বৃহস্পতিবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:
GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট
বৃহস্পতিবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্যেরও ঊর্ধ্বমুখী গতিশীলতা বজায় ছিল। আবারও পূর্বাভাসের তুলনায় মার্কিন সামষ্টিক প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফলের কারণে ব্রিটিশ মুদ্রার মূল্যের উত্থান, বা ডলারের দরপতন শুরু হয়েছিল। যদিও ISM পরিষেবা সংক্রান্ত ব্যবসায়িক কার্যকলাপের সূচকের ফলাফল পূর্বাভাসের চেয়ে ইতিবাচক ছিল, তারপরও ডলারের চাহিদা খুব কমই বেড়েছে, কারণ বেসরকারী খাতে কর্মীর সংখ্যা সংক্রান্ত ADP থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ফলাফল গত কয়েক বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন ছিল। ফলে, এই পেয়ারের মূল্য সঠিকভাবে কারেকশন না করে পুনরায় দর বৃদ্ধি শুরু করার চেষ্টা করছে। মার্কেটের ট্রেডাররা কয়েক মাস ধরে ফেডারেল রিজার্ভের আর্থিক নীতিমালা নমনীয় করার প্রত্যাশায় এই পেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করছে এবং এখন মার্কিন সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফলের প্রতি প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে, যখন যুক্তরাজ্যের দুর্বল অর্থনীতি এবং ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের আর্থিক নীতিমালার নমনীয়করণের প্রতি তাদের কোন আগ্রহ নেই৷ ভবিষ্যতেও একই অবস্থা চলতে পারে। আজ, ডলারের ভাগ্য একচেটিয়াভাবে মার্কিন শ্রমবাজার এবং বেকারত্বের প্রতিবেদনের ফলাফলের উপর নির্ভর করবে।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট
বৃহস্পতিবার 5 মিনিটের টাইমফ্রেমের মধ্যে, কার্যত সারাদিন ধরে সাইডওয়েজ ট্রেডিং হয়েছে। হ্যাঁ, দিনের শেষে এই পেয়ারের মূল্য সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছিল, কিন্তু মুভমেন্টের ধরন পরিবর্তিত হয়নি। এই পেয়ারের মূল্য 23 ঘন্টার ধরে স্থির থাকতে পারে এবং এক ঘন্টার মধ্যে মূল্য 20 পিপস বাড়তে পারে। পুরোপুরি ফ্ল্যাট ট্রেডিংয়ের মধ্যে এই পেয়ারের মূল্য 20 পিপসই বৃদ্ধি পেয়েছে। গতকাল, মূল্য 1.3145-1.3167 রেঞ্জে প্রবেশ করেছে এবং সেখানে প্রায় পুরো দিন অবস্থান করেছে।যখন মূল্য এই রেঞ্জের উপরের সীমানার মধ্য দিয়ে এই রেঞ্জটি ছেড়ে যায় তখন যদি কোন ট্রেড না ওপেন করা হয়ে থাকে তাহলে সেই ট্রেড ক্লোজ করা উচিত ছিল।
শুক্রবারে কীভাবে ট্রেড করতে হবে:
প্রতি ঘণ্টার চার্টে, বিশ্বব্যাপী GBP/USD-এর মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু করার বা অন্তত কিছুটা দরপতনের সম্মুখীন হওয়ার ভালো সুযোগ রয়েছে। ব্রিটিশ পাউন্ড অত্যধিক ক্রয় করা হয়েছে, ডলারের দরপতন ঘটছে এবং মার্কেটের ট্রেডাররা ব্রিটিশ মুদ্রা কেনার এবং ডলার বিক্রি করার প্রতিটি সুযোগ ব্যবহার করে চলেছে। পাউন্ডের মূল্যের শুধুমাত্র একটি ছোটখাট বিয়ারিশ কারেকশন দেখা গিয়েছে এবং আবার এটির মূল্য বৃদ্ধির দিকে ঝুঁকছে। এই পেয়ারের মূল্যের পূর্ণাঙ্গ নিম্নমুখী প্রবণতার বিষয়ে কথা বলার সময় এখনও আসেনি।
শুক্রবার, এই পেয়ারের মূল্য যে কোনও দিকে যেতে পারে, কারণ এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট মার্কিন অর্থনৈতিক প্রতিবেদনগুলোর দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হবে। যেকোনো পরিস্থিতি জন্য প্রস্তুত থাকুন।
5M টাইমফ্রেমের মূল লেভেলগুলো হল 1.2605-1.2633, 1.2684-1.2693, 1.2748, 1.2791-1.2798, 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3102-1.3107, 1.3145-1.3167, 1.3225, 1.3272, 1.3310। শুক্রবার যুক্তরাজ্যে কোনো উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট নির্ধারিত নেই; মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, শ্রম বাজার এবং বেকারত্ব সংক্রান্ত বেশ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। দিনের দ্বিতীয়ার্ধে এই পেয়ারের মূল্যের ব্যাপক মুভমেন্টের প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।