বুধবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:
EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট
বুধবার EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত রয়েছে। প্রাথমিকভাবে, অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে FOMC-এর মিনিট বা কার্যবিবরণী ছাড়া কোনো উল্লেখযোগ্য সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের কথা ছিল না। যাইহোক, সকালে বার্ষিক ভিত্তিতে সমন্বয়কৃত নন-ফার্ম পেরোলের নতুন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এই সূচকে দেখা গেছে যে মার্চ থেকে শুরু করে গত 12 মাসে সৃষ্ট কর্মসংস্থানের সংখ্যা পরিবর্তিত হয়েছে। অন্য কথায়, 2023 সালের মার্চ থেকে 2024 সালের মার্চ পর্যন্ত নন-ফার্ম পে-রোল প্রতিবেদনের ফলাফল পরিবর্তিত হয়েছে। প্রতিবেদনটির ফলাফল পূর্বাভাসের চেয়ে নিম্নমুখী ছিল, এবং মার্কেটের ট্রেডাররা আবারও আগ্রহের সাথে মার্কিন ডলার বিক্রি করা শুরু করেছে, যা প্রতিদিন প্রায় কোন বিরতি ছাড়াই চলমান রয়েছে।
প্রযুক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে, প্রতি ঘন্টার টাইমফ্রেমে স্পষ্টভাবে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পরিলক্ষিত হচ্ছে এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক বা মৌলিক পটভূমির উপর কোন নতুন অন্তর্দৃষ্টি পাওয়া যায়নি। যেকোন আনুষ্ঠানিক কারণ বা এমনকি কোন কারণ ছাড়াই ইউরোর দর বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পাওয়েলের ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণের প্রত্যাশায় ডলারের মূল্য 120 পিপস কমে গেছে। সেপ্টেম্বরে ফেডের সুদের হার কমানোর ব্যাপারে ট্রেডারদের প্রত্যাশার কারণে ডলারের দর মোট 350 পিপস কমেছে।
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট
বুধবার 5 মিনিটের টাইমফ্রেমে 1.1132 লেভেলের আশেপাশে তিনটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে, মূল্য এই লেভেল থেকে দুবার বাউন্স করেছিল, কিন্তু সিগন্যালগুলো একে অপরের অনুরূপ ছিল, তাই ট্রেডাররা শুধুমাত্র একটি শর্ট পজিশন ওপেন করে থাকতে পারে। এমনকি ডলারের মূল্যের 1.1091 এর লেভেল টেস্ট করার বাস্তব সুযোগ ছিল, কিন্তু মার্কিন শ্রম বাজারের নতুন প্রতিবেদন নতুন করে এই পেয়ারের মূল্যের উত্থান ঘটায়। 1.1132 লেভেলের উপরে একটি কনসলিডেশনের ক্ষেত্রেও এই পেয়ারের ট্রেড করা যেতে পারে, FOMC-এর মিনিট বা কার্যবিবরণী প্রকাশের আগে এই পেয়ারের মূল্য কয়েক ডজন পিপস বেড়ে যায়।
বৃহস্পতিবারের ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:
EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নতুন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা গঠিত হচ্ছে যা প্রতি ঘণ্টার চার্টে একটি ট্রেন্ড লাইন দ্বারা সমর্থিত। আমরা মনে করি যে ইউরোর ট্রেডাররা এই পেয়ারের মূল্যের বুলিশ প্রবণতা সৃষ্টি করতে পারে এমন সব কারণগুলো সম্পূর্ণভাবে কাজে লাগিয়েছে, তাই আমরা এই পেয়ারের মূল্যের আরও ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের আশা করছি না। যাইহোক, ট্রেডাররা আবার এই ধরনের প্রবণতা প্রদর্শন করছে যে তারা প্রায় যেকোনো প্রতিবেদনে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আতংকিত হয়ে ডলার বিক্রি করতে প্রস্তুত রয়েছে। আর কোনো ইভেন্ট না থাকলে মার্কেটে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ডলার বিক্রি করাই হয়ে থাকে। অতএব, প্রত্যাশা বাদ দিয়ে, আমাদের অবশ্যই বর্তমান প্রযুক্তিগত চিত্রের প্রতি মনোযোগ দিতে হবে। ট্রেন্ডলাইনের নিচে মূল্যের কনসলিডেশন হওয়ার পরে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।
বৃহস্পতিবার, নতুন ট্রেডাররা দরপতনের আশা করতে পারে কারণ এই পেয়ারের মূল্য অনির্দিষ্টকাল ধরে বাড়বে না। তবে এর জন্য, কমপক্ষে কিছু সেল সিগন্যাল থাকতে হবে।
5M টাইম ফ্রেমের মূল লেভেলগুলো হল 1.0726-1.0733, 1.0797-1.0804, 1.0838-1.0856, 1.0888-1.0896, 1.0940, 1.0971, 1.1011, 1.1048, 1.1091, 1.1132, 1.1184, 1.1275-1.1292.। বৃহস্পতিবার, ইউরোজোন, জার্মানি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পরিষেবা এবং উৎপাদন খাতের ব্যবসায়িক কার্যক্রম সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত হয়েছে৷ মার্কেটে শক্তিশালী বুলিশ প্রবণতার পরিপ্রেক্ষিতে, এই প্রতিবেদনগুলোর উল্লেখযোগ্য প্রভাব সৃষ্টি করার সম্ভাবনা বেশ কম।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।