শুক্রবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:
GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট
শুক্রবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী গতিশীলতা বজায় ছিল। যুক্তরাজ্যে প্রকাশিত আগস্টের খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদনের ফলাফল বিশেষজ্ঞদের পূর্বাভাসকে ছাড়িয়ে গেছে, যা ট্রেডারদের পাউন্ড কেনার জন্য আরেকটি কারণ প্রদান করে। যাইহোক, কোন নির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই মার্কেটে পাউন্ড ক্রয়ের প্রবণতা ঠিকঠাক কাজ করছে। গত সপ্তাহে, ফেডারেল রিজার্ভ মূল সুদের হার 0.5% কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, যেখানে ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড সুদের হার 5%-এ অপরিবর্তিত রেখেছে। ফলস্বরূপ, উভয় বৈঠকের ফলাফলই ব্রিটিশ পাউন্ডের পক্ষে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে, যা ট্রেডাররা সফলভাবে কাজে লাগিয়েছে। যেকোনো কারণের ভিত্তিতেই ডলারের দরপতন অব্যাহত রয়েছে।
প্রতি ঘণ্টার টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়েছে। অতএব, ট্রেডাররা প্রযুক্তিগত কারণে নিকটবর্তী মেয়াদে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির আশা করতে পারেন। দীর্ঘদিন ধরেই ব্রিটিশ মুদ্রার মূল্যের উত্থানের জন্য কোন মৌলিক বা সামষ্টিক অর্থনৈতিক ভিত্তি নেই, তবে ট্রেডাররা মোমেন্টাম কাজে লাগিয়ে এই পেয়ারের মূল্যকে ঊর্ধ্বমুখী করছে, তারা এখনও ফেডের আর্থিক নীতিমালা নমনীয় করার বিষয়টির উপর নির্ভর করে। বর্তমানে তাদের কাছে অন্য সব কারণ অপ্রাসঙ্গিক।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট
শুক্রবার 5 মিনিটের টাইম ফ্রেমে দুটি বাই সিগন্যাল তৈরি হয়েছিল। রাতের বেলায়, মূল্য 1.3272 লেভেল থেকে বাউন্স করে এবং মার্কিন সেশনের সময় আবার একই লেভেল থেকে মূল্যের বাউন্স হয়। উপরের দিকে একমাত্র 1.3365 এর লেভেল ছিল, যা একটি দূরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা ছিল, কারণ 2-3 বছর ধরে পাউন্ড এত উচ্চ লেভেলে ট্রেড করেনি। উভয় ট্রেড থেকেই বেশ ভালই মুনাফা করা যেতে পারত, কিন্তু সেগুলো ম্যানুয়ালি ক্লোজ করা উচিত ছিল৷
সোমবারে কীভাবে ট্রেড করতে হবে:
GBP/USD পেয়ার বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে "সংগ্রাম" করছে, এক ঘন্টার টাইমফ্রেমে অন্তত কিছুটা কারেকশন করার চেষ্টা করছে। এই প্রচেষ্টা সফল হয়নি. ফলস্বরূপ, ট্রেডাররা সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তারা ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এবং ফেডের বৈঠকের আগেই এই পেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করতে পারে এবং তারপরে আবার প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে। ফলে, ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য আবার বাড়ছে, এবং ট্রেডাররা ডলারকে সমর্থন করতে পারে এমন কারণগুলো উপেক্ষা করে চলেছে। এই ধরনের ব্যাখাতীত মুভমেন্ট কতদিন চলবে তা এখনও অজানা।
সোমবার, ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট চলমান থাকতে পারে কারণ এই অযৌক্তিক মুভমেন্টকে কে থামাতে পারে? মার্কেটের ট্রেডাররা এই পেয়ার ক্রয় করছে, তাই পাউন্ডের দরপতনের কোন কারণ নেই। বর্তমানে মূল্যের কাছাকাছি কোনো লেভেল নেই, তাই ট্রেডিং সিগন্যাল তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
5 মিনিটের টাইমফ্রেমে, আপনি বর্তমানে 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3102-1.3107, 1.3145-1.3167, 1.3225, 1.3272, 1.3365, এবং 1.3417-এর লেভেলে ট্রেড করতে পারেন। সোমবার, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সেপ্টেম্বরের পরিষেবা এবং উৎপাদন সংক্রান্ত পিএমআই সূচক প্রকাশ করা হবে। এগুলো খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন নয়; ট্রেডাররা বর্তমানে শুধুমাত্র এই পেয়ারের ক্রয় উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে। তাই সামগ্রিকভাবে এই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফলের মার্কেট সেন্টিমেন্টকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করার সম্ভাবনা নেই।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।