মঙ্গলবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:
GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট
মঙ্গলবার, GBP/USD পেয়ারের আবার লক্ষণীয় দরপতন পরিলক্ষিত হয়েছে। গতকাল এই ধরনের মুভমেন্টের জন্য কোন সামষ্টিক অর্থনৈতিক বা মৌলিক কারণ ছিল না, কিন্তু সামগ্রিকভাবে, আমরা এখনও পাউন্ড দরপতনের আশা করছি। যাইহোক, সম্প্রতি ইউরো এবং পাউন্ড ভিন্নভাবে ট্রেড করছে। ইউরোর দর বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা গেলেও পাউন্ডের মূল্য কমছে। কেন এমনটি ঘটছে, বিশেষত যদি মার্কেটের ট্রেডাররা ফেডারেল রিজার্ভের কাছ থেকে জরুরী হস্তক্ষেপ বা সেপ্টেম্বরে সুদের হার 0.5% হ্রাসের আশা করে?
বর্তমানে ব্রিটিশ পাউন্ডের দরপতন হচ্ছে কারণ বিশ্বব্যাপী এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। গত 9-10 মাসে, পাউন্ডের মূল্য প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি বেড়েছে, এদিকে ব্রিটিশ অর্থনীতির অবস্থাও মার্কিন অর্থনীতির চেয়ে ভাল নয়। মার্কেটের ট্রেডাররা ফেডের আর্থিক নীতিমালার নমনীয়করণের কার্যক্রম ত্বরান্বিত হবে বলে আশা করছে, এবং তবুও এটা মনে রাখতে হবে যে ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডই সুদের হার কমিয়েছে। অবশ্যই, এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী কারেকশনও দেখা যাবে, তবে এর মধ্যে প্রথম কারেকশন চিহ্নিত করার জন্য কমপক্ষে ডিসেন্ডিং চ্যানেলের উপরে এই পেয়ারের মূল্যের কনসলিডেশন হওয়া প্রয়োজন।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট
মঙ্গলবার 5 মিনিটের টাইমফ্রেমে বেশ কিছু কার্যকর সিগন্যাল গঠিত হয়েছে। এই সিগন্যালগুলো গঠিত হয়েছিল কারণ টানা চতুর্থ দিনের মতো ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের 100 পিপসের অস্থিরতা পরিলক্ষিত হয়েছে। যেহেতু মার্কেটে মুভমেন্ট আছে, তাই শক্তিশালী এবং পর্যাপ্ত সিগন্যাল গঠিত হয়। 1.2791-1.2801 এর এরিয়া থেকে মূল্যের একটি আদর্শ রিবাউন্ড হয়েছিল, যা কাজে লাগিয়ে ইউরোপীয় সেশনের শুরুতে ট্রেড করা যেতে পারে। পরে, মূল্য 1.2684-1.2693-এ নেমে আসে, যেখানে ট্রেডারদের শর্ট পজিশনে লাভ নেওয়া উচিত ছিল। নির্দিষ্ট এরিয়া থেকে এই পেয়ারের মূল্যের রিবাউন্ড দৃঢ়ভাবে দর বৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করেনি, তবে এটি আজ হতে পারে, কারণ বেশ কয়েকটি রিবাউন্ড হয়েছে।
বুধবারের ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:
প্রতি ঘণ্টার চার্টে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকার ভালো সুযোগ রয়েছে। ব্রিটিশ পাউন্ড এখনও অতিরিক্ত কেনা হয়েছে, ডলারের দরপতন হয়েছে, এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ড সুদের হার কমাতে শুরু করেছে—ব্রিটিশ মুদ্রার দরপতন অব্যাহত থাকার জন্য আর কী দরকার?? মার্কিন সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল আবারও ডলারের জন্য আদর্শ পরিস্থিতি ভেস্তে দিয়েছে। যাইহোক, একই সময়ে, প্রতিদিন মার্কিন প্রতিবেদনগুলো হতাশাজনক ফলাফল প্রকাশিত হবে না এবং যুক্তরাজ্যেও সর্বদা সামষ্টিক ফলাফলের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হবে না। বর্তমানে, ডলারের জন্য প্রধান ঝুঁকি হল ফেড কর্তৃক সম্ভাব্য জরুরিভিত্তিতে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা। তবে আপাতত এগুলো শুধুই গুজব হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
বুধবার, নতুন ট্রেডাররা 1.2684-1.2693 এবং 1.2748 এরিয়া থেকে ট্রেড করতে পারে। এই পেয়ারের মূল্য গতকাল এবং আজ বেশ কয়েকবার এই এরিয়া থেকে রিবাউন্ড করেছে, তাই সম্ভবত আজ পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধি পাবে।
5M টাইমফ্রেমে বিবেচনা করার মূল লেভেলগুলো হল 1.2547, 1.2605-1.2633, 1.2684-1.2693, 1.2748, 1.2791-1.2798, 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3102-1.3107, 1.3145। যুক্তরাজ্যে বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বুধবার কোনো উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, তাই এই পেয়ারের মূল্যের উর্ধ্বমুখী কারেকশনে বাধা সৃষ্টি করতে পারে এমন কোন কারণ নেই।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।