউরোর মূল্য বেড়েছে; এখন, ডলারের মূল্যও অনুরূপ মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে।
এটিও লক্ষণীয় যে গতকাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আইএসএম থেকে ম্যানুফ্যাকচারিং ইনডেক্স বা উৎপাদন সূচক প্রকাশিত হয়েছিল। এই সূচকের ফলাফল পূর্বাভাসের তুলনায় অনেক দুর্বল ছিল, যা মার্কেটে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী মুভমেন্ট লাইনচ্যুত করেনি। আবারও, আমরা তুলে ধরতে চাই যে মার্কেটের ট্রেডারদের সেন্টিমেন্ট হচ্ছে মূল বিষয়, এবং যেকোন প্রতিবেদনের ফলাফল বিভিন্ন উপায়ে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে বা কারেকশনের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট
বৃহস্পতিবার 5 মিনিটের টাইম ফ্রেমে তিনটি ট্রেডিং সিগন্যাল তৈরি করা হয়েছিল। ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশনের শুরুতে, মূল্য 1.0838 লেভেল থেকে বাউন্স করেছে, প্রায় 50 পিপস কমে যায় এবং 1.0797-1.0804 রেঞ্জের নিচে এই পেয়ারের মূল্য স্থিতিশীল হয়। তবে এই মুভমেন্ট সেখানেই শেষ হয়ে যায়। মার্কিন সেশন চলাকালীন সময়ে, একই আইএসএম সূচকের কারণে ডলার চাপের মধ্যে ছিল, এই বিষয়টি শর্ট পজিশন ধরে রাখাকে অপ্রাসঙ্গিক করে তোলে। ISM থেকে উৎপাদন সূচক প্রকাশের আগে বা পরে 1.0797-1.0804 এরিয়ার নিচে শর্ট পজিশন ক্লোজ করা উচিত ছিল।
শুক্রবারে ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:
প্রতি ঘণ্টায়, EUR/USD পেয়ারের দরপতন বজায় রয়েছে। আমরা মনে করি যে ইউরোর ট্রেডাররা এই পেয়ারের মূল্যের বুলিশ প্রবণতা সৃষ্টি করতে পারে এমন সবগুলো কারণগুলো সম্পূর্ণভাবে কাজে লাগিয়েছে, তাই এখন এই পেয়ারের মূল্যের উল্লেখযোগ্য কারেকশন প্রয়োজন। যাইহোক, 24-ঘন্টার টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট সবচেয়ে ভাল দেখা যাচ্ছে। সাধারণভাবে, এই পেয়ারের মূল্য 1.0600 এবং 1.1000 এর রেঞ্জের মধ্যে রয়েছে। এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা কম রয়েছে, এবং মার্কেটের ট্রেডাররা সামষ্টিক প্রতিবেদন এবং ইভেন্টগুলোর প্রতি প্রতিক্রিয়া দেখানো বন্ধ করে দিয়েছে, বা সেগুলো তাদের নিজস্ব উপায়ে ব্যাখ্যা করছে।
শুক্রবার, নতুন ট্রেডাররা 1.0797-1.0804 এরিয়ার কাছাকাছি ট্রেড করার কথা বিবেচনা করতে পারে। যাইহোক, এটি লক্ষ্য করা গুরুত্বপূর্ণ যে আজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উল্লেখযোগ্য সামষ্টিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্ররোচনা দিতে পারে।
5M টাইমফ্রেমে বিবেচনা করার মূল লেভেলগুলো হল 1.0526, 1.0568, 1.0611, 1.0678, 1.0726-1.0733, 1.0797-1.0804, 1.0838-1.0856, 1.0888-1.0896, 1.0940, এবং 1.0971-1.0981। শুক্রবার ইউরোজোনে কোন গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার কথা নেই, তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গুরুত্বপূর্ণ নন-ফার্ম পে-রোল এবং বেকারত্বের হার সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। দিনের দ্বিতীয়ার্ধে এই পেয়ারের মূল্যের উল্লেখযোগ্য মুভমেন্টের প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।