মঙ্গলবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:
GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট:
মঙ্গলবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্যেরও উল্লেখযোগ্য নিম্নমুখী মুভমেন্ট দেখা গিয়েছে এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে, মূল্য অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ড লাইন ব্রেক করেছে। দীর্ঘ সময়ের মধ্যে প্রথমবারের মতো ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হতে পারে। এই পেয়ারের দরপতন কতদিন স্থায়ী হবে সেই ভবিষ্যদ্বাণী করা কঠিন, তবে এটি স্পষ্ট ছিল যে কারেকশন ছাড়া অনির্দিষ্টকালের জন্য ডলারের দরপতন চলমান থাকতে পারে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত কর্মসংস্থান সংক্রান্ত JOLT-এর প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশা ছাড়িয়ে গেছে, কিন্তু একই সময়ে, গুরুত্বপূর্ণ ISM ব্যবসায়িক কার্যকলাপ সূচকটির ফলাফল মাত্র 47.2 পয়েন্ট ছিল, যা পূর্বাভাসের চেয়ে কম ছিল। অতএব, আমরা ডলারের দর বৃদ্ধির কারণ হিসেবে সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফলকে দায়ী করতে পারি না—প্রাথমিকভাবে যেহেতু যুক্তরাজ্যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি, এবং মার্কিন প্রতিবেদন প্রকাশের আগেই এই পেয়ারের দরপতন শুরু হয়েছিল। অবশ্য সপ্তাহের শেষ নাগাদ ডলারের মূল্য সোম ও মঙ্গলবারের চেয়ে বেশি কমতে পারে। যদি ননফার্ম পে-রোল এবং বেকারত্ব সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ফলাফল হতাশাজনক হয়, তবে মার্কিন মুদ্রা আবার দরপতনের শিকার হতে পারে, এক্ষেত্রে পাওয়েল যে বলেছেন নভেম্বরে সুদের হার 0.5% কমানোর প্রয়োজন নেই এই আশ্বাস কোন কাজ করবে না।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট:
মঙ্গলবার 5 মিনিটের টাইমফ্রেমে, এই পেয়ারের খুব ভাল একটি সিগন্যাল গঠিত হয়। ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশনের শুরুতে, মূল্য 1.3365 লেভেলের মধ্য দিয়ে ব্রেক করে যায়, যার ফলে মূল্য 1.3272 লেভেলের নিচে নেমে আসে। দুর্ভাগ্যবশত, 1.3365 এর লেভেল ব্রেক করে যাওয়ার আগে, মূল্য আবার বেড়েছিল, কিন্তু শর্ট পজিশন থেকে প্রাপ্ত লাভ উল্লেখযোগ্যভাবে লং পজিশনের লোকসানের পরিমাণকে ছাড়িয়ে গেছে।
বুধবারে কীভাবে ট্রেড করতে হবে:
প্রতি ঘণ্টার চার্টে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা থেমে গিয়েছে। অস্থিরতার মাত্রা নিয়ে বর্তমানে কোন সমস্যা নেই, তাই ট্রেডাররা অন্তত প্রতিদিনই ট্রেড ওপেন করতে পারে, যাতে ক্ষুদ্র মুভমেন্টগুলোকে শুধুমাত্র দেখার পরিবর্তে কাজে লাগানো যায়। উল্লেখ্য এই পেয়ারের মূল্যের ক্ষুদ্র মুভমেন্টগুলোকে "খিঁচুনি" হিসাবে বর্ণনা করা যেতে পারে। মার্কিন ডলারের মূল্যের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত বৃদ্ধি শুরু করেছে, কিন্তু এই পেয়ারের দুই দিনের দরপতন একটি পূর্ণাঙ্গ নিম্নমুখী প্রবণতা গঠনের নিশ্চয়তা দেয় না যেমনটি আমরা আশা করছি। তাই, বিক্রি করার সময় সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত, বিশেষ করে সপ্তাহের বাকি সময়ের জন্য নির্ধারিত সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমিতে।
বুধবার, পাউন্ডের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্ট চলমান থাকতে পারে, এবং 1.3272 লেভেলের উপর ভিত্তি করে ট্রেডিং করা উচিত। এই লেভেল ব্রেক করা হলে আরও দরপতনের সম্ভাবনা উন্মুক্ত হয়ে যাবে।
5 মিনিটের টাইমফ্রেমে, নিম্নোক্ত লেভেলে ট্রেড করা যেতে পারে: 1.2913, 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3102-1.3107, 1.3145-1.3167, 1.3225, 1.3272, 1.3365, 1.3428-1.3440, 1.3488, 1.3537। বুধবার যুক্তরাজ্যে কোনো উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, শুধুমাত্র ADP থেকে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে যেটিকে নন-ফার্ম পেরোলের "ছোট ভাই" হিসাবে বিবেচনা করা যায়। এই প্রতিবেদনের প্রভাবে মার্কেটে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছে না, তবে এই প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল সাময়িকভাবে ডলারের মূল্যের উত্থান থামিয়ে দিতে পারে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।