সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:
আবারও, বুধবারে অল্প কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক ইভেন্ট রয়েছে। যুক্তরাজ্য, জার্মানি এবং ইইউ-তে আগস্টের পরিষেবা খাতের কার্যকলাপ সংক্রান্ত সূচকের দ্বিতীয় অনুমান প্রকাশ করা হবে, তবে দ্বিতীয় অনুমানের ফলাফল প্রথম অনুমানের তুলনায় থেকে খুব কমই ভিন্ন হয়ে থাকে। অতএব, এই সূচকসমূহের ফলাফলের প্রভাবে মার্কেটে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি সম্ভাবনা নেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তুলনামূলকভাবে গুরুত্বপূর্ণ JOLTs থেকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা মার্কেটে মাঝারি মাত্রায় প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি পারে। ফলস্বরূপ, আজ ডলারের মূল্যের শক্তিশালী বৃদ্ধি দেখতে পাওয়ার খুব কমই সম্ভাবনা রয়েছে।
মৌলিক ইভেন্টের বিশ্লেষণ:
বুধবারের মৌলিক ইভেন্টের মধ্যে, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিনিধি এল্ডারসনের বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হবে এবং "বেইজ বুক" প্রকাশ করা হবে। দুটি ইভেন্টই গুরুত্বের দিক থেকে গৌণ। আমরা ইতোমধ্যেই ইসিবি প্রতিনিধিদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সবকিছু জানতে পেরেছি এবং ইসিবি সম্ভবত সেপ্টেম্বরে দ্বিতীয়বারের মতো সুদের হার কমিয়ে দেবে। বেইজ বুকটি শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের একটি সারাংশ, যাতে কোনো উল্লেখযোগ্য নতুন তথ্য নেই।
উপসংহার:
সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের দরপতন হতে, কিন্তু এই দরপতনকে শুধুমাত্র চলমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার বিরুদ্ধে কারেকশনের অংশ হিসেবে বিবেচনা করা যায়। ইউরোর মূল্য অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইনের ব্রেক করে নিচের দিকে গেছে, তাই পাউন্ডের চেয়ে ইউরোর মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্টের সম্ভাবনা বেশি, এখনও পাউন্ডের দরপতনের খুব বেশি সম্ভাবনা নেই। সীমিত সংখ্যক মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক ইভেন্টের কারণে বুধবার উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের তুলনামূলকভাবে দুর্বল মাত্রার অস্থিরতা দেখা যেতে পারে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।