সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:
GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট
সোমবার, GBP/USD পেয়ারের দরপতন বজায় রাখার চেষ্টা করা হয়েছে, যা উপরের চার্ট থেকে স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে। গত সাত মাসে, ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধির দিকে ঝুঁকেছে। কোন কারণ বা ভিত্তি না থাকলেও এই পেয়ার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ট্রেডিং করতে সক্ষম হয়েছিল। যাইহোক, উদাহরণস্বরূপ, গতকাল যখন ইউরোর মূল্য বাড়ছিল তখন ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য ডিসেন্ডিং চ্যানেলের মধ্যেই ছিল। যদি আমেরিকায় অর্থনৈতিক মন্দার হুমকি এবং ফেডারেল রিজার্ভের সম্ভাব্য জরুরি ভিত্তিতে সুদের হার কমানোর হুমকির কারণে মার্কিন ডলার বিক্রির নতুন তরঙ্গ দেখা যায়ে, তাহলে ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য কেন বাড়ল না?
আবার, আমরা বর্তমানে এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টের যৌক্তিকতা এবং প্যাটার্নে ফিরে আসি। আমরা দেখতে পাচ্ছি, এখানে গুরুত্বপূর্ণ কিছুই জানার নেই। টেকনিক্যাল পরিস্থিতি অনুযায়ী, এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে, যা আরও দরপতনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। হয়ত পাউন্ডের মূল্যের সকল বুলিশ ফ্যাক্টর নিঃশেষ হয়ে গিয়েছে, তাই এমনকি ফেডের দ্বারা অপরিকল্পিতভাবে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনাও পাউন্ডকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করতে পারেনি। যাই হোক না কেন, ডিসেন্ডিং চ্যানেলের উপরে এই পেয়ারের মূল্যের কনসলিডেশন হওয়ার আগে এই পেয়ার কেনা উচিত হবে না।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট
সোমবার 5 মিনিটের টাইমফ্রেমে বেশ কয়েকটি সিগন্যাল গঠিত হয়। সবগুলোই নিখুঁত ছিল না, কিন্তু টানা তৃতীয় দিনের মতো এই পেয়ারের মূল্যের কার্যকর মাত্রার অস্থিরতা পরিলক্ষিত হয়েছে, তাই মার্কেটের ট্রেডাররা সিগন্যাল পর্যবেক্ষণ না করেই এই পেয়ারের ট্রেড করে থাকতে পারে। নতুন ট্রেডাররা 1.2791-1.2798 এর কাছাকাছি প্রথম সেল সিগন্যাল থেকে আয় করতে পারে। ট্রেডাররা তৃতীয় বাই সিগন্যাল থেকেও লাভ করতে পারে, কারণ মূল্য লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছেছিল। পরবর্তীকালে, 1.2791-1.2798 এরিয়ার কাছাকাছি গঠিত সেল সিগন্যাল সম্পূর্ণরূপে সঠিক ছিল না, তবে তারপরও এই পেয়ারের মূল্য নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছেছে। মার্কিন সেশনের সময়, মূল্য 1.2748 এবং 1.2791 লেভেলের মধ্যে ফ্ল্যাট ছিল, কিন্তু এর থেকেও কিছু পিপস লাভে ট্রেড করা সম্ভব ছিল, কারণ সেখান থেকে মূল্যের বাউন্সগুলো নিখুঁত ছিল।
মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:
প্রতি ঘণ্টার চার্টে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকার ভালো সুযোগ রয়েছে। ব্রিটিশ পাউন্ড এখনও অতিরিক্ত কেনা হয়েছে, ডলারের দরপতন হয়েছে, এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ড সুদের হার কমাতে শুরু করেছে—ব্রিটিশ মুদ্রার দরপতন অব্যাহত থাকার জন্য আর কী দরকার? মার্কিন সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল আবারও ডলারের জন্য আদর্শ পরিস্থিতি ভেস্তে দিয়েছে। যাইহোক, একই সময়ে, প্রতিদিন মার্কিন প্রতিবেদনগুলো হতাশাজনক ফলাফল প্রকাশিত হবে না এবং যুক্তরাজ্যেও সর্বদা সামষ্টিক ফলাফলের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হবে না। বর্তমানে, ডলারের জন্য প্রধান ঝুঁকি হল ফেড কর্তৃক সম্ভাব্য জরুরিভিত্তিতে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা। তবে আপাতত এগুলো শুধুই গুজব হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
মঙ্গলবার, নতুন ট্রেডাররা 1.2791-1.2798 পর্যন্ত ট্রেড করতে পারেন। রাতের বেলা, এখান থেকে মূল্য বাউন্স হয়েছে, ফলে 1.2748 এর লক্ষ্যমাত্রায় নতুন শর্ট পজিশন থেকে মুনাফা করা সম্ভব বলে মনে। আজকে এই পেয়ারের মূল্যের কার্যকর মাত্রার অস্থিরতা পরিলক্ষিত হতে পারে।
5M টাইমফ্রেমের মূল লেভেলগুলো হল 1.2605-1.2633, 1.2684-1.2693, 1.2748, 1.2791-1.2798, 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3102-1.3107, 1.3145। মঙ্গলবার যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোনও উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, তবে নতুন ট্রেডারদের অবশ্যই মার্কেটের আতংকজনক পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। এর মানে হল যে আমরা আবার সারা দিন ধরে এই পেয়ারের মূল্যের বিশৃঙ্খল এবং শক্তিশালী মুভমেন্ট পর্যবেক্ষণ করতে পারি।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।