শুক্রবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:
GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট
শুক্রবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের সামান্য নিম্নমুখী কারেকশন হয়েছে, কিন্তু এটিকে "কারেকশন" না বলে "পুলব্যাক" বলাটা আরও বেশি সঠিক হবে। একটি "কারেকশন" এবং একটি "পুলব্যাক" এর মধ্যে পার্থক্য হল যে কারেকশন আরও উল্লেখযোগ্য এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়। আমরা এখনও স্থানীয় পর্যায়ে স্পষ্টভাবে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখতে পাচ্ছি এবং দীর্ঘ সময়ের মধ্যে 80-100 পিপসের বেশি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্ট দেখিনি। বৃহস্পতিবার, মার্কিন মুদ্রার দর আরও 100 পিপস কমেছে, যদিও জিডিপি এবং টেকসই পণ্যের অর্ডার সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল প্রত্যাশার চেয়ে শক্তিশালী ছিল এবং ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল তার বক্তৃতায় উল্লেখযোগ্য কোন তথ্য প্রদান করেননি। শুক্রবার ট্রেডাররা একটু বিরতি নিয়েছে। প্রসঙ্গত, মার্কিন সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল আবারও ডলার বিক্রির কোনো কারণ দেয়নি। পার্সোনাল কনজাম্পশন এক্সপেন্ডিচার্স (PCE) মূল্য সূচকটি বার্ষিক ভিত্তিতে 2.7% বেড়েছে, যা মুদ্রাস্ফীতির বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়। ফেড নিবিড়ভাবে এই সূচকটি পর্যবেক্ষণ করে থাকে, এবং সেপ্টেম্বরে কনজিউমার সেন্টিমেন্ট সূচকের ফলাফলও প্রত্যাশার চেয়ে শক্তিশালী ছিল।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট
শুক্রবার 5 মিনিটের টাইমফ্রেমে দুটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। প্রথমে, এই পেয়ারের মূল্য 1.3365 লেভেল থেকে বাউন্স করে, তারপর মূল্য 1.3428-এ উঠে এবং এই লেভেল থেকে বাউন্স করে৷ দিনের শেষে, মূল্য 1.3365 এ ফিরে আসে। ফলে, নতুন ট্রেডাররা প্রথমে একটি লং পজিশন ওপেন করতে পারে এবং তারপর একটি শর্ট পজিশন ওপেন করে থাকতে পারে। প্রথম ট্রেড থেকে তারা প্রায় 40 পিপস মুনাফা করতে পেরেছে, এবং দ্বিতীয় ট্রেড থেকে একই পরিমাণ মুনাফা করা গেছে।
সোমবারে কীভাবে ট্রেড করতে হবে:
প্রতি ঘণ্টার চার্টে, নতুন কোনো কারণ না থাকা সত্ত্বেও GBP/USD পেয়ারের মূল্য আবার ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। অস্থিরতার মাত্রা নিয়ে বর্তমানে কোন সমস্যা নেই, তাই ট্রেডাররা অন্তত প্রতিদিনই ট্রেড ওপেন করতে পারে, যাতে ক্ষুদ্র মুভমেন্টগুলোকে শুধুমাত্র দেখার পরিবর্তে কাজে লাগানো যায়। উল্লেখ্য এই পেয়ারের মূল্যের ক্ষুদ্র মুভমেন্টগুলোকে "খিঁচুনি" হিসাবে বর্ণনা করা যেতে পারে। যাইহোক, এই ধরনের মুভমেন্টের যৌক্তিকতা নিয়ে এখনও উল্লেখযোগ্য সমস্যা রয়েছে। সমস্ত কারণ ডলারের পক্ষে থাকা সত্ত্বেও আমরা এই পেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি পেতে দেখতে পাচ্ছি। এই পেয়ারের মূল্যের কারেকশনকে ন্যূনতম বা অস্তিত্বহীন হিসেবে বিবেচনা করা যায়।
সোমবার, ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য আবারও ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট পুনরায় শুরু করার চেষ্টা করতে পারে, কারণ এটির জন্য অবশ্যই কোনও কারণের প্রয়োজন নেই। সোমবার 1.3365 এর লেভেল থেকে এই পেয়ারের ট্রেডিং করা যেতে পারে।
5 মিনিটের টাইম ফ্রেমে, নিম্নোক্ত লেভেলগুলোতে ট্রেড করা যেতে পারে: 1.2913, 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3102-1.3107, 1.3145-1.3167, 1.3225, 1.3272, 1.3365, 1.3428-1.3440, 1.3488, 1.3537। সোমবার, যুক্তরাজ্যে জিডিপি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে, যা 0.6% হবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। পাওয়েল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বক্তৃতা দেবেন। পাওয়েল ট্রেডারদের যাই বলুক না কেন এটি আবার মার্কিন মুদ্রার জন্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।