বৃহস্পতিবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:
EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট
বৃহস্পতিবার EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী মুভমেন্ট বজায় ছিল এবং অবশেষে এই পেয়ারের মূল্য ট্রেন্ড লাইনের নিচে কনসলিডেট হয়। এই সপ্তাহে এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট বেশ উৎসাহব্যঞ্জক ছিল। অবশেষে ইউরোর দরপতন শুরু হয়েছে, এবং অবশেষে ট্রেডাররা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফলের দিকে মনোযোগ দিতে শুরু করেছে। তারাও হঠাৎ বুঝতে পেরেছে যে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক সেপ্টেম্বরে দ্বিতীয়বারের মতো সুদের হার কমাতে পারে। গতকাল প্রকাশিত জার্মানির মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনে দেখা গেছে দেশটির মুদ্রাস্ফীতি ইতোমধ্যেই 1.9%-এ নেমে এসেছে এবং আজ প্রকাশিতব্য ইউরোপীয় মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনেও উল্লেখযোগ্য হ্রাস দেখা যেতে পারে৷ মুদ্রাস্ফীতি কমে গেলে ইসিবি-এর কাছে সেপ্টেম্বরে সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার জন্য কোন কারণ থাকবে। এমনকি ইউরোজোনে সম্ভাব্যভাবে সুদের হার না কমলেও, ডলারের দাম বেড়ে যাওয়া উচিত এবং ইউরোর দরপতন হওয়া উচিত। ইউরো খুব বেশি কেনা হয়েছে, যখন ডলারের দরপতন হচ্ছে। যদি ট্রেডাররা 2024 জুড়ে ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার কমানোর ভিত্তিতে মূল্য নির্ধারণ করে থাকে, যা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি, ডলারের ক্ষেত্রে ইতোমধ্যে এই বিষয়টি প্রভাব বিস্তার করেছে। আমরা এখনও ইউরোর আরও দর বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিতে পারছি না।
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট
বৃহস্পতিবার 5 মিনিটের টাইমফ্রেমে বেশ কয়েকটি ট্রেডিং সিগন্যাল তৈরি হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে, এই পেয়ারের মূল্য 1.1132 লেভেলের নিচে স্থির হয়েছিল এবং 1.1091 লেভেলের নিচে নেমে গিয়েছিল। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দিনের বাকি সময় এই পেয়ারের মূল্য এই লেভেলের নিচে ছিল, তাই শুধুমাত্র শর্ট পজিশনটি সন্ধ্যা পর্যন্ত হোল্ড করে রাখা যেতে পারে এবং ম্যানুয়ালি ক্লোজ করা যেতে পারে। এই পেয়ার 3-ঘন্টা ধরে 1.1091 লেভেলের কাছাকাছি ট্রেড করছিল, কিন্তু এর উপরে কনসলিডেশন বা আত্মবিশ্বাসী বৃদ্ধি দেখা যায়নি।
শুক্রবারে কীভাবে ট্রেড করবেন:
প্রতি ঘণ্টার চার্টে, EUR/USD পেয়ারের মূল্য অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ড লাইনের নিচে স্থির হয়েছে এবং দীর্ঘ সময়ের মধ্যে প্রথমবারের মতো নিম্নমুখী প্রবণতা সৃষ্টি সুযোগ রয়েছে যা সমস্ত কারণ ও বিশ্লেষণের সাথে যৌক্তিক ও সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে। দুর্ভাগ্যবশত, নিম্নগামী কারেকশনের পর অযৌক্তিকভাবে পুনরায় মার্কেটে ডলারের বিক্রয় শুরু হতে পারে, কারণ কেউ জানে না যে মার্কেটে কতক্ষণ ফেডের মুদ্রানীতি নমনীয়করণের ভিত্তিতে এই পেয়ারের মূল্য নির্ধারণ অব্যাহত রাখবে, যদিও সুদের হার কমানো এখনও শুরু হয়নি। যাইহোক, এটি সত্য যে মার্কেটে প্রায় সবসময় ফেডের ভবিষ্যত সুদের হার হ্রাসের ভিত্তিতে ডলারের দরপতন অব্যাহত থাকে।
শুক্রবার, নতুন ট্রেডাররা আবার এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারে, কারণ মূল্য 1.1091 লেভেলের নিচে স্থির হয়েছে। এই পেয়ার ক্রয় করা উচিত হবে কিনা সে ব্যাপারে আমরা সন্দিহান।
5M টাইম ফ্রেমের মূল লেভেলগুলো হল 1.0726-1.0733, 1.0797-1.0804, 1.0838-1.0856, 1.0888-1.0896, 1.0940, 1.0971, 1.1011, 1.1048, 1.1091, 1.1132, 1.1184, 1.1275-1.1292। শুক্রবার, ইউরোজোনে মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে, জার্মানিতে বেকারত্বের হার এবং খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে এবং মার্কিন পারসোনাল কনজাম্পশন এক্সপেন্ডিচার প্রাইস ইনডেক্স এবং কনজিউমার সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। এই প্রতিবেদনগুলোর প্রভাবে মার্কেটে কিছুটা প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।