সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:
বুধবার অল্প কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক ইভেন্ট রয়েছে, তবে সেগুলোর সবগুলোই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নতুন ট্রেডারদের যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদনের উপর দৃষ্টি দেয়া উচিত। মার্কেটে ডলার বিক্রি করার প্রবণতার পরিপ্রেক্ষিতে, মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি পূর্বাভাসের চেয়ে বেশি হ্রাস পেলে নতুন করে ডলারের দরপতন ঘটতে পারে। বিপরীতভাবে, যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতি প্রত্যাশার চেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেলে পাউন্ডের মূল্য বাড়তে পারে, কারণ তাহলে ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের দ্বিতীয়বারের মতো সুদের হার কমাতে বিলম্ব করবে।
এই প্রতিবেদনগুলো ছাড়াও, ইউরোজোনে দ্বিতীয় প্রান্তিকের জিডিপির দ্বিতীয় অনুমান এবং শিল্প উৎপাদন সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। তবে আজ ট্রেডারদের দৃষ্টি মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদনের দিকে থাকবে।
মৌলিক ইভেন্টের বিশ্লেষণ:
বুধবারের মৌলিক ইভেন্টের মধ্যে উল্লেখযোগ্য তেমন কিছু নেই এবং আজ এটির প্রয়োজনও নেই। ইউরোজোন, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা ট্রেডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য যথেষ্ট।
উপসংহার:
এ সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট সম্পূর্ণরূপে যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের উপর নির্ভর করবে। ব্রিটেনে মুদ্রাস্ফীতি যত বেশি বৃদ্ধি পাবে, নতুন করে পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ার সুযোগ তত বেশি থাকবে, কারণ ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড সম্ভবত পরবর্তী বৈঠকে সুদের হার হ্রাসে বিরতি গ্রহণ করবে। মার্কিন মুদ্রাস্ফীতির যত বেশি পতন হবে, নতুন করে ডলারের দরপতনের সম্ভাবনা তত বেশি থাকবে, কারণ তাহলে সেপ্টেম্বরে ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা আরও বাড়বে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।