সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:
আবারও, মঙ্গলবারে খুব কমই সামষ্টিক অর্থনৈতিক ইভেন্ট নির্ধারিত রয়েছে। একমাত্র উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইএসএম ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যাক্টিভিটি সূচক, যা দিনের দ্বিতীয়ার্ধে প্রকাশিত হবে। এই প্রতিবেদনটি গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয় এবং এই সূচক বেশ কিছুদিন ধরে 50.0 এর "গুরুত্বপূর্ণ" স্তরের নিচে ছিল। এই সূচকের ফলাফল বৃদ্ধি পেয়ে পূর্বাভাস ছাড়িয়ে গেলে সেটি মার্কিন ডলারকে শক্তিশালী করতে পারে।
মৌলিক ইভেন্টের বিশ্লেষণ:
মঙ্গলবারের মৌলিক ইভেন্টের মধ্যে, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রা কমিটির সদস্য বুখ এবং জোচনিকের বক্তৃতার কথা উল্লেখ করা যায়। যাইহোক, তাদের আরও বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ সহকর্মী ইতোমধ্যে সেপ্টেম্বরে সুদের হার কমানোর প্রতি তাদের সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। আমরা মনে করি ইসিবি পরবর্তী বৈঠকে দ্বিতীয়বারের মতো আর্থিক নীতিমালা নমনীয় করবে। যদি বুচ এবং জোচনিকের বক্তব্যে এই বিষয়টি নিশ্চিত হয় তবে ইউরোর মূল্য আরও কমতে পারে। এছাড়াও, বুন্দেসব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্ট জোয়াকিম নাগেল বক্তৃতা দেবেন, এবং তিনিও দ্বিতীয়বারের মতো মূল সুদের হার কমানোর প্রস্তুতির বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেন।
উপসংহার:
মঙ্গলবার, উভয় কারেন্সি পেয়ারের দরপতন হতে পারে, তবে এটি শুধুমাত্র ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার বিপরীতে কারেকশনের অংশ হিসেবে ঘটতে পারে। ইউরোর মূল্য অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইনের মধ্য দিয়ে ব্রেক করে গেছে, তাই পাউন্ডের তুলনায় ইউরোর মূল্য নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, পাউন্ডের মূল্য এখনও ট্রেন্ডলাইনের উপরে রয়েছে। ব্রিটিশ পাউন্ড এখনও ইউরোর তুলনায় অনেক কম দরপতনের শিকার হচ্ছে। মঙ্গলবার উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের তুলনামূলকভাবে স্বল্প মাত্রার অস্থিরতা দেখা যেতে পারে, কারণ খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক ইভেন্ট নেই, কিন্তু দিনের দ্বিতীয়ার্ধে গুরুত্বপূর্ণ ISM সূচক প্রকাশিত হবে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।