বুধবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:
EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট
অবশেষে বুধবার EUR/USD পেয়ারের মূল্য স্থির অবস্থান গ্রহণ করেছে এবং বাজার পরিস্থিতি "স্থিতিশীল" রয়েছে। এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা আগের মতো নিম্ন স্তরে ফিরে এসেছে। হ্যাঁ, আমরা গত সপ্তাহের শেষে এবং এই সপ্তাহের শুরুতে মার্কেটে এই পেয়ারের মূল্যের ব্যাপক অস্থিরতা দেখতে পেয়েছি, কিন্তু এরপর কী ঘটেছে? এই পেয়ার কি আবার প্রতিদিন 30-40 পিপসের মুভমেন্টের সাথে ট্রেড করবে? যদি এর উত্তর হ্যাঁ হয়, তবে এটি ট্রেডারদের জন্য খারাপ খবর।
গতকাল, জার্মানির শিল্প উৎপাদনের প্রতিবেদনকে একমাত্র উল্লেখযোগ্য সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন হিসেবে বিবেচনা করা যায়। জুনে এই সূচকটির ফলাফল পূর্বাভাসের চেয়ে কিছুটা বেশি ছিল, কিন্তু ট্রেডারদের কাছে এই সূচকের গুরুত্ব কম থাকায় এই ফলাফল এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টে কার্যত কোন প্রভাব ফেলেনি। অন্য কোন প্রতিবেদন বা ইভেন্ট ছিল না। ফলে, আমরা ইউরোর মূল্যের তীক্ষ্ণ বৃদ্ধি দেখেছি, তারপরে একটি কারেকশন দেখতে পেয়েছি। নতুন করে ইউরোর মূল্যের উত্থানের কোন ভিত্তি নেই। ইউরোর মূল্য হরিজন্টাল চ্যানেল 1.0600-1.1000 এর উপরের লাইন থেকে রিবাউন্ড করেছে, তাই এই পেয়ারের মূল্যের নিম্ন সীমানার দিকে যাওয়া যৌক্তিক হবে।
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট
বুধবার 5 মিনিটের টাইম ফ্রেমে কোনও ট্রেডিং সিগন্যাল তৈরি হয়নি। ভালো দিন শেষ হয়ে গেছে। এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা শূন্যে ফিরে এসেছে, এবং প্রতিদিন একটি সিগন্যালের গঠনই এখন ভাগ্য়ের বিষয় বলে বিবেচিত হয়। আমরা এই ধরনের সিগন্যালের কার্যকারিতা সম্পর্কেও কথা বলতে চাই না কারণ এটি স্পষ্ট যে যদি মার্কেটে কোন মুভমেন্ট না হয় তবে কোন সিগন্যাল ভাল লাভ আনতে পারবে না।
বৃহস্পতিবারে ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:
EUR/USD পেয়ারের মূল্য তীব্রভাবে বেড়েছে এবং এক ঘন্টার টাইমফ্রেমে স্বল্প-মেয়াদে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতার সমাপ্তি ঘটেছে। আমরা মনে করি যে ইউরোর ট্রেডাররা এই পেয়ারের মূল্যের বুলিশ প্রবণতা সৃষ্টি করতে পারে এমন সব কারণগুলো সম্পূর্ণভাবে কাজে লাগিয়েছে, তাই আমরা এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকার আশা করছি না। 24-ঘন্টার টাইমফ্রেমে 1.06 এবং 1.10-এর মধ্যে একটি ফ্ল্যাট রেঞ্জ দেখা যাচ্ছে। এখনও এই পেয়ারের মূল্যের এই রেঞ্জ ছাড়ার কোন কারণ দেখা যাচ্ছে না।। আগের মতই, আমরা শুধুমাত্র ইউরোর দরপতনের আশা করছি, কিন্তু মার্কেটের ট্রেডাররা আবার তাদের কার্যক্রমের মাধ্যমে এটি প্রমাণ করছে যে তারা ডলার বিক্রি করার যেকোন সুযোগ গ্রহণ করতে প্রস্তুত।
বৃহস্পতিবার, নতুন ট্রেডাররা 1.0940 থেকে ট্রেড করতে পারেন। যাইহোক, এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা ইতোমধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে এবং বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই।
5M টাইমফ্রেমে বিবেচনা করার মতো মূল লেভেলগুলো হল 1.0526, 1.0568, 1.0611, 1.0678, 1.0726-1.0733, 1.0797-1.0804, 1.0838-1.0856, 1.0888-1.0896, 1.0940, 1.0971, 1.1011, 1.1043, 1.1091। বৃহস্পতিবারে প্রকাশিতব্য একমাত্র প্রতিবেদন হল মার্কিন জবলেস ক্লেইমস সংক্রান্ত প্রতিবেদন যেটিকে গুরুত্বের দিক থেকে গৌণ হিসেবে বিবেচনা করা যায়। আমরা মার্কিন ডলারের পুনরুদ্ধারের জন্য অপেক্ষা করছি।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।